প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের কাছাকাছি যেতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় প্রথম টেস্টে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড। ৩৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে। বাকি রয়েছে আরও দুই দিন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইনিংসের যে অবস্থা তাতে লক্ষ্যটা কিউইদের জন্য প্রায় অসম্ভবই। তাছাড়া এই লক্ষ্য টপকাতে রেকর্ডও গড়তে হবে তাদের! কারণ চতুর্থ ইনিংসে ৩২৪ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের নজির তাদের নেই। ফলে অলৌকিক কিছু না হলে এই টেস্ট ইংল্যান্ড-ই জিততে যাচ্ছে।
বলা যায় কিউইদের খাদের কিনারে ফেলেছে স্টুয়ার্ট ব্রডের বিধ্বংসী এক স্পেল। ৫ উইকেটের ৪ উইকেটই তিনি নিয়েছেন। একই দিন টেস্ট বোলিংয়ে সবচেয়ে সফল জুটির খাতাতেও নাম লিখিয়েছেন অ্যান্ডারসন-ব্রড। ২০০৭ সালে জুটি হিসেবে ১০০১ উইকেট নিতে পেরেছেন ম্যাকগ্রা-শেন ওয়ার্ন। সেখানে ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটি তাদেরও ছাড়িয়ে গেছেন। ডেভন কনওয়েকে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি হিসেবে তাদের উইকেট দাঁড়িয়েছে ১০০২।
বল হাতে শেষ দিকের আধিপত্যের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংটা ছিল পেন্ডুলামের মতো। শুরুর প্রতিরোধ পোক্ত না হলেও মাঝের দিকে জো রুট ৫৭, হ্যারি ব্রুক ৫৪ ও বেন ফোকস ৫১ রানের ইনিংস খেলে ভারসাম্য ধরে রাখতে অবদান রেখেছেন। তাদের ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রান জমা করেছে। জবাবে প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ পায়নি স্বাগতিকরা। একে একে সাজঘরে ফিরেছেন ডেভন কনওয়ে (২), কেন উইলিয়ামসন (০), টম ল্যাথাম (১৫), হেনরি নিকোলস (৭) এবং আগের ইনিংসের ত্রাতা টম ব্লান্ডেল (১)। ড্যারিল মিচেল ১৩* রানে ক্রিজে আছেন। সঙ্গে ২৫ রানে ব্যাট করছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর তৃতীয় দিন শেষে:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৫৮.২ ওভারে ৩২৫/৯ ডি. (ব্রুক ৮৯, বেন ডাকেট ৮৪, পোপ ৪২, ফোকস ৩৮; ওয়াগনার ৪/৮২, সাউদি ২/৭১)
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩.৫ ওভারে ৩৭৪ ( রুট ৫৭, ব্রুক ৫৪, ফোকস ৫১, পোপ ৪৯, রবিনসন ৩৯; টিকনার ৩/৫৫, ব্রেসওয়েল ৩/৬৮)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৮২.৫ ওভারে ৩০৬ (কনওয়ে ৭৭, ব্লান্ডেল ১৩৮; রবিনসন ৪/৫৪, অ্যান্ডারসন ৩/৩৬)
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ ওভারে ৬৩/৫ (মিচেল ১৩*, ব্রেসয়েল ২৫*; ব্রড ৪/২১, রবিনসন ১/৩৪)