শৈশবের স্বর্ণের ডিম পাড়া হাঁসের গল্পটি মনে আছে নিশ্চয়ই সবাইর। হাঁসটি প্রতিদিন একটি করে স্বর্ণের ডিম দিতো। তবে স্বর্ণ না হলেও বাস্তবে কালো রঙের ডিম দিচ্ছে বরগুনার সদর উপজেলায় মো. রহিম আকনের একটি হাঁস।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের উত্তর ইটবাড়িয়া আকন বাড়ি। এ ঘটনা জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পাতি হাঁসটির মালিক মো. রহিম আকন বলেন, তিন মাস আগে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে পাতি হাঁসের বাচ্চা নিয়ে আসি। এরপর থেকে স্বাভাবিক নিয়মই বাড়িতে হাঁসগুলো লালন পালন করি। গত চার দিন কালো রং এর অদ্ভুত আকৃতিক ডিম পাড়ে।
বশির উদ্দিন নিমু আল আরাফা ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমার নানু বাড়ি থেকে এই পাতিহাঁস গুলো আনছিলাম। কিছু দিন ধরে কালো কুচকুচে রং এর ডিম পাড়ে। হাঁসটি কেন কালো রঙের ডিম পাড়ছে বুঝতে পারছি না। একটি কালো ডিম আমরা ভেঙ্গে দেখছি ভিতরে স্বাভাবিক ডিমের মতনই রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আজ সকালে শুনছি আমরা। সাতটি ডিম দেখবো এবং নমুনা সংরক্ষণ করব। এরপর ডিম ও হাঁসটি পরীক্ষাগারে পাঠাবো।
ডিমের কালো রঙের ব্যাখ্যায় এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হাঁসটির কোনো পরিযায়ী পাখির সঙ্গে প্রজনন হয়েছে। কিছু পরিযায়ী পাখি কালো রঙের ডিম দেয়। যে কারণে হাঁসটি কালো রঙের ডিম দিচ্ছে। অথবা হাঁসটি কালো রং এর কেমিক্যাল খেয়েছে। হাঁসটির জরায়ুর সমস্যার কারণে ডিমের রং কালো হতে পারে।