আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বরিশালে আজকের দর্পণের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বরিশাল থেকে শহিদুল ইসলাম মাহিন,  

দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৯ম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বরিশাল ব্যুরো অফিসে বৃহস্পতিবার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত। বরিশাল ব্যুরো প্রধান শহিদুল ইসলাম মাহিনের সভাপতিত্বে কেক কাটা, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা নগরীর গোড়া চাঁদ দাস লেনে ব্যুরো অফিসে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে কেক কাটেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক মো. সাব্বির হোসেন, বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর মোরশেদ আলম, দৈনিক যায়যায়দিন ব্যুরো প্রধান আরিফুর রহমান, ডেইলি ট্রাইব্যুনাল ব্যুরো চিফ প্রশান্ত কুন্ডু, দৈনিক আমাদের কন্ঠের ব্যুরো প্রধান সুলতান খান, দৈনিক নবচেতনার ব্যুরো প্রধান মোঃ মাসুদ রানা, দৈনিক আজকের সুন্দরবন পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক মুজিব ফয়সাল, নিউজ পোর্টাল দৈনিক বরিশালের বার্তা সম্পাদক জাহিদ আনাফ প্রমুখ।


আরও খবর



‘নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে’

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় আলু উৎপাদনকারী জেলা রংপুরে পণ্যটির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির কারণ সরেজমিন দেখতে এসে রংপুর নগরীর উত্তম হাজিরহাট এলাকায় হিমাগারে অভিযানে নেতৃত্ব দিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।

এ সময় হিমাগারের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম লেবু এবং সিন্ডিকেট আলু ব্যবসায়ী রাসেলকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।

আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বেঁধে দেওয়া ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি না হলে, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে, ডিমের মতো আলু আমদানির জন্যও সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ড স্টোরেজে বিপুল পরিমাণ আলু অবৈধভাবে গুদামজাত করে রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছি। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। জনগণকে জিম্মি করে আলুর বাজার অস্থির করে মুনাফা করবেন, তা বরদাশত করা হবে না। আমরা আরও তিন-চার দিন দেখবো, তারপর আলু আমদানির জন্য সুপারিশ করবো।

তিনি বলেন, এই আরমান কোল্ড স্টোরেজে রাসেল নামে এক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা এবং স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১২ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রাখা আইনত অপরাধ এবং আলুর বাজার অস্থির করে রাখার একটা সুগভীর চক্রান্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটিরও বেশি টাকা ঋণ নিয়ে নাকি কৃষকদের দিয়েছে। কী উদ্দেশ্যে তারা ঋণ নিয়ে কৃষকদের দিয়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে আলু ব্যবসায়ী রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেট চক্র আলু কোল্ডস্টোরে জমা করে কী করেছে, কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিলবিস্তারিত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, আমরা সরেজমিন দেখেছি, আরমান কোল্ডস্টোরেজে এখনও পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে। আলু বের করার সময় আর মাত্র দেড় থেকে দুই মাস বাকি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আলু কোল্ডস্টোরেজ থেকে বের করা না হলে পচে যাবে। তারপরও কেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে স্টোরে মজুত রেখেছেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আলুর কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বেশি পাওয়ার জন্য মজুত করে রাখা হয়েছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।

তিনি কোল্ডস্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অভিযান পরিচালনাকালে তার সঙ্গে ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা অধিদফতর ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিউজ ট্যাগ: আলু

আরও খবর



কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি। সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই প্রচেষ্টাকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহুপাক্ষিক অর্থায়ন সংস্থাগুলোসহ আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইউএনজিএর ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক: ইনোভেটিভ এপ্রোচ এচিভিং ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি শীর্ষক উচ্চ-স্তরের সাইড-ইভেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এই বছর শপথ নেওয়ার সময় আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে উৎসাহিত বোধ করছি। গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ইস্যুটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি ও দক্ষতা বিনিময় করতে প্রস্তুত আছে। সব সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আশা করি এই সাইড ইভেন্ট স্বাস্থ্য, আমাদের জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।  ২০১৮ সালে পার্লামেন্টে কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাশ হয়েছে। যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরও সহজতর করা যায়। স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি ধারণা, যা বাংলাদেশে সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে গেছে। এটি এখন আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই মডেলটিকে বাকি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি সর্বোত্তম অনুশীলন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক দূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যমুনা নদীর ভাঙ্গন

ঘরবাড়ি ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে আরও দুই শতাধিক পরিবার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি শনিবার বিকেলে ৩টায়  বিপদসীমার ২২ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যমুনা নদীর প্রবল স্রোতে ঘূর্নাবর্তের সৃষ্টি হয়ে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামার গ্রামে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ইছামারা এলাকায় যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে মূহুর্তের মধ্যেই ৮০টি বসতবাড়ীর জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বেশ কিছু ঘরবাড়ী ও মালামাল নদীতে ভেসে গেছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ইছামারা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ চলছে। অপরদিকে নতুন করে আরোও ২ শতাধিক পরিবারের লোকজন নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘরবাড়ী ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। ইছামারা থেকে গোদাখালি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পরিত্যক্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুপাশে বসবাস করা এসব পরবিারের লোকজন তাদের বসতঘর, মালামাল, গবাদিপশু নিয়ে অন্যত্রে সরিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং নদী ভাঙ্গনে আতংকে লোকজনগুলো পাশেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে । বেশ কিছু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্য উপজেলায় চলে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী  নাজমুল হক জানান, শনিবার ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর থেকে অপরিবর্তিত থেকে যমুনার পানি বিপদসীমার ২২ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে পানি কমেছে। নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। আতংকিত  হওয়ার কিছু নেই। রবিবার থেকে পানি কমবে এবং নদী ভাঙ্গন রোধ হবে বলে আসা করছি।

এদিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম শনিবার দুপুুরে ভাঙ্গন কবলিত ইছামারা এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নদী ভঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২শ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অক্টোবরে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে ২২ দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে এ বছর অক্টোবর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার।

এ লক্ষ্যে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসবে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি।

বৈঠক থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৈঠক থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ চলাকালীন জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার ঘোষণাও দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের নানাবিধ উদ্যোগে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে গ্রামগঞ্জে এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। রপ্তানিও করা হচ্ছে। ইলিশ রক্ষায়, ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। দিনে অভিযানের পাশাপাশি রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা করা হবে। এছাড়া মাছ ধরা বন্ধের সময় যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধিত জেলেদের নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় থাকে। একই সঙ্গে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দূল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক মো. মনজুর হাসান ভুঁইয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, নৌ পুলিশ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, মৎস্য বিজ্ঞানী, ইলিশ সম্পৃক্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ, ওয়ার্ল্ড ফিশের প্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) সূত্রে জানা গেছে, একটি ইলিশ ৩ থেকে ২১ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। মিঠা পানিতে ডিম দেওয়ার পর ২২-২৬ ঘণ্টার মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা হয় এবং ৫-১৫ সেন্টিমিটার আকার পর্যন্ত ৫-৭ মাস এরা নদীতে থাকে। পরবর্তী সময়ে এরা আবার সাগরের দিকে ধাবিত হয়। ইলিশ ১-২ বছর বয়সে (২২-২৫) সেন্টিমিটার আকারে পুরুষ; ২৮-৩০ সেন্টিমিটার আকারের স্ত্রী প্রজননক্ষম হয়। তখন এরা আবার মিঠা পানির দিকে অভিপ্রয়াণ করে। তখনই সাগর মোহনায় স্ত্রী ইলিশ অপেক্ষাকৃত বেশি ধরা পড়ে। ইলিশ সারা বছরই কম-বেশি ডিম দেয়। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরই হচ্ছে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। অক্টোবর অর্থাৎ আশ্বিন মাসের প্রথম পূর্ণিমার ভরা চাঁদে এ মাছ প্রধানত ডিম ছাড়ে। এ জন্য চলতি বছরে আশ্বিনের বড় পূর্ণিমার দিনসহ পূর্বের ১৭ দিন এবং পরের ৪ দিন (১৭+১+৪) মোট ২২ দিন ইলিশ আহরণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।

বিএফআরআই সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে মোট ৩ প্রজাতির ইলিশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুটি (চন্দনা ও গোর্তা ইলিশ) সারা জীবন উপকূল ও সাগরে কাটায় এবং অপরটি মিঠা পানি ও লোনা পানিতে জীবন অতিবাহিত করে। ইলিশ স্রোতের বিপরীতে দৈনিক ৭১ কিলোমিটার অভিপ্রয়াণ করতে পারে। পৃথিবীর মোট ১১টি দেশে বর্তমানে ইলিশ পাওয়া যায়। দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। বিশ্বে আহরিত ইলিশের প্রায় ৭৫ ভাগ বাংলাদেশ আহরণ করে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, মিয়ানমার এবং তৃতীয় অবস্থানে ভারত। ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যেত। বর্তমানে ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রশাসন ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক ইলিশ ব্যবস্থাপনা কৌশল মাঠপর্যায়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করায় দেশব্যাপী ইলিশের বিস্তৃতি ও উৎপাদন বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন ছিল। সরকার গৃহীত ব্যবস্থাপনা ও কৌশল সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ফলে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।

এদিকে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ২০১৯ সালে ২৪৬ কোটি টাকার ইলিশ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেয় মৎস্য অধিদপ্তর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। ৪ বছরে বার্ষিক উৎপাদন ৬ লাখ ২০ হাজার টন বা ১৬ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে মৎস্য অধিদপ্তর। তবে ৩ বছরে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। মৎস্য অধিদপ্তর এখনো ২০২২-২৩ অর্থবছরের তথ্য প্রকাশ করেনি।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দীর্ঘ তিন দশক পর এটিই দেশটির কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা ও প্যারিসের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন শেষে ঢাকায় আসবেন তিনি।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বাংলাদেশে আসছেন। ঢাকায় অবস্থানের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর পাশাপাশি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফরের ব্যাপ্তি খুব বেশিদিন নয়। জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফরে এসে ১২ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন তিনি।

এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্যারিসে দ্বিপক্ষীয় সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি। শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের সময় বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের জন্য ব্যবসা, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় জোর দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্মতিপত্রে সই করে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফর গুরুত্বপূর্ণ ও কৌতুহলোদ্দীপক।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩