আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তালাক দেয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া- (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসির রায় প্রদান করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি তাকে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন।

আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, ২০১৩ সালে কুটি ইউনিয়নের রামপুরের কুদ্দুস মিয়ার ছোট মেয়ে সুমা আক্তার-(২৫) এর সাথে রাসেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাসেল মিয়াকে একটি অটোরিকসাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মালামাল ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন দেয়া হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নথিপত্রে বলা হয়, রাসেল মিয়া বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতো। ঘটনার ৭/৮ মাস আগে রাসেল মিয়া ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য সুমা আক্তারকে মারধোর করলে সুমা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।  ২০১৫ সালের ৩১ মে সুমা আক্তার রাসেলকে তালাক দেয়। এরপর থেকেই সুমার প্রতি ক্ষুব্দ ছিলো রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা আক্তার খাওয়া-দাওয়া শেষে বাবার বাড়ির এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা রাসেল মিয়া সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে মারা যাওয়ার আগে সুমা আক্তার হামলাকারী রাসেলের নাম বলে যায়।

ঘটনার পরদিন সুমা আক্তারের বাবা কুদ্দুস মিয়া বাদি হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে ডিসেম্বর মাসে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমা তালাক দেয়া ক্ষুব্দ রাসেল মিয়া তাকে হত্যা করেন। সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামীপক্ষের নিয়োজিত কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলোনা।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



কেমন হবে বৈশাখের সাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাংলা নববর্ষের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যায় যখন সুন্দরভাবে সেজে এই দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের সাজে নারী আরও বেশি অনন্যা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়িতে এদিন তাকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তবে গরমের সময় বলে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নয়তো সাজ নষ্ট হয়ে আপনাকে দেখতে উদ্ভট লাগতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেমন হবে বৈশাখের সাজ-

শাড়ি কেমন হবে

পহেলা বৈশাখের সাজে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুতির শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গরমের সময়ে সুতির শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আরাম পাবেন। তাই স্বস্তির জন্য সুতির শাড়িই উত্তম। সুন্দরভাবে পরলে সুতির শাড়িতেও আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। এক্ষেত্রে নতুন শাড়ি কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়িতে থাকা যেকোনো পরিষ্কার শাড়ি পরতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার সামর্থ্য আর ইচ্ছার ওপর।

মানানসই ব্লাউজ

শুধু শাড়ি নয়, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মানানসই না হলে দেখতে ভালোলাগবে না। আবার সুন্দর একটি ব্লাউজ আপনার সাজ আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এই সময়ে যেসব ব্লাউজ বেশি ট্রেন্ডিং সেসব থেকে একটি বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে শাড়ির রং কিংবা শাড়ির ঠিক উল্টো রংটিও বেছে নিতে পারেন।

গয়না কেমন হবে

পহেলা বৈশাখে গয়না না পরলে দেখতে ভালোলাগবে না। সুন্দর একটি শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে দেখতে আরও বেশি পরিপাটি লাগবে। গয়নার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আর স্বস্তির বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন। তবে বৈশাখের সাজে বেশি মানানসই কাঠ, মাটি, পুতি, কাপড় ইত্যাদির গয়না। গলায় বড় কোনো গয়না পরলে কানে হালকা গয়না পরুন। আবার কানে ভারী গয়না পরলে গলায় হালকা পরুন। এতে দেখতে ভালোলাগবে। চাইলে এই দিনে পরতে পারেন ফুলের গয়নাও।

ছবি : ফ্যাশন হাউজ মিরা। অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন : www.facebook.com/mirabrandbd অথবা https://mira.com.bd


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলায় যেসব ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর



ভুঁইফোড় নিউজপোর্টালগুলো অপসাংবাদিকতার চর্চা করে : আরাফাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভুঁইফোড় অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে বলে জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন তার প্রশ্নে বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতায় বাংলাদেশ ভরে গেছে। আমাদের অনলাইন পত্রিকার নিয়মকানুন কী, আমরা জানি না। অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকার জ্বালায় আমরা অস্থির। এটা নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না?

জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। উনি যথার্থই বলেছেন, বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবিটি শুধু সংসদ সদস্যদের নয় বা রাজনীতিবিদ বা সমাজের অন্যান্য স্তরের জনগণের নয়, খোদ সাংবাদিক সমাজ থেকে এসেছে। তাদের (সাংবাদিক) থেকে দাবি এসেছে, যতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো অপপ্রচার করছে, অপসাংবাদিকতা করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, এ জন্য আমি কিছুদিন আগে একটি নির্দেশনা দিয়েছি। একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল আছে, সেই পোর্টালগুলো ছাড়া যতগুলো পোর্টাল যেগুলো আবেদন করছে, প্রক্রিয়াধীন আছে, তার পুরো লিস্ট বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন পোর্টাল আছে। এমনকি যারা একটা আবেদনও করেনি, তাদের সবগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানাব।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন প্রদান করা হয়। বিটিআরসির সহযোগিতায় অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান আছে।


আরও খবর



দেশব্যাপী হিট স্ট্রোকে পুলিশসহ আরো ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে দূর্বিষহ জনজীবন। এরমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা আবারও বেড়েছে। ঈশ্বরদী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, মংলা ও খেপুপাড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। ৪১ জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ এমন থাকলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অনুভূতি অনেক বেশি হয়। আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, তাপমাত্রা আজও চড়বে। সহসা নিস্তার মিলবে, এমন আভাস দেশিবিদেশি কোনো আবহাওয়া মডেল দিতে পারছে না।

এদিকে হিট স্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে সারাদেশে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে ৩৩ জনের বেশি।

প্রাণঘাতী এই অসহ্য গরমে সবাই এখন চাতকের মতো তুমুল বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। উন্মুক্ত প্রান্তরে সালাতুল ইসতেস্কা পড়ছে মুসলমানরা। সিলেটসহ কিছু স্থানে বিক্ষিপ্ত যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে পথের ধুলোর মরণ হলেও মোটেই স্বস্তি মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, টানা ভারী বর্ষণ ছাড়া এই দাবদাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফল যান। সোমবার রাত ৯টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার পাশের রাস্তায় মো. আলমগীর শিকদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীর যাত্রাবাড়ির পশ্চিম শেখদি এলাকার মৃত জমির শিকদারের ছেলে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষক আফসার আলী ও মো. হাসান আলী, নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বকুল হোসেন, জামালপুরে মরিচ ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী, বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেসা, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে শ্রমিক মুজিবুর রহমান ও খুলনার আড়ংঘাটায় ৬০ বছরের অজ্ঞাত একজন মারা গেছেন।

এদিকে পরপর দুই দিন তাপমাত্রা খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আবার বেড়েছে। আজ বুধবার আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি জানান, গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়টা তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। গত শনিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে রবিবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। ঐ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার ঢাকার তাপমাত্রা আরো কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী এক সপ্তাহে পুরো দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল মাসের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে রোববার রেকর্ড ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের এই তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।’’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।’’

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

ডব্লিউএমওর তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।


আরও খবর