আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন অতি দরিদ্রদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের মোতালেব গাজী আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) দুই প্রকল্পে ৬৬ লাখ ৭২ হাজার টাকায় কাজ দেয়। নীতিমালায় উল্লেখ আছে, দুই প্রকল্পে ১৩৯ জন হতদরিদ্রদের তালিকা করে ওই তালিকার শ্রমিক দিয়ে কাজ সমাপ্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের মোবাইলের মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কাজের টাকা পরিশোধ করবেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি নীতিমালা অনুসারণ না করে তার আত্মীয়-স্বজন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবি ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের তালিকা করে নামমাত্র কাজ করে মোবাইল সিম নিজের কাছে রেখে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হতদরিদ্র তালিকায় আমার নাম কেন থাকবে? আমি এ কাজের বিষয়ে কিছুই জানি না এবং টাকাও উত্তোলন করিনি।

তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কবির প্যাদা বলেন, আমি কাজের বিষয়ে কিছুই জানি না। আর হতদরিদ্র তালিকায় আমার নাম দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি কোনো টাকাও নেইনি।

এদিকে এ বিষয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি নীতিমালা অনুসারে শ্রমিক দিয়ে সঠিক মতো কাজ করেছি।

এ প্রসঙ্গে আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, ইউএনও স্যার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর