আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ৪ সদস্যের কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকাস্থ রেলওয়ে'র সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

রোববার বেলা পৌনে তিনটার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।

ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে এসে কি ত্রুটি রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করবো। তদন্ত করে মূলত জানা যাবে কি কারণে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ৩০০ মিটার রেল লাইন ও ১০০ রেললাইনের স্লিপার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে রেলকর্মীরা  রেলপথের মেরামতের কাজ করছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরাক। হামাস ইসরায়েলের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্কিনদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি যুক্তরাষ্ট্রকে এ সতর্কবার্তা দেন। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের হামলা শুরুর পর ইরাকে মার্কিন হামলার বিষয়ে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সুদানি আলাপকালে এ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন।

সুদানি বলেন, ইরাকে থাকা আন্তর্জাতিক জোটের উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের গোপন পরিকল্পনা জেনে যাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, হামাসের হামলার এ পরিকল্পনা তারা এক বছর আগেই জেনে গিয়েছিল।

হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি, ই-মেইল ও সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা হামাসের অভিযানের পরিকল্পনা জানত। এক বছরের বেশি সময় আগে তারা এসব জেনে গিয়েছিল। তবে বিষয়টিকে তারা পাত্তা দেয়নি। হামাসের দ্বারা এসব কাজ করা সম্ভব হবে না বলে মূল্যায়ন করেছিল তারা।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের এ হামলার নথিকে জেরিখো ওয়াল নামে নামকরণ করেছে। এ নথিটি ৪০ পৃষ্ঠার। যেখানে পয়েন্ট আকারে ইসরায়েলে হামলার বিষয় এমনকি নিহতের সংখ্যা পর্যন্তও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই।

যুদ্ধবিরতির শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনে গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় হামলা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্য হলো হামাসের অস্ত্রাগার ও অবকাঠামো। খান ইয়ানিস ও দেইর আল বালাদের হামাসের এসব লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মসজিদকে গাজার আরেক দল ইসলামিক জিহাদ নিজেদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এ ছাড়া এ সময়ে আইডিএফ একটি সেলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২০টির বেশি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমা হামলার মধ্যেই একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাসিন্দারা গাড়িতে জিনিসপত্র নিয়ে সড়কে নেমে যান। এ ছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলি শহরে রকেট ছোড়া হলে দক্ষিণ ইসরায়েলে সাইরেন বাজানো হয়। যদিও হামাসের এসব হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে মিডশিপম্যান ২০২১এ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৩ বি ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২১ এ ব্যাচের ৫৩ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৩ বি ব্যাচের ১০ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৩ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। উল্লেখ্য, এদের মধ্যে ৮ জন মহিলা মিডশিপম্যান এবং ২ জন মহিলা ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান ২০২১এ ব্যাচের মিডশিপম্যান মোঃ ফারহান আলী, (এক্স), বিএন সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী সেরা চৌকশ মিডশিপম্যান হিসেবে সোর্ড অব অনার অর্জন করেন। এছাড়া মিডশিপম্যান ইফতেখার আজম, (ই), বিএন প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে নৌ প্রধান স্বর্ণপদক এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৩ বি ব্যাচের এ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট আসিফ মোহাম্মদ সামী, (শিক্ষা), বিএন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাগণ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সেইসাথে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর নৌ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে মাথায় রেখে নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী এবং টেকনোলজি সম্পন্ন স্মার্ট নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একটি সমৃদ্ধশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে বিভিন্ন শ্রেণীর জাহাজ, স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, এমপিএ এবং সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি স্মার্ট নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও আধুনিক প্রযুক্তি নৌবাহিনীতে প্রতিনিয়ত সংযোজিত হচ্ছে। আধুনিক এবং ত্রিমাত্রিক এই নৌবাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য চৌকশ এবং প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণের গুরুত্ব তিনি তুলে ধরেন।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, আজকের নবীন কর্মকর্তারা নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। তিনি পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেয়ায় নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। নৌপ্রধান কঠোর প্রশিক্ষণ প্রদানে যে সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে নৌপ্রধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




দ.আফ্রিকায় প্লাটিনাম খনিতে দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকার ইম্পালা প্লাটিনাম খনির একটি লিফট দুর্ঘটনায় ১১ জন খনি শ্রমিক নিহত ও আরও ৭৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার খনির অপারেটর এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

লিফটটি বিকল হয়ে পড়ায় ৮৬ শ্রমিক সেখানে আটকা পড়ে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ইম্পালা প্লাটিনাম খনির মুখপাত্র বলেন, লিফটি উপরের দিকে কিছুটা উঠার পর অপ্রত্যাশিতভাবে নিচের দিকে নামতে থাকে। এতে লিফটে আটকা পড়ে ১১ জন মারা যায় ও ৭৫ জন আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর



চারঘাটে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের সোনালী আমন ধান দোল খাচ্ছে মাঠ জুড়ে। আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। ধান পাকতে শুরু করেছে।

এবছর বন্যা-খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকূলতা কাটিয়ে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকসহ শ্রমিকরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কৃষি মাঠে সোনালীর সমারোহ। দু চোখ যতটুকু যাচ্ছে ধানের ক্ষেতই চোখে পড়ছে। অনেক কৃষক মাঠে ধান গাছের পরিচর্যা করছে। কেউ কেউ সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিস্কার এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষতি পোষাতে সচেষ্ট রয়েছেন। আবার অনেক কৃষক ক্ষেতের পাশে বসে বসে ধানের পাহারা দিচ্ছেন।

উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, এবার জমিতে আমন ধানের ফসল অনেক ভাল হয়েছে। তবে জমি তৈরিতে অনেক পরিশ্রম করেছি, সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকট ছিল। সারের দামও এবার একটু বেশী ছিল। তারপরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ফলন ভালো হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। ধানের দামটা ভাল পেলে আরও খুশি হবো।

উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের পাটিয়াকান্দি গ্রামের সম্রাট আলী বলেন, এবার আমি প্রায় চার বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। এখনো কাটার উপযোগী হয়নি। তার মধ্যে এক বিঘা জমির ধান পেকে আসছে। ধানের যে পরিস্থিতি দেখছি যদি কোনো ধরনের দুর্যোগ না আসে তা হলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

উপজেলার সলুয়া ইউনিয়নের হুমায়ুন কবীর এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এবার প্রায় ১২০ শতক জমিতে আমনের চাষ করেছি। বৃষ্টির কারণে রোপা আমন লাগাতে দেরি হওয়ায় চিন্তায় ছিলাম। জমিতে ধানের অবস্থা ভালো। আশা করছি এবারো ভালো ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।

চারঘাট ইউনিয়নের এলাকার কৃষক জিল্লুর রহমান বলেন, ধানচাষে আগের মতো লাভ হয় না। সার ও টিকনাশকসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া শ্রমিকের মজুরিও আগের চেয়ে বেশি। ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে পোষাবে, না হয় লাভ হবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার পরও আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। যদি ঠিক সময়ে পানি পাওয়া যেত তাহলে আরো বেশি জমিতে চাষ করা সম্ভব ছিল। উপজেলাজুড়ে ৫ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের, ৫৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৬০ মেট্রিক টন। জমিতে ধানের অবস্থা এখন খুব ভালো রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তা হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী।


আরও খবর



রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা যখন ৯৬ সালে সরকার গঠন করি, তখন থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল বেসরকারি খাতকে আরও উজ্জীবিত করা। তাদের জন্য সব কিছু উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং বিদেশি বিনিয়োগ যাতে আসে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা বেসরকারি খাতকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আসার বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিই। আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস উত্তোলন থেকে শুরু করে সার্বিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আকর্ষণ করার প্রচেষ্টা চালাই।

তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ঐতিহাসিক ৬ দফার পঞ্চম দফা ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাতির পিতার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামো নির্ধারণ ও শিল্প-বাণিজ্য পুনর্জীবিত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ভারত ও রাশিয়া সফর করেন, ফলে বেশকিছু বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয়। জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার আগেই ১৯৭২ সালে জাতির পিতা চিলির সান্তিয়াগোতে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সংস্থা আঙ্কটাডের তৃতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ ডেলিগেশন প্রেরণ করেন। 

আরও পড়ুন>> নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনে যাচ্ছেন রওশন এরশাদ

তিনি বলেন, শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়সমূহ ও বাণিজ্য সংহত করণের ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় মাত্র এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলারে। জিডিপির আকার ৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দারিদ্রের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ৩৯টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করেছি। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। আমরা পাঁচটি বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা গঠন করেছি। ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণির সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখ। ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলারে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩