আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বরগুনায় মোখা'র পরেই কালবৈশাখীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ অনেক পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখা বরগুনায় ৮ নং মহাবিপদ সংকেত গেলেও কোনো আঘাত না করলেও মোখার পরের দিন কালবৈশাখীর ঝরে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড করে গেছে কয়েকশ‌ গাছপালা ও ঘর বাড়ি। এর প্রভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

সোমবার (১৫ মে) রাত ৯টার দিকে বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েগেছে কালবৈশাখী ঝড়।

জানা‌ যায়, রাতে হঠাৎ করে এই ৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে বরগুনা জেলা সদর আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটাসহ অন্যান্য উপজেলার শতাধিক গাছপালা ও অনেক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এ সময় ঝড় ও তুমুল বৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলা, মুগ ডাল ও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ সময় ঝড়ের তাণ্ডবে জেলার বরগুনা সদরের আয়লা-পাতাকাটা, পুরাকাটা, বুড়িরচর, তালতলীর বগি, আগা ঠাকুরপারা, এটেন পারা, বেতাগীর বিবিচিনি, মোকামিয়া, ফেরিঘাট এলাকা, পাথরঘাটার আমড়াতলা, কাকচিড়া, লেমুয়া, হাতেমপুর, টেংরা ও পদ্মা ভাঙ্গন ও অন্যান্য উপজেলাসহ প্রায় ১০০ গ্রামের মানুষের ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বেগে বয়ে চলা বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের চালা। নষ্ট হয়েছে ঘরে রতি খাদ্যসামগ্রী। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘরের আসবাবপত্র। ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের অসংখ্য মিটার। রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে।

সদর উপজেলার আবু সালেহ বলেন, হঠাৎ করে কালবৈশাখীর ঝড় এসে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে। তবুও সবকিছু মিলিয়ে আল্লাহ অনেক ভালো পেয়েছে আমাদের।

পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়ানের আমড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা জহির বলেন, রাতে হঠাৎ করে পশ্চিম দিক থেকে শোঁ শোঁ শব্দ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। গাছপালা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জামাল বলেন, রাতে কোনো কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই থেমে যায়। ঘর থেকে বাইরে যেয়ে দেখি বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে রান্না ঘরের ওপর পরে আছে। তবে অল্পের জন্য আমরা প্রাণে বেঁচে যাই।

পল্লী বিদ্যুতের পাথরঘাটা উপজেলা এজিএম মিজানুর রহমান বলেন, রাতের ঝড়ে উপজেলার কাকচিড়া, কামারহা, পদ্মা, রুহিতা, হাতেমপুর, রায়হানপুরসহ একাধিক এলাকায় গাছ পরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে বা কত সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। আমরা কাজ করছি।

বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সঞ্জীব দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মুখ হওয়া শেষ হওয়ার পর পরই না জানিয়ে কালবৈশাখীর তান্ডব বেশ মানুষকে ক্ষতি করে চলে যায়। তবে আল্লাহ অনেককেই রক্ষা করেছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রশাসনকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূলে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আগামীতে আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, নিজেদের কৌশল অবলম্বন করে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সাইবার হামলার চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের নিজস্ব কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রুমা থেকে অক্ষত অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র‌্যাব। একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র‌্যাব তাকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ড লাইনে যাইনি। তবে আজকে থেকে আমরা সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়।

তিনি বলেন, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরও বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না, সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


আরও খবর



জাবিতে আবাসিক হলে হেরোইন সেবনকালে দুই শিক্ষার্থী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হলে হেরোইন সেবনকালে দুই শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করেছে হল প্রশাসন।

আটককৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী বশির আনজুম অর্নব এবং একই ব্যাচের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ মিয়া।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ১টায় হলের বি ব্লকের ১৩৫ নাম্বার কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি হলের একটি কক্ষে হেরোইন সেবন চলছে। তৎক্ষনাৎ হলের আবাসিক শিক্ষক মওদুদ আহমেদকে নিয়ে হলের ১৩৫ নম্বর কক্ষে অভিযান চালাই। পরে সেখানে দুই শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করি। প্রাথমিক অবস্থায় দুইজনের একজন সেবনের কথা স্বীকার করেছে। পরে ডোপ টেস্ট করার জন্য আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছি। পরদিন তাদের পরীক্ষা থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেব। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু এরাই নয়, হলের আরও বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর নামে আমরা এমন তথ্য পেয়েছি। তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর চলছে। প্রমাণ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতবছর (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা এক মোবাইল কারিগরকে তুলে নিয়ে ছিনতাই করার অভিযোগে অর্নবকে হাতেনাতে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা।


আরও খবর



বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন আতিফ।

ফেসবুকে মাত্র ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি। আতিফের পোস্ট করার কিছুক্ষণেইর মধ্যেই ভাইরাল হয় সেই পোস্ট।

তবে সেই পোস্টে বিস্তারিত কিছু জানাননি আতিফ। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন- কোনো কিছুই স্পষ্ট করেননি বলিউডে তারকা এই সংগীতশিল্পী।

এর আগে দুইবার ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ। ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

নিউজ ট্যাগ: আতিফ আসলাম

আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ২ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবান জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর