আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বরিশালে নৌকার প্রার্থী শাম্মীর মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এ ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক জানান, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুসারে প্রার্থী হতে হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব অগ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া জেলার আরও ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বৈধতা পেয়েছেন ৪৫ প্রার্থী। মোট ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন।

জানা গেছে, বরিশাল-৪ আসনের বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আসাদুজ্জামানের মনোনয়ন দল থেকে বাতিল করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বরিশাল-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী রিয়াজ মোর্শেদ জামান খান হলফনামা দাখিল করেনি এবং তার দলীয় মনোনয়ন নেই। বরিশাল-২ আসনের জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) মনোনীত ব্যারিস্টার আলবার্ট বাড়ৈ হলফনামার ৩শ টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করেননি এবং দলীয় মনোনয়ন ঠিকভাবে পূরণ করেনি। একই আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মিরাজ খানের ঋণ খেলাপী থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

বরিশাল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শামসুল আলমের ঋণ খেলাপী, জাকির হোসেন খানের ঋণ খেলাপী ও ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন সঠিক না পাওয়ায়, শাহরিয়ার মিঞার ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না পাওয়ায়, নূরে আলম সিকদারের ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না পাওয়ায় এবং হুমায়ূন কবিরকে তার দল বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনয়ন বাতিল করায় নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়ন বাতিল করেছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



কুয়াকাটায় পিজ্জা কিনেই হেলিকপ্টারে চড়ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।

তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা। ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।

বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা ২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছেন।

তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার। তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন সব বয়সী মানুষ।

ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।

সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।

ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে। তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই মূললক্ষ্য।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।


আরও খবর



আমাদের উদ্দেশ্য সড়কে মৃত্যুহার কমানো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (১১ মে) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস ভাই যেমন বুঝেন, আমরাও তেমন বুঝি। সড়কে কেউ হারিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না। কারো অঙ্গহানি হোক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা সতর্কতামূলকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা একটা আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। সেজন্য আমরা সহযোগিতা চাই। আপনাদের সম্মেলনে সফল হোক। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সড়ককে নিরাপদ করতে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।


আরও খবর



ঠিকাদারের হাতে জিম্মি রোগীরা, দেওয়া হয় বাসি-পঁচা খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একজন ঠিকাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। একটানা ১৭ বছর একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের কারণে ঠিকাদারের কাছে জিম্মি রোগীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে (২০২২-২০২৩) অর্থছরের তালিকা অনুয়ায়ী প্রতিটি রোগীর জন্য সকালের নাস্তা রুটি, কলা, ডিম- ৩৯ টাকা, দুপুরে ও রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও সাপ্তাহে ৩ দিন মাংস- ১৩৬ টাকা। দিন প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও যে ধরনের খাবার এবং যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। পরিমাপে কম ও  পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের।

মাংস তো দুরের কথা মোটা চালের ভাত, নামে মাত্র মাছ, পঁচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা।

রোগীর স্বজন ও রোগীরা জানান, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে পরিমান খাবার দেওয়া হয় তা অতি সামান্য ও নিম্নমানের যা অনেকে খেতে পারেন না। অনেকে খাবার নেন না। আবার কেউ কেউ খাবার নিলেও রোগীরা খান না। নির্ধারিত পরিমানে মানসম্মত খাবার সরবরাহের দাবি তাদের।

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমান সরকার সেবাখাতকে জনকল্যাণমূলক করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন তাদের বেশিরভাগই গরীব রোগী। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মান নিয়ে যেহেতু রোগীদের অভিযোগ রয়েছে, তাই এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার মো.হাচান আলী বলেন, টেন্ডারের খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শতকরা ২৫% ভ্যাটসহ অন্যদিকের খরচ বাদ দিয়ে কত টাকা থাকে আপনি বলেন? তারপরও বাজারের যে অবস্থা এর চাইতে রোগীদেরকে আর কি খাওয়াবো? 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, নামে মাত্র কাগজে কলমে খাবারের তালিকা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবারের তালিকা অনুযায়ী রোগীদেরকে খাবার দেয়নি। তারা আরও বলেন এনিয়ে বেশি কিছু বলতেও পারি না যদি কোনো ঝামেলা করে।

নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয় জানতে চাইলে আরএমও ডা.সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল কারেন স্যার(টিএইচও)। তারপরও তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জনান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, প্রতিদিন খাবারের মান ও পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।


আরও খবর



রাজধানীতে ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে নিহত দুই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাসাবোতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ওপর থেকে নিচে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আইসিউউতে রয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০তলা ভবনের ওপর থেকে পড়ে ৩ নির্মাণ শ্রমিক আহত হন।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কাজ করার সময় ১০তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে তিনজন শ্রমিক আহত হন। তাদের মধ্যে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন আইসিইউতে রয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর