আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বোরো বাজারে আসলে চালের দাম স্বাভাবিক হবে : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বোরো চাল বাজারে আসলে চালের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি বোরো ধান কাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। এবার বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বোরো ধান বাজারে এলে কী চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা এবার উৎপাদন বাড়ানোর যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, আমাদের যা সাধ্য ছিল করেছি। আমরা কোনো ত্রুটি করিনি। আমাদের মাঠের কর্মকর্তারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আমাদের করার ছিল না।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জানি দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। প্রতি বছর ২২ লাখ মুখ যোগ হচ্ছে, এদের অন্ন আমাদেরকে দিতে হয়। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের খাবার জোগান দিতে হচ্ছে। ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ থেকে খাদ্য কিনেই রোহিঙ্গাদের দেয়, বাইরে থেকে আনা হয় না।

এবার আমাদের আলুর উৎপাদন ভাল হয়েছে। গত বছর আমরা আলু রিলিফ হিসেবে দিয়েছিলাম, এবার আমরা রোহিঙ্গাদের রেশন হিসেবে আলু দেয়ার কথা বলেছি। গমও এবার ভাল হয়েছে। ভুট্টার ফলন আবার একটু কমে আসছে, মানুষ ধানে চলে গেছে, বাংলাদেশের মানুষ যখন যেটায় দাম পায় সেটায় ঝুঁকে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধান যদি আমরা ঘরে তুলতে পারি, যদি কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় ইনশাআল্লাহ ধান-চালের দাম ইতোমধ্যে স্থিতিশীল হয়েছে, এটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে। এটুকু আমি বলতে পারি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটাও কিন্তু ঠিক আমরা ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেই। চালের দাম বাড়লেও যারা একদম গরিব তাদের কিন্তু অত কষ্ট হয়নি। খাদ্য নিয়ে দেশে কিন্তু কোনো হাহাকার হয়নি। আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু খবর লিখতে পারেননি। উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হয়েছে, মানুষ না খেয়ে আছে। দুর্ভিক্ষ হলে কিন্তু বাজারে চাল পাওয়া যায় না। এ রকম কিন্তু হয়নি। জেলা পর্যায়ে ওএমএস দেয়া হয়েছে। কাজেই ওরকম কষ্ট মানুষের হয়নি। কিছু কষ্ট হয়েছে আমরা সেটা স্বীকার করি।

ইনশাআল্লাহ বোরো যদি আমরা ঘরে তুলতে পারি তেমন সমস্যা হবে না। আবার কৃষকের দিকটাও দেখতে হবে। আবার লেখা শুরু হয়েছে, ধানের দাম কমে যাবে কি-না। আমার মনে হয় না, এবার ধানের দামটা সেভাবে কমবেবলেন আব্দুর রাজ্জাক।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার হবে প্রথম রমজান। আজ সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি জানান, আজ রাতে প্রথম তারাবির নামাজ এবং সেহরি হবে। আগামীকাল প্রথম রমজান।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভায় বসে চাঁদ দেখা কমিটি।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ইসলামির ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে সোমবার (১১ মার্চ) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ সোমবার দেশের কিছু কিছু এলাকায় রোজা পালন করছে মুসলিমরা।


আরও খবর



রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোতে দফায় দফায় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি রাশিয়ার জ্বালানি খাতে ইউক্রেনের চালানো সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ। বুধবারের (১৩ মার্চ) এ হামলায় তেল কোম্পানি রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এতে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় তেলের মূল্য দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টায় এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের দিন মঙ্গলবার নিজনি নভগোরোদে রাশিয়ার বহুজাতিক তেল কোম্পানি লুকোয়েলের একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় ড্রোন। এতে তেল শোধনাগারটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো বুধবার রোস্তভ ও রাইয়াজান অঞ্চলের তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালিয়েছে। মস্কো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রাইয়াজানে এক ড্রোনের হামলায় রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এটি রাশিয়ার সপ্তম বৃহত্তম তেল শোধনাগার।

রাইয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভের মালকভ জানিয়েছেন, আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, তবে হামলায় কয়েক জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ নাগরিক জানিয়েছেন, হামলার পর তেল শোধনাগারটি তাদের দুটি তেল শোধন ইউনিট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রোজনেফতের তরফ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ জানান, সেখানে কোনো হতাহতের ঘটেনি, কিন্তু হামলার পর নভোশাখটিনস্ক শোধনাগার উত্পাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরে শোধনাগারটিতে উত্পাদন ফের শুরু হয় বলে জানা গেছে।

কিয়েভের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের এসবিইউ গোয়েন্দা সংস্থা ড্রোন হামলাগুলো পরিচালনা করেছে। বুধবার প্রকাশিত মন্তব্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ১৫-১৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টায় কিয়েভ এসব হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পো বলেছেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ইউরোপের প্রতিরক্ষায় আরো ব্যয় এবং সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়ে বুধবার তিনি একথা বলেন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অর্পো বলেন, রাশিয়া স্পষ্টতই পশ্চিমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউরোপের জন্য একটি স্থায়ী ও অপরিহার্য সামরিক হুমকি হয়ে উঠছে দেশটি। আমরা সংঘবদ্ধ হতে না পারলে আগামী বছরগুলো বিপদসঙ্কুল হবে এবং হামলার হুমকি ঘনিয়ে আসবে।’

রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অর্পো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং বলেন, ইইউকে নিজেদের প্রতিরক্ষার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাশিয়া অপরাজেয় কোনো দেশ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি অনর্থক একটি পদক্ষেপ’। ফিনল্যান্ড এ জোটে যোগ দেওয়ার পর রাশিয়া ফিনিশ সীমান্তে সেনা এবং ধ্বংসাত্মক সব ব্যবস্থা মোতায়েন করবে।

পশ্চিমাদেরকে হুমকি দিয়ে এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, কারিগরিভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় তাহলে মস্কো এ পদক্ষেপকে চলমান সংঘাতে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে গণ্য করবে।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা-৯ (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মিরাজ হোসেন ও আব্দুল বাকী সাক্ষ্য দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। এরপর তারা আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে মিরাজের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে। আব্দুল বাকী আংশিক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকা-৯ (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: খালেদা জিয়া

আরও খবর



বেতন নিয়ে মায়ের কাছে ফিরতে পারলেন না সাগর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা পূর্বপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক হাসান আলি ও সাবিনা খাতুনের দম্পতির তিন সন্তানের (দুই ভাই ও এক বোন) মধ্যে সাগর হোসেন (২০) ছিল সবার বড়। রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের একজন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, অভাব-অনটনের সংসারে পড়ালেখায় বেশি দূর আগাতে পারেননি তিনি। এ বছর এইচএসসি পাশ করে সংসারের হাল ধরতে পাড়ি জমায় ঢাকায়।

শুক্রবার (১ মার্চ) তার বাড়ির সামনে শত শত মানুষ। হঠাৎ একটি লাশবাহী গাড়ি আসতে দেখে কান্নার রোল পড়ে পুরো এলাকায়। সেই গাড়িতে ছিল সাগরের লাশ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গারদা শিল্ড সিকিউরিটি কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ক্লথিং ব্র্যান্ড ইপিলিয়ন শোরুমে কাজ শুরু করেন সাগর। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনে কর্মরত অবস্থায় আগুনে আটকা পড়ে অন্যদের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সাগরের বাবা হাসান আলী বলেন, কৃষিকাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাতে হয়, ছেলেকে পড়ালেখা করানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অল্পবয়সে কর্মের সন্ধানে তাকে ঢাকায় যেতে বলি। কিন্তু এভাবে তাকে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে কখনো ভাবিনি।

মা সাবিনা খাতুন বলেন, দুদিন আগে ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। বেতন তুলে ১০ তারিখে বাড়ি আসবে বলেছিল। বাড়িতে আসার আগেই আমার ছেলেটা পৃথিবী থেকে চলে গেল।


আরও খবর