আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে আজ কোন দল চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইপিএল ফাইনালে রোববারের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেসে গেল। গতকাল চেন্নাই সুপার কিংস বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্যাচে টসও হয়নি। ফলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি পরের দিন, অর্থাৎ সোমবার রিজার্ভ ডেতে গড়াল।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রোববার আইপিএলের ১৬তম সংস্করণের ফাইনাল মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। তবে দিনভর বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। বাংলাদেশ সময় আটটায় খেলা মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে সেটি হয়নি। মাঝখানে একবার বৃষ্টি থামলেও কিছুক্ষণ পর আবার শুরু হয়।

আরও পড়ুন<< আফগানিস্তান সিরিজে নেই মাহমুদউল্লাহ

এই ম্যাচে টানা দুই শিরোপার মিশনে আছে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট। আর মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই আছে পঞ্চম শিরোপার খোঁজে। তবে বৃষ্টির কারণে শেষ অবধি খেলাই হলো না। বৃষ্টিতে আজ খেলা না হওয়ায় সমীকরণ কেমন সেটিই নিচে দেখে নেই-

আজ সোমবার আইপিএলের রিজার্ভ ডেতে খেলা হবে। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছে বিসিসিআই। আজ ফের বৃষ্টির কারণে ৫ ওভারের ম্যাচও যদি আয়োজন করা না যায় তাহলে সুপার ওভারে খেলা শেষ করার সুযোগ থাকবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই পিচ ও আউটফিল্ডকে বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৫০ এর মধ্যে খেলার উপযোগী থাকতে হবে।

আরও পড়ুন<< জুনে প্রকাশ করা হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি

আর যদি খেলা মাঠে গড়াতেই না পারে তাহলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। সেই ক্ষেত্রে লিগ পর্বের ৭০ ম্যাচ শেষে যারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন। হিসাব অনুযায়ী, চেন্নাইকে পেছনে ফেলা গুজরাট তাহলে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ পাবে।


আরও খবর



ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ মঙ্গলবার,১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

৭১১ - এই দিনে তারেক বিন যিয়াদ তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে স্পেনে প্রবেশ করে।

১০৯৬ - পিটার দি হারমিটের অধীনস্ত একদল ক্রুসেডার বুলগেরীয়ার সোফিয়ায় পৌঁছায়।

১১০৯ - ক্রুসেডাররা ত্রিপোলি নগরী দখল করে।

১২৩৩ - ক্রুসেডার নৌ-সেনারা মিশরের ঐতিহাসিক আলেক্সান্দার বন্দরটি অবরোধ করে।

১৪৪২ - আলফনসো নেপলসের রাজা হন।

১৫৪৩ - ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরি ষষ্ঠবারের মতো বিয়ে করেন।

১৫৭৬ - হোসেন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন।

১৫৮০ - স্লাভিক ভাষায় বাইবেল প্রকাশিত হয়।

১৬৭৪ - শিবাজি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেন।

১৭০০ - গ্রিনল্যান্ড গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

১৮২৩ - ভারতে তৈরি প্রথম বাষ্পীয় জাহাজ ডায়না আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।

১৮৭৮ - এই দিনে ব্রিটেন সাইপ্রাস দখল করে।

১৯১২ - যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

১৯২০ - কাজী নজরুল ইসলাম ও মোজাফ্ফর আহমদের সম্পাদনায় দৈনিক নবযুগ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯৪০ - ব্রিটেনের নৌ-বাহিনী আলজেরিয়ার ক্যাবিয়ে পোতাশ্রয়ে ভিড় করে বেশ কয়েকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়।

১৯৪১ - মস্কোতে ইঙ্গ-রুশ চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৪১ - মস্কোতে প্রথমবারের মতো জার্মান বাহিনী বোমা বর্ষণ করে।

১৯৭৫ - ব্রিটেনে নগ্ন দৌড়ের ঘটনা দেখা দেয়।

১৯৭৫ - ব্রিটিশ কমনওয়েলডের রাগবির ফাইনাল খেলা চলছিল।

১৯৯০ - রাশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েল্তসিন কম্যুনিস্ট পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন।

১৯৯১ - হংকংয়ের ছিডে বিমানবন্দরে হংকংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টাকা ছিনতাই ঘটনা ঘটে।

১৯৯৮ - ফ্রান্সের প্যারিসে ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়, সেই খেলায় ফ্রান্স ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। ম্যাচটি সারা বিশ্বে ১.৭ বিলিয়ন লোক প্রত্যক্ষ করে।

২০০০ - একটি গাড়ি বোমা হামলায় স্পেনের মাদ্রিদে নয়জন ব্যক্তি আহত হন। এজন্য বাস্ক বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ইটিএকে দায়ী করা হয়।

আরও পড়ুন>> জুলিও কুরি পদক কী, কেন দেওয়া হয়?

জন্ম:

১৮৬৩ - বিসিজি টিকার উদ্ভাবক ফরাসি জীবাণুবিদ আলবেয়ার কালামেত্তের জন্ম।

১৮৬৫ - আফ্রো-আমেরিকান বিজ্ঞানী জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার জন্মগ্রহণ করেন এই দিনে।

১৮৫৪ - ইস্টম্যান-কোডাকের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ইস্টম্যান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯০৪ - চিলির নোবেলজয়ী (১৯৭১) কবি পাবলো নেরুদার জন্ম।

১৯১৩ - নোবেলজয়ী (১৯৫৫) মার্কিন পদার্থবিদ উইলিস ইউগেন ল্যাম্বের জন্ম।

১৯৩৭ - লিওনেল জস্পাঁর জন্ম, তিনি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

১৯৬৫ - ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকরের জন্ম।

১৯৭৮ - টোফার গ্রেস, মার্কিন অভিনেতার জন্ম।

মৃত্যু:

১৮০৪ - মার্কিন রাজনীতিক আলেকজান্ডার হ্যামিলটন।

১৯০২ - ইতালির সন্ত জোহানেস গোয়ালবার্তাস।

১৯২৬ - ইংরেজ পুরাতাত্ত্বিক গায়ট্রুড বেল।

১৯৯১ - ইরানের বিশিষ্ট মনীষী আল্লামা সাইয়্যেদ তাহের সাইয়্যেদযাদেহ হাশেমী।

১৯৯৩ - জাপানের উত্তরাঞ্চলের ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১৯৬ জন মারা যান।

২০০২ - চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে ৮ ছাত্রলীগ নেতা নিহত।


আরও খবর
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজ বিশ্ব স্বপ্ন দেখা দিবস

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নদী-খাল দখল করে স্থাপনা করলে ভেঙ্গে দিব: চসিক মেয়র

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী-খাল দখল করে স্থাপনা করলে ভেঙ্গে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)  মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার নগরীর ষোলশহরের চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত কর মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের যে জলাবদ্ধতা তা নিরসণে সরকার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তবে, কোন প্রকল্পই সফল হবেনা যদি না জনগণ সচেতন আচরণ না করেন। খাল-নালা দখল করার কারণে পানি প্রবাহের স্বাভাবিক পথ না থাকলে কেবল প্রকল্প করে জলাবদ্ধতা নিরসণ সম্ভব নয়।

নগরীতে অনেকে পানি উঠলে অস্থির হয়ে যান। আবার পানি নামলে ভুলে যায় জলাবদ্ধতার কষ্টের কথা ভুলে যান এবং খাল-নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। প্রকল্পের কাজ নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে, পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙ্গে দেয়া হবে।

কর সহনীয় করতে গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখলাম গৃহকরের ভ্যালুয়েশন নিয়ে জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দায়িত্ব নিয়েই জনগণকে করের বোঝা থেকে মুক্তি দিতে প্রতিটি ট্যাক্স সার্কেলে গণশুনানির আয়োজন করেছি। জনগণের বক্তব্য শুনে, যাচাই করে আপিল করা করদাতাদের গৃহকর সহনশীল পর্যায়ে এনে দিয়েছি। আমার দরজা নাগরিকদের জন্য সবসময় খোলা। সারাদিন অফিসের কাজ সামলে আবার প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে তাদের বক্তব্য শুনি। যে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, মেয়র পদে বসে তাদের ভুলে যাইনি।

করমেলার উদ্বোধকের বক্তব্যে সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, বর্তমান জলাবদ্ধতার জন্য সিডিএরও দোষ নাই, চসিকেরও দোষ নাই। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা মূলত প্রকৃতির প্রতিশোধ। আগে চট্টগ্রামে ৭০টি খাল ছিল। খোলা জমি-মাঠ ছিল। প্রায় সব বেদখল হয়ে গেছে। ২০০ ফুট চওড়া খাল দখল হতে হতে ২০ ফুটে পরিণত হয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসণে আমার প্রস্তাব হলো যেসব রাস্তা কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত গেছে সেসব রাস্তার নীচে ভূ-গর্ভস্থ নালা করে দিতে হবে এবং নালার মুখে সিলট্র‍্যাপ ও গার্বেজ ট্র‍্যাপ করে দিতে হবে। কারণ কর্ণফুলীতে প্লাস্টিক-পলিথিনের এমন অবস্থা ড্রেজিং করা যাচ্ছেনা। আমাদের ভুললে চলবেনা, কর্ণফুলীর সাথে মিশে আছে চট্টগ্রামের অস্তিত্ব।

সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কর চসিকের জীবনীশক্তি। চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা চসিকের অ্যাম্বেসেডরের ভূমিকা পালন করেন। এজন্য কর আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সংবেদনশীল হতে হবে। কারণ এ রাজস্ব আয়ের উপর নির্ভর করছে চট্টগ্রামের উন্নয়ন।

অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে যে জলাবদ্ধতা সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী যে ৪টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে তা শেষ হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান হবে। বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে চট্টগ্রাম আরো এগিয়ে যাবে।

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ করমেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন  কাউন্সিলর গাজী মোহাম্মদ শফিউল আজিম, শাহেদ ইকবাল বাবু, আবদুস সালাম মাসুম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামশুল তাবরিজ, কর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি দেওয়া ১৬০ বিদেশি নীতিজ্ঞান বিবর্জিত: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা)আয়োজনে এক মানববন্ধনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তারা অনেক সময় নানাভাবে প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। আমার ধারণা, এই ব্যক্তিবর্গ যারা আন্তর্জাতিকভাবে (১৬০ জন) বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। আমার ধারণা, নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলো লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাদেরকে হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তারা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন যাদের নিজেদের দেশ, দেশমাতৃকা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, গৌরব ও অর্জনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। যে মানুষগুলোর নাম এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে নিয়ে আবর্তন হচ্ছে তাদের কখনো আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে দেখবেন না। কারণ এই মানুষগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে তারা স্বার্থ হাসিল করায় নিয়োজিত থাকে এবং এই স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষা হিসেবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদের হায়ার (ভাড়া) করে থাকেন; লবিস্ট নিয়োগ করে থাকেন। আমার ধারণা, যারা এই দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই মানুষগুলো, প্রতিষ্ঠান বা দল সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে এটি আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর একটি হস্তক্ষেপ।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিস্তি বাকি পড়ায় তিনি (ইউনূস) দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছিলেন। সে সময় অনেক দরিদ্র মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তিনি ১৩ হাজার মামলা করার পরও বিবৃতি দিয়েছেন আইনের চোখে সকলই সমান। তাহলে তিনি কি আইনের চোখে সমান নন? কাজেই ইউনূসের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে যারা মামলা দায়ের করেছেন তাদেরও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। আইনের ওপর ভিত্তি করে এ মামলাগুলো ফয়সালা হবে।

মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, তিনি (ইউনূস) একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিচালনার খায়েশ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যাতে পদ্মা সেতু না হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কিছুর সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি। তিনি কখনো শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যাননি। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেন না। তাঁর প্রথম টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। কাজেই শেখ হাসিনার ওপর যে আঘাত আসছেআমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল চলমান গণতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর যে আঘাত আসছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাব।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কিনা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। যে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য আদালতে রায় হয়েছে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা তিনি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। কর ফাঁকির জন্য ১২ কোটি টাকা তিনি প্রদান করেছেন। তিনি বিচার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন এবং বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিনি যেখানে আপিল করার দরকার ছিল তিনি সেখানে আপিল করেছেন। তিনি যে ধরনের সুবিধা নেওয়ার দরকার ছিল সেই সকল সুবিধা নিয়ে চলমান বিচার ব্যবস্থাকে বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মাকসুদ কামাল বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হল কোন জায়গায় শিক্ষার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছেন এই টাকা দিয়ে এমন কোনো নজির আমার জানা নেই। তিনি (ইউনূস) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশ প্রেমের অংশ নয়। আপনার কি দেশপ্রেম আছে। যদি আপনার দেশ প্রেম থাকত তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষ থেকে কেন বিবৃতি চেয়ে নিতে হবে?

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য সংশোধিত নীতিমালা জারি ইসির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার ইসি এই নীতিমালা জারি করেছে।

সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি নাগরিক বা সংস্থা বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে তাদের সুশাসন, নির্বাচন, গণতন্ত্র, শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থার ক্ষেত্রে ওই সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে।

আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে ৬৬টি দেশীয় সংস্থাকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেতে আরও ১৫০ টির বেশি দেশি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

সন্ধ্যার প্রথম প্রহরে বাজতে থাকে ঢাক-ঢোল আর মাদল। সঙ্গে ডুগডুগি, খঞ্জনি আর কাঁসর। কারাম গাছকে ঘিরে পূজা অর্চনায় হেলে দুলে নেচে-গেয়ে শুরু হয় উৎসব। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের একাদশীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা উদযাপন করে তাদের ধর্মীয় উৎসব কারাম। নিজস্ব সংস্কৃতির রেশে শিশু-কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সী মানুষ নেচে গেয়ে মেতে ওঠেন এ উৎসবে।

সোমাবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নে পাচপীরডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে ঐতিহ্যবাহী কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসবটি পালন করা হয়। উৎসবটি দেখার জন্য ওরাও (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সমবেত হয়।

নেচে-গেয়ে আর কেজ্জায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা কারাম উৎসবের মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তি, অতিবন্যা ও খরা থেকে বাঁচতে দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। উৎসবটি দেখার জন্য ওরাওঁ সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও সমবেত হন আদিবাসী পল্লিতে।

কারাম মূলত একটি বৃক্ষ। বাংলা বছরের ভাদ্র মাস এলেই এই বৃক্ষের ডাল নিয়ে একটি নির্ধারিত স্থানে পুঁতে রেখে সেখানে দুধ ছিটিয়ে জ্বালানো হয় ধূপ। পুঁতে রাখা কারামের ডাল ঘিরে চলে নৃত্যযোগে ধর্মীয় কেজ্জাপঠন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপদ থেকে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে রক্ষার আকুতির সঙ্গে দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনা প্রাধান্য পায় কারাম উৎসবে। এ কারণে ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসব হিসেবেও গুরুত্ব দিয়ে আসছে সমতলে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা।

পাচপীরডাঙ্গা আদিবাসী পল্লিতে ওরাওঁ সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক পরিবার রয়েছে যাদের বেশির ভাগই কৃষিকাজ নির্ভর। বেশ কয়েকটি পরিবারের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলোয় নিজেদের জীবন বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। তবে এই পল্লিতে নিম্নআয়ের পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে উৎসবের দিনেও কখনো কখনো অনেকের পরনে জোটে না নতুন কাপড়। তবে আনন্দ ভাগাভাগিতে কারও কোনো কমতি নেই। যেন ছোট-বড় সববয়সী মানুষের মিলন মেলা কারাম উৎসব।

ওরাওঁ সম্প্রদায়ের লোকেরা জানান, এ উৎসবে অনেক আনন্দ হয়ে থাকে। নিজেদের পাশাপাশি দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয় কারাম উৎসবে। তাদের পূর্ব-পুরুষরা বিশ্বাস করতো কারাম পূজার মাধ্যমে সব বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায়, এ জন্য বংশ পরমপরায় তারাও প্রতি বছর ঘটা করে এই উৎসবটি পালন করে আসছে।

কারাম পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেরকেটা বলেন, আদি সময় থেকে যারা আমরা ওরাও আদিবাসী তারা এ কারাম পূজাটি পালন করে আসছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এ আয়োজনকে আরো মানসম্মত করে করার। কারন এটি আমাদের বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আমরা ভালোভাবে এ উৎসবটি পালন করতে পারব।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী জানান, প্রতিবছর এ ঐতিহ্যবাহী ও সামাজিক দিবসটি পালন করে এখনকার ওরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। তারা এখানে কারাম গাছের ডালকে তাদের রক্ষাকবজ মনে করে। তারা মনে করে এ গাছটির মাধ্যমে তারা তাদের জীবন রক্ষা করে। সেজন্য প্রতিবছর তারা এ উৎসবটি পালন করে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত টিটো বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারাম পূজাটি ঐতিহ্যবাহী বড় একটি উৎসব। প্রতি বছরে তারা নানা আয়োজনে এ উৎসবটি পালন করে থাকেন। তাদের সব আয়োজনে আমরা পাশে থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে আসছি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বেলায়েদ হোসেন জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো নানা সমস্যায় থাকে, সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাদের সহায়তা করা হবে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে সবসময়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোছাঃ লিজা বেগম জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ উৎসব আরও জাঁকজমক করতে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।

কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসব নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারাম পূজাটি ঐতিহ্যবাহী বড় একটি উৎসব। প্রতি বছরে তারা নানা আয়োজনে এ উৎসবটি পালন করে থাকেন। তাদের সকল আয়োজনে জেলা প্রশাসন সাথে ছিল এরপরেও তাদের সকল আয়োজনে আমরা পাশে থাকবো।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩