আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বসুন্ধরা বিটুমিন প্ল্যান্টে এলজিইডি এর প্রকৌশলীদের আনুষ্ঠানিক পরিদর্শন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বসুন্ধরা গ্রুপ-এর আমন্ত্রণে এলজিইডি -এর  প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ খান এর নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি দল  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে বসুন্ধরা বিটুমিন প্ল্যান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি, বিটুমিন গ্রেড নির্ধারণ কমিটি, মোঃ আলি আখতার হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, মোঃ নূর হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, অডিট, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, মান-নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং অন্যান্য প্রকৌশলীগণ।

বসুন্ধরা বিটুমিন বেসরকারিখাতে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিটুমিন প্রস্তুতকারী প্লান্ট যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত। বিগত ২২ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে সরকারি, বেসরকারি ও মন্ত্রিপরিষদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে জাকজমকপূর্ণভাবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশে বিটুমিন এর যে চাহিদা রয়েছে তার প্রায় ৯০ শতাংশ এতদিন বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো যার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বসুন্ধরা বিটুমিন এর হাত ধরে। এছাড়াও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও বসুন্ধরা বিটুমিন রপ্তানি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এর পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা হবে অপরিসীম।

অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীদের সাথে বিটুমিন উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধরণ, উৎপাদন ক্ষমতা, গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। অতিথিবৃন্দ বসুন্ধরা বিটুমিন এর কর্মপরিকল্পনা, কৌশলাদি ও উন্নতমানের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবার এই মহৎ উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে সাধুবাদ জানান। প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে বিশেষ বক্তব্য রাখেন এলজিইডি -এর  প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ খান, তিনি তার বক্তব্যে টেকসই সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের পরিবর্তে উচ্চমানের বিটুমিনের প্রয়োজনীয়তা এবং সড়ক উন্নয়নে বসুন্ধরা বিটুমিন বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন।

অনুষ্ঠানে জনাব খন্দকার কিংশুক হোসেন, চীফ মার্কেটিং অফিসার, সেক্টর বি, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে বসুন্ধরা বিটুমিন এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সেই সাথে বসুন্ধরা অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এর প্ল্যান্ট প্রধান ইঞ্জিনিয়ার নাফিজ ইমতিয়াজ আলম বসুন্ধরা বিটুমিন এর সামগ্রিক উৎপাদন ও পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ওয়ালটন ক্যাম্পেইনে ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন সিলেটের লাকি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সিলেটের বালাগঞ্জের গৃহিণী লাকি বেগম। মাত্র ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩১তম মিলিয়নিয়ার হলেন তিনি। ওয়ালটনের ১০ লাখ টাকায় বদলে গেলো লাকি বেগমের ভাগ্য।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এর আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ৩০ জন ক্রেতা। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে সিজন-২০ এ সেরা পণ্যে সেরা অফার স্লোগানে আবারো এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।

রোববার (১০ মার্চ) সিলেটের ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখা কর্তৃক তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিলিয়নিয়ার লাকি বেগমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবং চিত্রনায়ক আমিন খান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন, ওসমানিনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান চৌধূরী, তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মামুনুর রশিদ খলকু ও প্রধান শিক্ষক শিল্পি পাল, কদমতলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নোমান আহমদ জাহাঙ্গির প্রমুখ।

ক্রেতা লাকি বেগম উছমান পুরের দক্ষিণ রাইগ দাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্বামী ও দুই ছেলেসহ ৪ সদস্যের পরিবার তার। অভাবের সংসারে স্বামী খাজা মিয়ার মুদি দোকানই একমাত্র ভরসা। দোকানে ব্যবহারের জন্য চলতি মাসের ২ তারিখে ওয়ালটন প্লাজা তাজপুর শাখা থেকে কিস্তিতে ৩৫ হাজার ৬৬৬ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কেনেন লাকি বেগম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকায় ঋণ শোধ করার পাশাপাশি স্বামীর ব্যবসাকে আরো বড় করবেন তিনি।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় লাকি বেগম জানান, গ্রামের অধিকাংশ লোকই ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যবহার করেন। দাম সাধ্যের মধ্যে, দেখতে সুন্দর এবং দীর্ঘ বছর চলে বিধায় ওয়ালটন ফ্রিজই কেনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তিনি বলেন, ওয়ালটনের একটা ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা কল্পনাতেও আসেনি। এ ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই টাকায় আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। ওয়ালটন প্রমাণ করলো- তারা ক্রেতাদের যা বলে, তা তারা পুরোপুরি মেনে চলে।

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, দেশের টাকা দেশে রাখতে হলে দেশে তৈরি পণ্য কেনার কোনো বিকল্প নেই। দেশে তৈরি পণ্য কিনলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী হবে। ওয়ালটন দেশেই নিজস্ব কারখানায় পণ্য তৈরি করে। সেসব পণ্য শুধু দেশের চাহিদাই মিটাচ্ছে না; ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। ওয়ালটন আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ওয়ালটন যে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখে তার প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদেও স্থানীয় বাজারে ফ্রিজের প্রায় ৮০ ভাগ চাহিদা এককভাবে নিজেরাই পূরণের টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। টার্গেট পূরণে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে তিন শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। এসব ফ্রিজের দাম ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ফ্রিজে এআইওটি বেজড স্মার্ট প্রযুক্তি, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।


আরও খবর



দগ্ধ ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩৬ জনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ৩৬ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ৩৪ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ(১৩), তারেক রহমান, সোলায়মান (৯) আইসিইউতে আছেন, লালন (২৩), নাঈম (৮) আইসিইউতে ভর্তি, শিল্পী (৪০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭) আইসিইউতে ভর্তি, মুন্নাত (১৮) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, রাব্বি (১৩) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি, নার্গিস(২৫) সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (৩২) পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি,  আরিফ (৪০) আইসিইউতে ভর্তি, রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩) ১০%, রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫) ৯৫%, মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯), আজিজুল (২৪), সুমি (১৯), মোতালেব (৪০)।

আহতদের দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ। কারো ৯০ শতাংশ, কারও ১০০ শতাংশই পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ ৭ শিশুর কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। সবারই শ্বাসনালি পুড়েছে। পোড়া রোগীদের জন্য সরকারের যা করার দরকার সবই করা হবে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে শফিকুল নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন। এ সময় আশপাশের উৎসুক নারী, পুরুষ ও শিশুদের শরীরে আগুন লেগে যায়।

এ ঘটনায় গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম যায়। সেখানে গিয়ে দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



একীভূত হচ্ছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকটির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আপাতত বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে আমাদের সঙ্গে মার্জার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।

গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে যা হবে প্রথম একীভূতকরণ।

আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এক বৈঠকে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত থাকবেন। এরপরই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্বল ব্যাংকগুলো স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে মার্চে সেগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সম্প্রতি ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেড জোনে আছে পদ্মা ব্যাংক। আর ইয়েলো জোনে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক।


আরও খবর



উত্তরায় কাঁচাবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজারে লাগা আগুন প্রায় ৪০ মিনিট পরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এর আগেই বেশকিছু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ‌আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাত ২টা ৫ মিনিটে জমজম টাওয়ারের পাশে অবস্থিত কাঁচাবাজারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট রাত ২টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আর আগুন নির্বাপন করে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের পর কাঁচাবাজারে আগুন লাগে। এই কাঁচাবাজারটির ভেতর মুদিসহ অন্যান্য দোকান ছিল। এছাড়া সেখানে ফার্নিচারের কয়েকটি দোকান ছিল। যেগুলো সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এছাড়া এটির ভেতর লেপ-তোশকের দোকান ছিল যেগুলো আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে পুড়ে গেছে।


আরও খবর



উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ ‘কিলার গ্রুপ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ কিলার গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করত। একই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামও নানা উপায়ে সংগ্রহ করত। যা দিয়ে নাশকতার পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পের অপরাধ কার্যক্রম চালানো হতো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার করিম উল্লাহসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৭টি ককটেল, ৫ রাউন্ড এ্যামুনিশন এবং ১২ বোর ১ রাউন্ড গুলি।

উখিয়ার ঘোনারপাড়াস্থ ২০ নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ নম্বর ব্লকে অভিযানে গ্রেফতারের মধ্যে রয়েছে বালুখালীর ২০ নম্বর ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ বিভাগের প্রধান মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ (৩২), কুতুপালং এর ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. কায়সারের ছেলে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী মো. আকিজ (২৭), ১৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে আরসার অর্থ বিভাগের সহযোগী মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯), ২২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে আরসার গান গ্রুপের সদস্য সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী সাবের (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদ পেয়ে উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করা হয়। আর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ককটেল।

তিনি জানান, গ্রেফতার আরসার এই ৪ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হামলা করাসহ ৮টির অধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করে ৪ জনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহর ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ স্বপরিবারে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে স্বপরিবারে ক্যাম্প-১২ তে গিয়ে বসতি নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে বসবাস এবং সেখান থেকে ক্যাম্প-২০ এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তিনি ক্যাম্প-২০ এ বসবাসের সুবাদে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্প-২০ এর আরসা জিম্মাদার মৌলভী ইয়াসিনের মাধ্যমে আরসায় যোগদান এবং আরসার সাথী সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। তিনি ২০২০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশে আরসার প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশের পর ক্যাম্প-২০ এর এম/৩৩ ব্লকের জিম্মাদার এবং আরসার হয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি সহকারে নানান ধরনের অপকর্মের ফলশ্রুতিতে তাকে ক্যাম্প-২০ এর হেড জিম্মাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে তিনি ক্যাম্পে আরসার সদস্য বৃদ্ধি সহকারে তার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যদের একটি অস্ত্রধারী গান গ্রুপ পরিচালনা করতো। আরসার অস্ত্রধারী গান গ্রুপের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তারকাটার বাইরে বাংলাদেশের পাহাড়ে অবস্থান করে থাকে। রাতের আঁধারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করে আরসা সন্ত্রাসীরা সকাল ৭/৮ টার আগেই ক্যাম্প ত্যাগ করে পুনরায় পাহাড়ে অবস্থান নিতো।

জিজ্ঞাসাবাদে মো. করিম উল্লাহ জানান, আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ টেকনাফের খারাংখালী এবং উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়া মাস্টার কলিম উল্লাহর কাছে আসতো। পরবর্তীতে সকল ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তিনি নিজেই আরসা ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে হস্তান্তর করতো। অতঃপর ক্যাম্প কমান্ডাররা অস্ত্র-গোলাবারুদ আরসা কিলার গ্রুপের মাঝে সরবরাহ করতো। এছাড়াও মাস্টার কলিম উল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী ও সদরের ভারুয়াখালী এলাকা এবং টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশীয় অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় করতো।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মো. করিম উল্লাহ নানা কৌশল অবলম্বন করে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আরসার গোপন আস্তানা ও গহীন পাহাড়ে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির পারদর্শী আরসা সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের মাইন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরি করতো। তৈরি করা এ সকল বিস্ফোরক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হতো। মো. করিম উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।

মো. আকিজের ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. আকিজ ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-৭ এ বসবাস শুরু করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তিনি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি আরসার অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আরসা প্রধানের পক্ষ থেকে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রামে বসবাসকালে তিনি আরসা নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতো এবং চট্টগ্রাম থেকে আরসার জন্য লজিস্টিক সামগ্রী সহকারে বিভিন্ন মালামাল পাঠাতো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান মাস্টার কলিম উল্লাহ তার আপন চাচাতো ভাই। সেই সুবাদে মো. করিম উল্লাহর একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি মাস্টার কলিম উল্লাহর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অগ্নি সংযোগ সহকারে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ক্যাম্প-২২ এ বসবাস করেন। এরপর ক্যাম্পের ইবনে আব্বাস মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। তিনি আরসার নেট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি আরসার সন্ত্রাসীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতো এবং আরসার সদস্যদের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আরসার গান গ্রুপের ক্যাম্পে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতো বলেও জানায় র‌্যাব অধিনায়ক।

র‌্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত র‌্যাব-১৫ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও নানা বিভাগের প্রধানসহ ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি বিদেশি অস্ত্র, ৫২টি দেশীয় অস্ত্র, ১৪৪ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ টি ককটেল, ৪টি আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ) এবং ৪টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর