ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল বরগুনায় গুমোটে আবহাওয়া বিরাজ ও কাল রাত থেকে দিনভর তুমুল বৃষ্টি চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসন থেকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা, শুকনো খাবার প্রস্তুত ও মাইকিং করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সারা দিন ধরে বেপরোয়া বাতাসসহ তুমুল বৃষ্টিতে সুর্যের মুখ দেখেনি উপকূলবাসী। উপকুলীয় জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। এবং অনেক ট্রলার ও জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী।
জানা গেছে, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মিধিলির প্রভাবে সাগর ও পায়রা, বলেশ্বরসহ বরগুনায় বয়ে যাওয়া নদীগুলো উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন>> সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মিধিলির মোকাবেলায় বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৬৪২টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। তারমধ্যে বরগুনা সদরে ১৮৫, আমতলী ১১১, পাথরঘাটা ১২৪, তালতলী ৫৩, বেতাগী ১১৪ ও বামনা উপজেলায় ৫৫টি। মুজিব কেল্লা রয়েছে ৩টি। আশ্রয়ণ কেন্দ্র ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন। জেলায় স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্য রয়েছে ৯ হাজার ৬১৫ জন।
তিনি বলেন, আমাদের মানবিক সহায়তা মজুদ রয়েছে খাদ্য ৪৩০ মেট্রিক টন। নগদ অর্থ ৬ লাখ। ঢেউ টিন ৯৬ বান্ডিল। কম্বল ২ হাজার পিস। বন্যার তথ্য জানতে এবং জানাতে ৬ উপজেলায় ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাত ৮টার মধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হয়। একজন মানুষও এ ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন থাকবে না, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।