আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘বর্তমান প্রজন্মকে সুশিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি) বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মকে শুধু সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করলেই হবেনা। সু-শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন সর্বনাশা মাদক, ইভটিজিং ও সন্ত্রাসের মত ভয়াবহ কর্মকাণ্ডে যেন জড়িয়ে না পড়ে। আর এ জন্য শিক্ষক ও অভিবাবকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া একটি দেশের উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়।

শনিবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার কামারকাঠী নবকুমার (এন.কে.) ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমরা যেন ইবাদতের জায়গার মত মনে করি। কোন অযোগ্য লোককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত না করি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষকরা যাতে শিক্ষা দিতে পারেন এজন্য বর্তমান সরকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মুইদুল ইসলাম মুহিদ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ কর, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মেজর (অবঃ) মো. নাজমুল হাসান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি এ্যাড. মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বেবি রানী দে, পুলিশ কর্মকর্তা মো. মোরশেদ তোয়া, আমেরিকা প্রবাসী ভাস্কর চন্দ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমির  বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল কালাম, কৃষ্ণা চন্দ ও উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মজনু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান শিক্ষক নুরুর আমিন। ১৯২০ সনে প্রতিষ্ঠিত কামারকাঠী নবকুমার (এন.কে.) ইনস্টিটিউশনটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃতি পায়। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে এক মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে মন্ত্রী জলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হতে মাদ্রা পর্যন্ত সড়ক ভিসি দ্বারা উন্নয়নের উদ্বোধন এবং পূর্ব জলাবাড়ি খৃষ্টানবাড়ি কালভার্ট হতে মাদ্রা বাজার পর্যন্ত সড়কের ভিসি দ্বারা উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারীর উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও আজ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আহত লিটন (১৯) আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম বলেন, দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে লিটন নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে বিএসএফ।

এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে।


আরও খবর



ঘর পাচ্ছে ফুটবল কন্যা সাগরিকার পরিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অন্যদের দেওয়া জমির উপর একটি জরাজীর্ণ বাড়ি। ঘর দুটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। আর এ ঘরেই জন্ম সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলার মোসাম্মাৎ সাগরিকার। একমাত্র ভাই সাগরকে নিয়ে এমনই জীর্ণ কুটিরে বসবাস করে আসছেন সাগরিকার বাবা-মা।

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের হতদরিদ্র চা বিক্রেতা লিটন-আঞ্জুমান দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া সাগরিকাকে পাকা ঘর করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ১০টায় মুঠোফোনে আজকের দর্পণকে রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এমন খবরে উল্লসিত তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ শুভাকাঙ্খীরা।

তিনি বলেন, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে অবস্থিত সাগরিকার পরিবারের জরাজীর্ণ বাড়ি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্বান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানে সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বাড়ি ব্যয় নির্ধারণ করে আগামী সাপ্তাহে বাড়ির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

এ দিকে বাড়ি নির্মাণের কথা শুনে উল্লসিত সাগরিকার বাবা বলেন, চা বিক্রি করে ছেলে-মেয়েকে বড় করেছি। অন্যের জমির উপর একটি টিনের ঘরে কোনমতে মাথা গুঁজে থাকি। কখনো ভাবি নাই বাড়ি পাবো। মেয়ের জন্যই এতোকিছু সম্ভব হলো।

সাগরিকার ভাই সাগর আলী বলেন, এখনো খুব কষ্ট করছি। অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি। নিজের বাড়িতে থাকার ঘরে জায়গা না হওয়ায় মাঝে মধ্যে বাবা চায়ের দোকানে থাকি। বোনের জন্য আজ ঘর পাচ্ছি। তাঁর জন্য গর্ব হয়। শুধু আমার নয় পুরো গ্রামবাসীর গর্ব আমার বোন।

এর আগে গত ৩ মার্চ ফুটবল কন্যা সাগরিকার নেই মাথা গোঁজার ঠাই শিরোনামে আজকের দর্পণ মাল্টিমিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

জানা গেছে, সাগরিকার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে। বাবা লিটন আলী আর মা আনজু বেগম। চা বিক্রি করে সংসার চালানো লিটন আলীর পরিবারে অভাব-অনটন যেন নিত্যসঙ্গী। এর মধ্যে মেয়ে খেলতে চায় ফুটবল। সমাজের কটু কথার ভয়ে মেয়েকে ফুটবল খেলতে বারণ করতেন বাবা। কিন্তু মেয়ের আগ্রহ আর জেদের কাছে হেরে যান লিটন আলী।

রাঙ্গাটুঙ্গি একাডেমিতে ফুটবলের প্রথম পাঠ নেন সাগরিকা। একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা তাজুল ইসলাম সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় রাঙ্গাটুঙ্গি একাডেমি থেকে কয়েকজন মেয়েকে ভর্তি নিতে চেয়েছিল বিকেএসপি। কিন্তু সাগরিকা সেখানে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। এরপর রাঙ্গাটুঙ্গি থেকেই সাগরিকাকে অনূর্ধ্ব নারী ফুটবলারদের সঙ্গে দলে ভেড়ায় মেয়েদের ফুটবল লিগের দল এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গ্রাম ছাড়ার পর গ্রামবাসী রটিয়ে দেয়, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে সাগরিকা! এতে একটু নড়েচড়ে বসে পরিবার। তবে এই কটু কথা থেকে সাহস খুঁজে নেয় সাগরিকা। এক সময় যারা করতেন কটূক্তি আজ তারাই দিচ্ছে বাহবা। এখন সেই সাগরিকাই গোটা গ্রামবাসীর গর্ব। ফুটবল খেলার জেদের কারণে দীর্ঘ ১ মাস মেয়ের সাথে কথা না বলা সেই বাবার মুখ সবার কাছে উজ্জল করে তুলেছেন মেয়ে সাগরিকা।

রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, সাগরিকার বাবা-মা চায়ের দোকান করে থাকেন। নিজের কোনো বসতভিটা নেই। সরকারি জায়গায় তারা থাকেন। প্রশাসন তাঁর পরিবারকে পাকা ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও খবর



রপ্তানির তথ্য এখন শুধুই অনলাইনে দিতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে রপ্তানিসংক্রান্ত সব তথ্য এখন থেকে অনলাইনে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন অনলাইনের পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রিন্ট আকারে রপ্তানির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা কাগজবিহীন করা ও লেনদেন তথ্য নিয়মিত তদারকি করতে এ উদ্যোগ।

এর মাধ্যমে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা ব্যবসায় পরিবেশ সহজীকরণ গতি পাবে। এজন্য অনলাইন ফরেইন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএক্স ড্যাশবোর্ড) চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ড্যাশবোর্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার তদারকি ও প্রতিটি লেনদেন সহজেই আরও নিবিড় তদারকির আওতায় আনতে পারবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রপ্তানিসংক্রান্ত তথ্য যেমনরপ্তানির পরিমাণ, আয়, বকেয়া হলে তার কারণ, মামলার বিষয়, রপ্তানি বিল, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে উদ্যোক্তাদের দাবি ইত্যাদি এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইনে জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি আয় প্রত্যাবসনের সার্টিফিকেটও (সনদ) দিতে হবে অনলাইনে।

নির্ধারিত সার্ভারে রপ্তানিসংক্রান্ত কোনো অতিরিক্ত তথ্য থাকলে তাও জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বকেয়া হওয়া রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে (ওইএমএস) জমা দিতে হবে। রপ্তানি আয় বকেয়া হওয়ার কারণ ও তা দেশে আনতে ব্যাংকের পক্ষ নেওয়া উদ্যোগগুলোও জানাতে হবে।

অনলাইনে জমা দিলেও ব্যাংকের কাছে ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে রপ্তানি আয়ের সব তথ্য ও কাগজাদি (ডকুমেন্টস) সংরক্ষণ করতে বলা হয়।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে মৃত্যু : ক্ষতিপূরণের রিটে আদেশ আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তারে আটকে থাকা টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলামের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মায়ের দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ আজ।

রিটকারীর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের বিষয়ে বুধবার (১৩মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। তারপর আদেশ দেওয়ার জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে ওইদিন শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া আতিফ ইসলামের মা তানজিনা রহমান টুম্পা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ছাড়াই রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এবং ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আতিফ ইসলাম। তার মায়ের দাবি, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না থাকার পরও জোর করে আতিফকে সেদিন পাখি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বিদ্যুতের তারে আটকে পড়েছিল টিয়া পাখি। সেই টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এর তিন স্বেচ্ছাসেবী। পরে তাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলাম (৩০) ওই রাত ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার বাসা লালবাগ এলাকায়। তার বাবার নাম বাবলা ইসলাম। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের (৪৫) শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়। আরেক স্বেচ্ছাসেবক রুপ (২৫) সামান্য আহত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিয়া পাখিটি বিদ্যুতের তারে আটকে থাকার খবর পেয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার করতে যান। পাখিটি তারের সঙ্গে লেগে থাকা ঘুড়ির সুতায় জড়িয়ে ছিল। যেখানে টিয়া পাখিটি আটকে ছিল, সেখানে গিয়ে একটি তিনতলা ভবনের ছাদে যান স্বেচ্ছাসেবীরা। ছাদ থেকে একটি পাইপ দিয়ে সুতা ছিঁড়ে টিয়া পাখিটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন আতিফ। তখন আতিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সঙ্গে থাকা গাড়িচালক শফিকুরও দগ্ধ হন। তারা দুজন রুপকের ওপর পড়লে তিনি সামান্য আহত হন।


আরও খবর



প্রস্মিতার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করলেন অনুপম

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিয়ে করলেন কলকাতার গায়ক অনুপম রায় ও গায়িকা প্রস্মিতা পাল। ১ মার্চ দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন তারা।

ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় পরিজনদের উপস্থিতিতেই নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অনুপম-প্রস্মিতা।

অনুপম রায় রিসেপশন অনুষ্ঠানে তোলা ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যায়, অনুপম রায় পরেছেন ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি। তাতে গোলাপি সুতার কাজ করা। অন্যদিকে প্রস্মিতা পরেছেন গোলাপি রঙের বেনারসি এবং সোনার গহনা। আর এ ছবির ক্যাপশনে অনুপম রায় লেখেন-নতুন করে।

রিসেপশন অনুষ্ঠানে শোবিজের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ তালিকায় রয়েছেন-জয় সরকার, লোপামুদ্রা মিত্র, ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর উপল সেনগুপ্ত, অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য। তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবুদ্ধ রাহা, উজ্জয়িনী, সোমলতা প্রমুখ।

প্রথম সংসার ভাঙার পর পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন অনুপম রায়। পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে কয়েক বছর। পিয়া ফের বিয়ে করেছেন অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জিকে। এবার তৃতীয়বার বিয়ে করলেন অনুপম রায়। তবে প্রস্মিতার এটি দ্বিতীয় বিয়ে।

অনুপম ও প্রস্মিতার আলাপ পরিচয় বহু বছরের। যদিও এতদিন ছিল কেবলই পেশাগত আলাপ। তারপর বন্ধুত্ব এবং সেখান থেকেই প্রেম। এবার স্বামী-স্ত্রী হলেন তারা। প্রস্মিতা-অনুপমের প্রেমের জল্পনাটা অনেক দিন ধরেই চলছিল। অবশেষে ফেব্রুয়ারির শেষে সেটা স্বীকার করে নেন অনুপম।


আরও খবর