আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

বরগুনায় সাত বছর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার বেতাগীতে সাত বছর পর যৌতুক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। গত ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত দশটায় কালিকাবাড়ী প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মোঃ রাহাত মিয়া ওরফে ইবরাহীম (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, CR ৯১০/১৫ ঢাকা আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ধারা এই মামলার ২০১৫ সালে রায় হয়। দুই বছর তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

সাত বছর পলাতক থাকার পরে ১৭ জানুয়ারি রাত ১০ ঘটিকায় কালিকাবাড় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেতাগী থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী এলাকার মুমিন উদ্দীন হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাহাত মিয়া ওরফে ইবরাহীম(৪৫) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারা হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে তার প্রথম স্ত্রী মামলা করেছিলেন, মামলার রায় হলে তিনি এতদিন পলাতক ছিলেন গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই নজরুল তাকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



মিয়ানমারের কারাগার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর নেভাল শিপ চিন ডুইন’ জাহাজ থেকে এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পর পরই ঘাট থেকে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়েছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য। তাদের গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

বুধবার বেলা ১১টা দিকে নুনিয়ারছড়া আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, দুপুরে ১৭৩ বাংলাদেশী ঘাটে এসে পৌঁছতে পারেন। যারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভিড় করছেন স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে মিয়ানমার ফেরত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বলছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমার নেভাল শিপ চিন ডুইন’ ১৭৩ বাংলাদেশিদের বহন করে মঙ্গলবারই যাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসছেন।

মূলত এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালেই বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবেন।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

গত বছরের শেষ থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও বিজিপির সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আরাকান আর্মির হামলায় গত কয়েক মাসে দেশটির কয়েকটি সরকারি বাহিনীর কয়েক শত সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল এক দিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, গত ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর



গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

তিনি বলেন, পরিবার ও সমাজের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব। খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি। যেমন, বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা এবং অসুস্থ বোধ করলে বিশ্রাম নেওয়া বা বেশি খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

রোববার (২১ এপ্রিল) সাধারণ মানুষের জন্য এসব পরামর্শ তুলে ধরেন বুশরা আফরিন।

খাবার পানির সুব্যবস্থা ও ছায়াযুক্ত স্থান বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার জন্য, যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়, চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

গত এক বছরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বুশরা আফরিন বলেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ তারা অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। সেসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও সচেতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ আরও বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছি। এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিশদভাবে অবহিত করা হবে। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ু দূষণ রোধ ও মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।


আরও খবর