বরগুনায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি পরতে থাকে। কিছুদিন ধরে চলছে হঠাৎ তুমুল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস ও শীতের তীব্রতাও বাড়তে থাকে।
এমন টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে যায় সাধারণ মানুষ। সপ্তাহ জুড়ে দীর্ঘদিন বৃষ্টির জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। এমন সময় বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ সহ সকল শ্রেনী পেশাজীবি মানুষ। কাজে বেরিয়ে ভিজে ঘরে ফিরতে হয় অনেকের। তুমুল বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট হাট- বাজারেও নেই কোনো মানুষের আমেজ।
বরগুনা পৌর শহরের টাউনহল বাস স্টেশন এলাকার ব্যাবসায়ী (মুদি দোকানদার) মোঃ নোমান বলেন, আমি প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত (মুদি মালামাল) বিক্রি করি। কিন্তু বৃষ্টি আসায় দোকানের ঝাপ নামিয়ে বসে আছি। আবহাওয়াটা খারাপের কারণে দাঁড়িয়েই আছি, কোনো বিক্রি নেই বললেই চলে।
রিকশা চালক জসিম বলেন, দিন আনি দিন খাই এই রিকশা দিয়াই মোগো সংসার চলে যেই বৃষ্টি শুরু হইছে এতে না খাইয়া মোগো মইরা যাওয়া লাগবে বৃষ্টিতে কোন যাত্রীও মিলছে না!
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বরগুনার নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহাতাব হোসেন বলেন, খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচে ১.৪০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমান বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.০০ মিলিমিটার।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলীয় জেলেদের মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে থাকার জন্য আহবান করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।