বরগুনা সদর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জিব কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২১- ২২ অর্থ বছরে সদর উপজেলায় পিইডিপি-৪ থেকে পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়নে ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ বিদ্যালয় প্রতি ২ লাখ টাকা করে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জিব তালুকদার পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়নের ৩৫ টি বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ পরিদর্শন করে কাজের গুনগত মান সন্তোষজনক হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন দিয়ে এসকল বিদ্যালয়গুলো থেকে ৫-১০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন বলে ভূক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। কোন শিক্ষক টাকা দিতে অপারগ হলে অথবা তার ধার্যকৃত টাকার অঙ্ক কম হলে সেই শিক্ষককে হতে হয় হয়রানির শিকার।
সদরের বৈঠাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল জলিল বলেন, আমি আমার বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ সমাপ্ত করেছি কিন্ত তারপরেও বিল করনে এলজিইডির এসও সঞ্জিবকে আমার ৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। আপনি বলেননি কেন টাকা দেবো? অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দিতেই হবে তানাহলে বিল হবেনা। এ টাকা থানা ইঞ্জিনিয়ারকে দিতে হবে এবং অফিসের নাকি তাদের খরচা পাতি আছে। এই টাকা তিনি সবার কাছ থেকেই নিয়েছেন, শুধু আমার একার নয়। তারকাছে যতগুলো বিল গিয়েছে সবার কাছ থেকেই তিনি ৫-৬ হাজার টাকা নিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ক্ষুদ্র মেরামতের বিল করনে শুধু এলজিইডি নয় শিক্ষা অফিসেও টাকা দিতে হয়। ২০২১-২২ অর্থ বছরে আমার স্কুলে ক্ষুদ্র মেরামতের বিল করনে সঞ্জিবকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এভাবে প্রতিটি স্কুল থেকেই তাকে টাকা দিতে হয়।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জিব তালুকদার বলেন, এটা যারা বলছে সম্পূর্ণ অসত্য সঠিক নয়। কোন শিক্ষকের কাছ থেকেই টাকা নেইনি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সূপ্রিয় মূখার্জী বললেন, আমি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।