একুশে পদকপ্রাপ্ত
বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য
ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
মন্ত্রী আজ এক
শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের
প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় মন্ত্রী আরো জানান, "দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই অভিনেতা তাঁর অসামান্য অভিনয়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবেন।"
অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আব্বা আর নেই। আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম। আমি রাত ২টা ৩০ মিনিটে আব্বার বাসায় আসছি।
অভিনেতা কখন মারা গেছেন জানতে চাইলে ‘জানি না’ বলেই আবারও অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার মেয়ে। বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন কোয়েল।
এর আগে গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র আগমন হয় এটিএম শামসুজ্জামানের। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। প্রবীণ এ অভিনেতা আজও দর্শকের কাছে নন্দিত।