আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বরগুনায় ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা নুর আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকুরী না দেয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলমের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।

আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান সোমবার এ মামলা তদন্তের দিন ধার্য করেছেন।

প্রধার শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো ৬/৭ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক তার অনিয়ম ধামাচাপা দিকেই পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করে বারবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার স্ত্রী মোসাঃ শিমুল ইসলামকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করছেন বলে অভিযোগ অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের। এতে ক্ষুব্দ বিদ্যালয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী। দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাসহ পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা গ্রামে শিক্ষানুরাগী মোঃ আফসার উদ্দিন মাষ্টার দক্ষিণ রাওঘা নুর আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। নব্বই দশকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোঃ সামসুল আলম নিয়োগ পান। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েই শুরু করেন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা। গত ত্রিশ বছরে তিনি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাকে যথাযথ সম্মানটুকু দেয়নি এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠাতার  জেষ্ঠ পুত্র গাজী মোঃ গোলাম মোস্তফার। ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক নিজের মত করে তার আত্মীয় তৎকালিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধাকে সভাপতি করে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়। গত তিন বছরে তিনি পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেননি। প্রধান শিক্ষক বারবার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার স্ত্রী মোসাঃ শিমুল ইসলামকে এডহক কমিটির সভাপতি করে আসছেন। বিদ্যালয় অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তার নিজের অনিয়ম ধামাচাপা দিতেই পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করে বারবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীকে এডহক কমিটির সভাপতি করছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরেছে। কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন না বলে অভিযোগ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগের নামে ৬/৭ জনের কাছ থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জিয়াউল হক নামের একজন প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলমের বিরুদ্ধে গত ১ মার্চ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিককে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ মামলা তদন্তের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন।

ররিবার সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখাগেছে, বিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আসলেও কোন শিক্ষক নেই। দুই ঘন্টা পরে (১১ টায়) প্রধান শিক্ষক আসলেও কোন সহকারী শিক্ষক আসেননি। ছাত্র-ছাত্রী তাদের ইচ্ছামত ছুটাছুটি করছে।

শিক্ষার্থী তাহসিন, রাকিব, মুছা ও মোঃ রাহাত বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। তিনি না আসার কারণে সহকারী শিক্ষকরাও নিয়মিত ক্লাসে আনেন না। ফলে ঠিকমত ক্লাসে পাঠদান হচ্ছে না। তারা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বিদ্যালয় না এসে তাবলিগে যান।

স্থানীয় হাসান খাঁন, লেলিন মোল্লা, অপু গাজী ও হানিফ খাঁন বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলমের স্বেচ্ছাচারিতা ও খামখেয়ালিতে বিদ্যালয়টি ধংষের মুখে। তিনি বিদ্যালয়তো আসেনই না তারপর গত তিন বছর ধরে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করছেন না। নিয়োগ বাণিজ্যসহ তিনি তার নানাবিধ অনিয়ম চামাচাপা দিতেই বারবার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার স্ত্রী শিমুলকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করছেন। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত করে দ্রুত পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।

মামলার বাদি মোঃ জিয়াউল হক বলেন, আমার বাবা এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন আমাকেই টাকা দিয়ে চাকুরী দিতে হবে। আমাকে চাকুরী দেয়ার নামে প্রধান শিক্ষক তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন। চাকুরীতো দিচ্ছেই না উল্টো টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলম চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এডহক কমিটি গঠনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারবো না। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে? এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি তিনি।

বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি মোসাঃ শিমুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন টাকা নেয়নি। এগুলো মিথ্যা কথা। তবে বারবার এডহক কমিটির সভাপতি আপনী এবং তার স্বামী শহীদুল ইসলাম মৃধা হওয়ার প্রসঙ্গ তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। 

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মিলন বলেন, এডহক কমিটি গঠনের বিষয়টি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের, আমার না। আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পাবরো না। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষক না আসার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



শেরপুরে বিএনপির সভাপতিসহ ২২ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের দায়ের করা ৪টি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এসব নেতাকর্মী শ্রীবরদীর জিআর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।

আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভুঁইয়া জামিন আবেদন শুনানী শেষে তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. কে মুরাদজ্জামান জানান, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহমুমুদল হক রুবেলকে প্রধান আসামী করে করে চারটি মামলা দায়ের করেন। ওইসব মামলায় উচ্চআদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন এসব নেতাকর্মী। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার শেরপুরের শ্রীবরদীর আমলি আদালতে হাজির হয়ে চার মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি শেরপুর

আরও খবর



মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাবির কোয়ার্টার থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষের চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪