বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
১১০ বরগুনা-২ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোট ৭ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী না থাকায় শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুলতানা নাদিরার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ, পথসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মিটিং করতে দেখা যাচ্ছে।
এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুলতানা নাদিরা একাই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর সহধর্মীনী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বিএনএম (নোঙ্গর প্রতীকে) প্রার্থী প্রফেসর ড. আবদুর রহমান খোকন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ী প্রতীক) প্রার্থী জাকির হোসেন রাজু, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আশ প্রতীক) কামরুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব প্রতীক) মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা প্রতীকে) মো. আবুবক্কর সিদ্দিক ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা প্রতীক) প্রার্থী শাহ মো. আবুল কালাম।
জানা গেছে, বরগুনা-২ আসনটি বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে প্রথমবারের মতো জয় ছিনিয়ে নেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম সবুর টুলু।
২০১৩ সালে তাঁর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এরপর উপ-নির্বাচনে তার পরিবারের কোন সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে অনিহা প্রকাশ করলে এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে। এরপর থেকে তিনি পর পর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে এ আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাকি ৬ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে নতুন হওয়ায় তাদের অনেক প্রার্থীকে ভোটাররা চিনেন না বলে জানিয়েছেন এ আসনের সাধারণ জনগণ। ফলে একচেটিয়া মাঠ দখলে রয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুলতানা নাদিরার।