পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকি। সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্তজুড়ে কাশফুল জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনের কথা। তবে নিজেদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে এখন আনন্দে উদ্বেলিত বরগুনার সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন।
আসছে ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এরইমধ্যে প্রতিমাগুলো রং দিয়ে প্রস্তুত করে রেখেছে মৃৎশিল্পীরা। অন্য দিকে রংবেরঙের সাজে সেজেছে মন্দিরের চারপাশ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরগুনা জেলার শাখার তথ্য মতে, বরগুনা জেলায় ১৫২ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ২৩টা মণ্ডপ, পাথরঘাটা উপজেলায় ৪৮ টি মণ্ডপ, বামনা উপজেলার ১৬ টি মণ্ডপ, বেতাগী উপজেলায় ৩৮ টি মণ্ডপ, আমতলী ১৪ এবং তালতলী উপজেলায় ১৩ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার জন্য সকল প্রস্তুত করে রেখেছে।
পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে দ্রুতগতিতে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির কাজ। দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগর থেকে শুরু করে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর। মণ্ডপে মণ্ডপে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও।
ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে পূজা উদ্যাপন পরিষদ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি সুখরঞ্জন শীল বলেন, ২০২৩ সালে বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলার সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক প্রেরিত দুর্গা পূজা মন্ডপের তালিকায় ১৫২টি দুর্গা পূজা মন্ডপে প্রস্তুতির কাজ ৮০ভাগ শেষ হয়েছে। মন্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে।
বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার আবদুছ সালাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন টিম থাকবে। এছাড়াও র্যাবের মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।