অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগে বরখাস্ত
হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিককে দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং
আইনে দায়ের করা মামলায় ৮ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। এসময় আসামি পার্থ গোপাল বণিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা
জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও
দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক
পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে
৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরই তাকে আটক করা হয়।
পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির
১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ
আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের
সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া
কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার
করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব
টাকা তার নামীয় কোনও ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসস্থানে
লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি
প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায়
শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।