আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বরিশালে মাটির হাঁড়ির রান্না খেতে ভিড়

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বরিশাল প্রতিনিধি:

আগেকার দিনে যখন কাঠ-কয়লায় বা উনুনে যখন রান্না করা হত, তখন মাটির হাঁড়ির চলটা ছিল সবচেয়ে বেশি। ধীরে ধীরে যুগের সঙ্গে রান্নার ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। সঙ্গে মাটির হাঁড়ির ব্যবহারও বেশ কমে গিয়েছে। কিন্তু গবেষণা বলছে মাটির হাঁড়িতে রান্না করলে সে খাবারের স্বাদ যেমন আলাদা হয়, তেমনই তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী।

বর্তমানে ভারতে মাটির হাঁড়িতে রান্নার চল থাকলে বাংলাদেশে এটি তেমন দেখা মেলে না। সম্প্রতি বরিশালে একটি রেস্টুরেন্টে মাটির হাঁড়িতে নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করতে দেখা গেছে। আর এসব খাবার খেতে প্রতিদিনিই ভিড় বাড়ছে ভোজন রসিকদের। বরিশাল এই প্রথম বারের মতো নগরীর চৌ-মাথা এলাকায় এ্যারাবেল্লা নামে একটি রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বরিশালে নামি-দামি বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠলেও তেমন জমাতে পারেনি কেউ। খাবার আসল স্বাদ পেতে এখানে আসেন তারা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, মাটির হাঁড়িতে এসব জিভে জল আনা এসব ব্যতিক্রমী রান্না খেতে প্রতিদিন ভোজন রসিকদের ভিড় লেগেই থাকে এই রেস্টুরেন্টে। এখানে মাটির হাঁড়িতে রান্না করা খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মাটির হাঁড়িতে খাসি, গরু, হাঁস, মুরগীর মাংস রান্না ও মাটির হাড়িতে বিরিয়ানী রান্না। মাংস দিয়ে খাবার জন্য এখাতে তৈরি করা হয় চালের তৈরি রুটি।

নগরীর রুপাতলী থেকে এ রেস্টুরেন্টে হান্ডি বিফ (মাটির হাঁড়ির মধ্যে গরুর মাংস রান্না) ও হান্ডি বিরিয়ানী (মাটির হাঁড়ির মধ্যে বিরিয়ানী রান্না) খেতে এসেছেন সাথী খানম। তিনি বলেন, বরিশালে আগে এধরনের খাবার খাইনি। স্বাদের তুলনা হয় না। মাঝে মধ্যেই এখানে খেতে আসি পরিবার নিয়ে।

এ্যারাবেল্লা রেস্টুরেন্টের কর্মীরা বলেন, সকালে একটু কম চাপ থাকলেও বিকেল হলেই ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। ক্রেতারা শুধু খেয়েই যান না, বাসা বাড়িতে পারিবারের জন্যও নিয়ে যান।

রেস্টুরেন্টটির প্রধান সেফ মোঃ বাচ্চু বলেন, সাধারণ পাত্রে রান্না ও মাটির পাত্রে মধ্যে রান্নার পার্থক্য নিশ্চই জানা আছে। এদের মূল পার্থক্য স্বাদ আর পুষ্টি উপদানে। কাচ বা স্টিলের পাত্রের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটির পাত্রের ব্যবহার প্রায় হারাতে বসেছে। তাই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ও ক্রেতাদের ভালো মানের খাবার পরিবেশনের জন্য এ আয়োজন।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, মাটির পাত্র এক ধরনের ক্ষারীয় উপাদান দিয়ে তৈরি যা খাবারের অ্যাসিড প্রক্রিয়াজাতকরণে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে। তাছাড়া মাটির পাত্রে রান্না করা খাবারে লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সালফারের মান বেশি থাকে।

মাটির পাত্রে রান্নার উপকারিতা\ স্বাদ ও পুষ্টির বিবেচনায় সব ধরনের রান্নার জন্য মাটির পাত্র উপযোগী। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, মাটির পাত্র রান্না ধীর করে এবং খাবারের স্বাদ ও মান উন্নত করে। মাটির পাত্রে রান্না করলে খুব সহজেই তেলের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়। কেননা এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতা খাবার ভালোভাবে রান্না করার জন্য উপযোগী।  মাটির পাত্র কাদা দিয়ে তৈরি করা হয়। যাতে প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষারীযুক্ত হয়। তাপ প্রয়োগে মাটির পাত্র খাবারের অ্যাসিডের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে এবং পিএইচয়ের ভারসাম্য বজায় রাখে। যা খাবারকে সহজপাচ্য করে। তাছাড়া এটা খাবারের পুষ্টি উপাদান যেমন- লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম এবং সালফার ঠিক রাখে। মাটির পাত্রে রান্নার আরেকটি ভালো দিক হল, এতে তেল কম লাগে। ধীর গতিতে রান্না ও তাপ নিরোধক হওয়ায় এটা খাবারের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও খাদ্যের পুষ্টিমান বজায় রেখে স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুন্ন রাখে বা বাড়িয়ে দেয় মাটির পাত্র। যা অন্যান্য উপাদানের তৈজস দিয়ে সম্ভব নয়।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঈদ উপহার পেলেন ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লক্ষ্মীপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ৩ শতাধিক নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গী ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ী এলাকায় এ উপহারগুলো বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুজায়েত উল্যা, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মুক্তার শাহ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হাসেম আহমেদ রুপম, লক্ষ্মীপুর পৌর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হাওলদার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম ফয়সাল মাশরাহ, সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান প্রমুখ।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ঈদে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন শাড়ি-লুঙ্গী উপহার দিয়েছি। একইসঙ্গে খাদ্য সামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি মুন্সীগঞ্জের সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন এখনো নেভেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল ৫ দিন। অপরদিকে, আগুনের কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, দুপুর ১টার দিকে ওই কারখানায় আগুন লাগে। রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ওই কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে কারখানায় আগুন দেখা যায়। এ সময় শ্রমিক ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কারখানার পাশেই নদীতে পাটখড়ি বোঝাই তিনটি ট্রলার ছিল। এক পর্যায়ে কারখানার আগুনে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার তিনটি পুড়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবুল কাসেম বলেন, কারখানার ভেতরে প্রচুর পাটখড়ি ও কাঠের গুড়া ছিল। সকালে কাজ করেছিলাম। প্রতিষ্ঠানের এক পাশে সামান্য আগুন দেখা যায়। পরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পাটখড়িতে লাগা আগুন মুহূর্তেই সম্পূর্ণ কারখানায় ছড়িয়ে যায়। পরে প্রতিষ্ঠান ভেতর আমরা যারা ছিলাম, তারা নিরাপদে বেরিয়ে আসি।

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এ বিষয়ে টিকে গ্রুপের ডিরেক্টর মো. সফিউল আতাহার তাসলিম জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়নি। একদিনে এ আগুন নেভানো সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, আগুন সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে আগুন লেগেছে বা কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জানা যায়নি।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর
কেমন হবে বৈশাখের সাজ

শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪




আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে লিও ভারাদকার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ফাইন গেলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথাও জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানী ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের পরিবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয়ে দুটি গণভোটের আয়োজন করা হয়। উভয় ভোটেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় ভারাদকারের ক্ষমতাসীন জোট সরকার। ওই পরাজয়ের জন্য ভারাদকারকে দায়ী করেছিলেন সমালোচকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেকে আর সেরা উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন না তিনি।

সাংবাদিকদের লিও বলেন, আমি আজ থেকেই ফাইন গেইলের সভাপতি ও নেতা হিসেবে পদত্যাগ করছি। একইসাথে আমার উত্তরসূরি নির্ধারণ হওয়ার সাথে সাথে আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেও পদত্যাগ করব।

ভারাদকার আরও বলেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি অনেকের কাছে বিস্ময় ও কারো কারো জন্য হতাশার হবে। তবে সিদ্ধান্তটি দেশের সর্বোত্তম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে।

লিও ভারাদকারের পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেছেন, ভারাদকরের পদত্যাগের ঘোষণা নজিরবিহীন একটি পদক্ষেপ। আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি এটা মোটেও আশা করিনি।

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন লিও ভারাদকার। সেসময় তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আবারও এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ভারাদকার প্রথমবার নির্বাচিত হন, তখন তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। ভারাদকারের মা আইরিশ এবং বাবা হচ্ছেন ভারতীয়। তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রথম দ্বিজাতিক প্রধানমন্ত্রী।

আগামী মাসে সংসদের অবকাশ শেষে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। সে পর্যন্ত লিও ভারাদকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর



পেঁয়াজ-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে আলুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজানের শুরুতে কাঁচাবাজারের তেজিভাব এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ১০ রোজার পর এখন কেনাকাটায় সামান্য স্বস্তি মিলছে সাধারণ মানুষের।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাক-সবজি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম কমতির দিকে। তবে দাম বেড়েছে আলুর।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে ফার্মের মুরগি ডিমের দামও। তবে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া চাল এবং বেশ আগে থেকে বাড়তি ডাল, তেল-চিনিসহ অন্যান্য পণ্যগুলোর দাম এখনও চড়া।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন ১ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও উপরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আবু হোসেন। তিনি বলেন, এখন আর চড়া ভাব থাকবে না। দিন যত যাবে ঢাকার মানুষ কমতে থাকবে (ঈদে গ্রামে যাবে)। শাক-সবজির দামও কমতি থাকবে।

এদিকে, পেঁয়াজের বাজার গত এক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী। এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। একই পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় অর্ধেক বা কাছাকাছি চলে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এখনও বেশি। গত বছরের এ সময় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতি মুনাফার আশায় অনেকেই পেঁয়াজ মজুত করেছিল। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে এমন খবর বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে আলুর বাজারে। সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। তবে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে আরও বেশি, ১২ থেকে ১৫ টাকা। কারণ মাস খানেক আগে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছিল আলুর দর। প্রতি কেজি নেমেছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। কিন্তু কিছুটা বেড়ে গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এখন দাম আরও বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৩০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও এখন হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এছাড়া ফার্মের ডিমের ডজন কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকা দরে। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রতি ডজন ডিমের দর ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। যে কারণে ঢাকার বাজারে দ্রুত কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও বেশি কমেছে। ফলে বড় বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম নেমেছে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪