সারাদেশে ডেঙ্গুর
ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মারাও যাচ্ছে
অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যেন ডেঙ্গুবাহিত মশার বাসস্থান
হয়ে উঠেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ডেঙ্গুমশা
থেকে বাঁচতে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকগণ নানা পরামর্শ দিলেও নিজেরাই মানছেন না
সেসব নিয়মকানুন। হাসপাতাল এরিয়ার মধ্যে জমে থাকা ময়লার স্তূপে ডেঙ্গুর বংশবিস্তার হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের
পেছনের ড্রেনগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। প্রতিটি ড্রেনে রয়েছে পঁচা কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত
পানি। যেখানে- সেখানে রয়েছে ময়লার স্তূপ ও জলাবদ্ধতা। এসব ময়লায় জন্ম নিচ্ছে মশা, সঙ্গে
ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। এছাড়াও হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে গজিয়ে উঠেছে কচু গাছ, নানা জাতের
আগাছা, গাছগাছালি ও ঘাস। এগুলোর নিচে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি
হয়েছে এবং ওখান থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা ও পোকা-মাকড়। ভবনের দেয়ালে ও ছাদেও নানা জাতের
আগাছা গজিয়ে উঠেছে। দেয়াল বেয়ে পানি পড়ছে। এতে আয়ু কমছে ভবনের।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও
তার স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই
যদি ডেঙ্গু মশা বিস্তারের স্থান তৈরি করা হয়, সেটা বড় কষ্টদায়ক। এ ব্যাপারে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষের তেমন ভ্রূক্ষেপ নেই বলে জানালেন একাধিক রোগী। হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ
শ্রেণির কর্মচারীও ইদানিং দায়সারা কাজ করেন। আবার কখনো হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকারও অভিযোগ
রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনায়েম সাদ বলেন, আমাদের হাসপাতাল নিয়মিতই পরিষ্কার করা হয়।
অপরিষ্কার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে, রোগীরা ওষুধের প্যাকেট, খাবারের অবশিষ্ট অংশ ও
নানা ময়লা আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলানোর কারণে মাঝেমধ্যে আমাদের কিছুটা সমস্যা পোহাতে
হয়। তবে, রোগী ও তাদের স্বজনদের একটু সচেতনতা এ সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তারে জলাবদ্ধতা ও আবর্জনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করব।