আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বোরো ধান আবাদে আয় বাড়েনি, বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

এবার বোরো ধান চাষে বেড়েছে খরচ। গতবছরের চেয়ে এবার দফায় দফায় বিদুৎতের দম আর জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের কৃষি পন্যের দাম বাড়াতে এবার বোরো ধান উৎপাদন করতে কৃষকদের গুনতে হচ্ছে দিগুন টাকা। এতে ব্যায় বাড়েনি বাড়ছে খরচ। তাই কৃষকদের এখন বোরো ধান উৎপাদন করতে যেয়ে হিমসিম অবস্থা ।

চুয়াডাঙ্গা মাঠ ঘুরে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার মাঠে মাঠে এখন নীল সবুজের অপার জমি নিয়ে বোরো ধান। আর তাই প্রতিটা ধান গাছে যেন কৃষকদের স্বপ্ন। তবে এই স্বপ্নটা এ জেলার কৃষকদের কাছে বরই অপ্রিয় এখন। একদিকে যেমন সব ধরনের নিত্য পন্যের দাম বেশি। অন্যদিকে আবার দফায় দফায় দাম বাড়ছে বিদুৎতের। এতে কৃষকদের সেচ খরচ যেন দিগুন হারে বাড়ছে। আবার কৃষি পণ্যসহ সব ধরনের সারের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে এসব কৃষক। এতে এবার বোরো ধান চাষে যেখানে এক বিঘা জমিতে খরচ হতো ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। সেখানে এবার খরচের আশঙ্কা করা যাচ্ছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। তাই এবার বোরো ধান উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের যেন মহা দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তাই জমিতে সেচ দিতে গেলে খরচের দিকে চিন্তার করতে গেলে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে।

তাই কৃষকদের দাবি, বিদুৎতের দামটা কিছুটা সহনিয় পর্যায়ে করলে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা বাচঁবে। আর এই রকম দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়লে তারা তাদের ফসলের উৎপাদন করে ঘড়ে তুলতে গেলে তাদের কাছে অবশিষ্ট আর লাভের পরিমাণ কিছুই দাড়াই না তাদের। তাই কৃষকদের বাচাঁতে হলে সরকারের এগিয়ে আসার আহবান জানান এ জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবার বোরো আবাদে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭১০ হেক্টর । আর ৩০ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে এবার  বোরো আবাদ হয়েছে । আর বোরো আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।

কথা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সুবদিয়া গ্রামের আসাদুলের সাথে জানতে চাইলে তিনি আজকের দর্পণকে বলেন, আগে এক বিঘা জমিতে খরচ হতো ধান চাষ করতে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু এখন তেলের দাম আবার সারের দাম বেশি। এখন আবার বিদুৎতের অস্বাভাবিক দামে আমরা সেচ দিতে পারছি না। প্রচুর খরচ পরে যাচ্ছে। এবার ব্যয় ভুহুল খরচ এই বোরো আবাদে। এরমকম করে যদি চাষে খরচ বাড়ে তাহলে আমাদের বছর শেষে আর কিছুই থাকে না।

অপর কৃষক সাইদুল ইসলম বলেন, একদিকে যেসব নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম। আবার অন্যদিকে কৃষি পণ্যের দাম এই যেন আমাদের গলার কাটা। প্রতিবছর বোরো আবাদ নিয়ে একটা স্বপ্ন থাকে আমরাদের ভালো লাভ পাব। তবে বিদুৎতের দাম বাড়ায় এবার মনে হয় ভালো লাভ আর পাব না। ধান উৎপাদন শেষ করে ঘরে তুলে খরচ যেন সমান মতো দাড়াবে। তাই কৃষি পণ্যের দাম কমানোর দরকার।

আর এদিকে চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া ইউনিয়ন কৃষক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আলম বলেন, এখন আসলে বোরো আবাদে আয় বাড়েনি বেড়েছে ব্যয়। আর কৃষকদের এখন বোরো আবাদে ব্যাপক খরচ বেড়েছে। আর খরচ কমানোর জন্য কৃষকদের নিয়মিত প্রনোদনা দিতে হবে। তাহলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল থেকে লাভবান হতে পারবে। আর এইটা করার জন্য কৃষি দপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর আমাদের কৃষক জোট থেকে কৃষকদের চাষের খরচ কিভাবে কমানোর যায়। সেজন্য দাবি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এই দাবি এখনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের বিশ্ব পরিস্থিতির সাথে সব কিছুই সম্বনয় করতে হবে। যে কারণে বোরো আবাদের যেখানে সেচ ২০ টা লাগার কথা। সেখানে আমরা ১৬ টা সেচ দিতে বলছি কৃষকদের। আর বোরো আবাদের জমি ভিজা এবং শুকনো এই দুইটা রাখতে হবে পরিমাণ মতো। এটা করলে ভালো ফলন হবে বোরো আবাদে। আর কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি খরচ কমানোর জন্য। আমরা পরিকল্পনা করছি যাতে করে কৃষকরা লাভবান হয়। 


আরও খবর



ফরিদপুরে পদ্মার গর্ভে বিলীন দুই শতাধিক ঘরবাড়ি

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ভাঙ্গন আতঙ্ক নিয়েই রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে ঘর ছেড়ে বাইরে আসতেই দেখি নদীর গর্ভে প্রতিবেশীর ঘর চলে গেছে। আমার চিৎকারে ঘরের ভীতরে ঘুমিয়ে থাকা অন্য সবাই বেড়িয়ে আসে। তাড়াহুড়া করে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে গরু-ছাগল ও ঘরের কিছু মালামাল কোন রকম বের করি। কিন্ত ততক্ষণে চোখের সামনে ভাঙ্গন আমার মাথাগুজার ছাঁদখানা তার গর্ভে কেড়ে নেয়। এখন পরিবারের সকলেরে নিয়ে খোলা মাঠের নীচে।

ভাঙ্গন কবলিত ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের নন্দলাপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ বেলাল এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো বলছিলেন দৈনিক আজকের দর্পণকে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত ২৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে প্রমত্ত পদ্মা নদীর ভাঙ্গন দেখা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে ভাঙ্গনের খেলায় উপজেলার দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের শত শত পরিবারের মাথাগুজার ঠাই ঘর বাড়িসহ নদীর গর্ভে চলে যায় ঘরবাড়ি ও মালামাল। অনেক গ্রামবাসীর ভাষ্যমতে, গত এক সপ্তাহে ভাঙ্গন শুরু হয় প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধীক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে পদ্মার পেটে।

বিশেষ করে চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষণের ফলে তীব্র স্রোতের কারণে নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়। অত্র ইউনিয়টির প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন দেওয়ায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে পদ্মা পাড়ের শত শত ঘর, ফসলি জমি ও গ্রামবাসীদের স্থাপনা।

ইতমধ্যে ভাঙ্গনের কবলে সব হারিয়েছেন যারা সেসকল ভাঙ্গনকবলিতরা আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুল ঘর ও খোলা মাঠে। কিন্ত সেখানকার আশ্রয়ে থাকা জনজীবনে খাদ্য, চিকিৎসা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ধরনের সংকট  দেখা দিয়েছে। অভিযোগ ক্ষিতগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে কেউ এগিয়ে আসছে না কোন বলে জানায় স্থানীয়রা।

সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহকালে দেখা যায়, পদ্মার তীব্র স্রোতে ইউনিয়নটির নন্দলাপুর, নুরুদ্দিন সরদারের কান্দি, জহুরুল হক বেপারীর কান্দি ও কুদ্দুস মোল্যার কান্দি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ নদী ভাঙনের কবলে নিরাপত্তাহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদী ভাঙনের শঙ্কায় পদ্মার পাড় থেকে সরে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। নদী ভাঙনের ফলে ইউনিয়নটিতে বিছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এ কারণে অনেকটাই নিরাপত্তাহীন এলাকায় পরিণত হয়ে পড়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনকবলিত এলাকায়। এছাড়া ভাঙ্গন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে জরুরীভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নুরুদ্দিন সরদার কান্দি গ্রামের আলী হোসেন বলেন, নদী ভাঙ্গনে আমাদের সব নিয়ে গেছে। আমাদের কোন কর্মও নেই। পরিবার নিয়ে অর্ধ-অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগীতা না পেলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মায়ের কাছে কাছে আমাদের জন্য সাহায্য কামনা করছি।

কুদ্দুস মোল্যার কান্দি গ্রামের রাহিমা বেগম জানান, সন্তানদের নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে এলাকাবাসীর ডাক-চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি নদীতে সবকিছু বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্বামী, সন্তান নিয়ে দ্রুত ঘরের মালামাল সরিয়ে নিতে নিতেই মুহূর্তের মাঝে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। খুব অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছি জানিয়ে বলেন, নদীর ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে আমাদের পদ্মা পাড়ের মানুষের জন্য স্থায়ী সমাধান প্রার্থনা করেন। তার মতে তাহলে হয়ত আর কেউ তাদের মোট ভিটে-মাটি হারাবেন না।

নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসির হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নটি পদ্মা নদী বেষ্টিত হওয়ায় প্রতি বছরই ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে আবেদন করেছি। আমরা আশা করছি ভাঙ্গন রোধে খুব শীঘ্রই সরকার কার্যকারী পদক্ষেপ নিবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইউনিয়নে প্রায় আড়াই শতাধিক মানুষ ভাঙ্গন কবলিত রয়েছে। তাদের নামের তালিকা করে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।


আরও খবর



চীনে বিষাক্ত গ্যাস লিকেজে নিহত ১০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের উত্তরাঞ্চলে বিষাক্ত গ্যাস লিকেজে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে দেশটির মঙ্গোলিয়া প্রদেশের ওরডোস শহরের একটি কেমিক্যাল কোম্পানিতে এ ঘটনা ঘটে। উঁচু এলাকার কোম্পানিটিতে উচ্চচাপে গ্যাস নির্গমনের ফলে সেখানে কর্মরত অনেক শ্রমিক জ্ঞান হারান। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। 

আরও পড়ুন>> জি-২০ সম্মেলনে আসছেন না স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

এএফপি জানিয়েছে, চীনের শিল্প কারখানায় দুর্ঘটনা নতুন নয়। দেশটির বেশির ভাগ কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে একই প্রদেশের একটি কয়লা খনির ধসে ৫৩ জন মারা যান।


আরও খবর



প্রেমের টানে জয়পুরহাটে ফিলিপাইনের তরুণী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

প্রেম মানে না কোনো বাধা। তাইতো নিজ দেশের মায়া ত্যাগ করে ফিলিপাইন থেকে বাংলাদেশের জয়পুরহাটের ক্ষেলালে ছুটে এসেছেন আনা মারিয়া ভেলাস্কো নামে এক তরুণী। শুধু তাই নয়, নিজের ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি। গতকাল রোববার দুপুরে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের সময় ওই তরুণীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিদেশি ওই তরুণীকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিপাইন তরুণীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়াত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। দুই বছর আগে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের পরিবারও জানে এ সম্পর্কের বিষয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে ফিলিপাইন ওই তরুণী বিয়ের উদ্দেশ্যে শনিবার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান তাকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে ভাড়া বাসায় আসেন। 

আরও পড়ুন>> বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে আরও ২৩ ককটেল উদ্ধার

এ বিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুজনার মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে খ্রিস্টান ছিল, বর্তমানে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আমাকে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি।

আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারছি। বাংলাদেশের খাবার ও সংস্কৃতি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ওর পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি।

আমানের স্বজনরা জানান, উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ফিলিপাইনের ওই তরুণী আসার পর থেকে সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলছে। এখানকার খাবার তার খুব পছন্দ। তাকে দেখতে বাড়িতে অনেক মানুষ আসছে। আনা মারিয়া ভেলাস্কো বাংলাতেও অল্প অল্প কথা বলতে পারে। 

আরও পড়ুন>> ফরিদপুরে পদ্মার গর্ভে বিলীন দুই শতাধিক ঘরবাড়ি

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি জানিয়েছেন নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছেন।


আরও খবর



এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো খেললে বিশ্বকাপে সুযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মাঠে হচ্ছে এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপ শেষে ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের পর ঘরের মাঠে হবে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। তিন ম্যাচের সেই ওয়ানডে সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ। এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সোমবার সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেন, বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার শেষ তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর। তার আগে আমরা এশিয়া কাপ এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজ দেখে যারা ভালো করবে তাদের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ দেব।

বিসিবি সভাপতি বলেছেন, এখনই যে বিশ্বকাপের দল দিতে হবে তা না। এখন লজিস্টিকসের কারণে প্রাথমিক দল দিয়ে দেব। ২৭ সেপ্টেম্বর আমরা মূল স্কোয়াড দেব। এশিয়া কাপে কথা ছিল তামিম ও লিটন দাস ওপেন করবে। ওরা তো নেই। এখন ১৫ জনের দল পাঠাতে হয়...ওরা এখন পর্যন্ত সুস্থ না। কেউ তো ফিট বলে আমরা খবর পাইনি। ওদের বাদ দিয়ে দল পাঠাব? সেটা তো সম্ভব না।


আরও খবর



দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল মিথ্যা-গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ উন্নয়ন বিঘ্ন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব আয়োজিত প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ভুল তথ্যের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অক্ষুন্ন রাখতে মিথ্যা গুজব সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরে দেশবাসীকে জানাতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুস্থ্য ধারার সাংবাদিকতার গতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নাই। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত তুলে ধরে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয় নাই।

নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল, জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর