আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি হিসেবে ২১ বছর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধনে স্বপ্ন বুনেছিলেন দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্বপ্নদ্রষ্টা আহমেদ আকবর সোবহান। সেখান থেকে সম্ভাবনার দুর্গম গন্তব্যের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের নাটাই হাতে ধরেছিলেন তাঁর ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর। তারপর একে একে কেটে গেছে একুশটি বছর। সেই তরুণ-তুর্কি নিজের চিহ্ন এঁকে এসেছেন সাফল্যের মোড়ে মোড়ে। আগামীর পথে তাকিয়ে বের করে এনেছেন নতুন অমিত সম্ভাবনা। লাখো মানুষের চোখে ছড়িয়ে দিয়েছেন আলোর দিশা। দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২১ বছর পূর্ণ হলো তাঁর। আজকের দিনে সফল উদ্যোক্তা সায়েম সোবহান আনভীরের সাফল্যগাথা উজ্জীবিত করছে স্বপ্নবাজ তরুণদের।

সেই ২০০১ সালের কথা। মাত্রই লন্ডনে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সাফল্যের সঙ্গে বিবিএ (ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক) সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন সায়েম সোবহান আনভীর। তখনই বসুন্ধরা গ্রুপের বটবৃক্ষ আহমেদ আকবর সোবহান ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরের চোখে খুঁজে পেয়েছেন নিজের দেখা স্বপ্ন পূরণ করার নেশা। বিকল্প চিন্তা না করে তাই সেই ছোট্ট আনভীরের কাঁধে তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের মতো বড় শিল্প গ্রুপের গুরুদায়িত্ব। নতুন কিছু জয়ের আশায় সেদিন নতুন পথে পা রেখেছিলেন সায়েম সোবহান আনভীর।

তারপর নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর প্রমাণ করেছেন বাবার দেখা ভবিষ্যৎ। পিতার আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে গেছেন। ব্যবসা আধুনিকীকরণের পাশাপাশি নানামুখী খাতে সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে পদে পদে রেখে গেছেন সাফল্যের চিহ্ন। তাঁর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বসুন্ধরা গ্রুপ হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি করেছেন অভাবিত কর্মসংস্থান। উৎপাদিত পণ্যগুলো এখন বাংলাদেশে মার্কেট-লিডার। অত্যন্ত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের ফলে বসুন্ধরার যে কোনো পণ্য মানুষের কাছে এখন আস্থার প্রতীক। বিদেশেও সুনামের সঙ্গে রপ্তানি হচ্ছে বহুবিদ পণ্য।

আবাসন খাতে অত্যন্ত সুপরিচিত বসুন্ধরা গ্রুপ এখন আর এক-দুটি খাতে সীমাবদ্ধ নেই। দীর্ঘ তিন দশকের পথচলায় বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ-মাতৃকার অভূতপূর্ব উন্নয়নেও অন্যতম অংশীদার। আর, এর বিরাট অংশজুড়েই রয়েছে তরুণ-তুর্কি সায়েম সোবহান আনভীরের অসামান্য অবদান। বসুন্ধরা গ্রুপের বয়সের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে এর নেতৃত্ব সায়েম সোবহান আনভীরের হাতে। এই দীর্ঘ সময়ে এমডির অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় বসুন্ধরা গ্রুপ উন্মোচিত করেছে সাফল্যের বহু দুয়ার। বসুন্ধরা গ্রুপকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সায়েম সোবহান আনভীরও পেরিয়েছেন অনেক মাইলফলক।

শুধুমাত্র ব্যবসার গণ্ডিতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি সায়েম সোবহান আনভীর। গেছেন বৃত্তের বাইরে। খুঁজে ফিরেছেন দেশ ও মানুষের সত্যিকারের কল্যাণ। একইসঙ্গে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী শক্তি তাঁকে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সেরা উদ্যোক্তাদের কাতারে উঠে এসেছেন তিনি।

দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছেন সফল উদ্ভাবক সায়েম সোবহান আনভীর। দেশের তরে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন ক্লান্তিহীনভাবে, নীরবে-নিভৃতে। দেশের বাণিজ্য, ম্যানুফেকাচরিং, খেলাধুলা এবং গণমাধ্যমের বিকাশ বিস্তৃত পরিসরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাঁর বহুমাত্রিক ও গতিশীল নেতৃত্ব আর অনন্য মেধায় জোরালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এসব খাতে। আবাসন ব্যবসার গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে শিল্প গ্রুপটি অবদান রেখে চলেছে সিমেন্ট, পেপার ও পাল্প, বিভিন্ন ধরণের টিস্যু, স্টিল, এলপি গ্যাস, খাদ্য ও পানীয়, নিত্যপণ্য, শিপিং, জাহাজ নির্মাণ, ড্রেজিং, ট্রেডিং কম্পানি, বিটুমিন এবং জুয়েলারি খাতে। বিশেষ করে দেশের ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলকে চাঙ্গা করতে নিরলস ভূমিকা রাখছেন। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ব্যবসায়িক পরিচিতির বাইরে একজন প্রকৃত দানশীল হিসেবে সায়েম সোবহান আনভীরকে হয়তো অনেকেই চেনেন না। কেননা, তিনি দান করে নীরবে। খুব কাছ থেকে যাঁরা তাঁকে দেখেছেন, তাঁরাই বলতে পারেন সায়েম সোবহান আনভীরের উদার মানসিকতা সম্পর্কে। মানুষের সেবায় সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান সবার প্রতি উদার হয়ে হাত বাড়িয়ে দেন। শুধু অর্থ দিয়েই ক্ষান্ত নন, নিজের মূল্যবান সময় এবং সৃজনশীলতা বিনিয়োগ করছেন সমাজের টেকসই পরিবর্তনে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তিনি মানুষের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দান করেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ নিজেই অনেক দাতব্য কর্মাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের যে কোনো সংকট সময়ে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে তুলেছে বসুন্ধরা। যার অন্যতম বসুন্ধরা-আদ-দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং অ্যাডভোকেট আতামেয়া ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক, যেখানে দরিদ্র মানুষদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দরিদ্র ও বয়স্ক মানুষদের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছে ও বিনামূল্যে সার্জারি করছে। বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট সুবিধাবঞ্চিত তরুণদের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা ও পূনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিধবা নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বসুন্ধরা পরিচালনা করছে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ।

করপোরেট, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও সমাজ সেবায় অবদান রাখায় তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিআইপি মর্যাদা ভোগ করছেন। ওই বছর থেকেই তাঁর ডাইনামিক নেতৃত্বে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ অর্জ।


আরও খবর



টিকটকার বিয়ে করে সর্বস্বান্ত জল্লাদ শাহজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর বার বার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আলোচিত সেই জল্লাদ শাহজাহান। পাশাপাশি বিয়ে করে তিনি সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির কাছে জল্লাদ শাহজাহানের প্রতারণার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টাইমস পিআর।

শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা- এগুলোর কোনোটাই আমি পাচ্ছি না। আমি আমার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমার মা-বাবা নেই, দায়িত্ব নেওয়ার মতো ভাই-বোন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাকে থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি। আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগান নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে এখন এসে আমি বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না। যেখানে যাচ্ছি, প্রতারণার শিকার হচ্ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বিয়ের কাবিন ৫ লাখ টাকা হলেও ১০ লাখ টাকা দেনমোহর লিখিত দিয়ে আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ৫৩ দিনের মাথা পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে আমার নামে যৌতুকের মামলা দিল, আমি মামলা দিতে গেলে বউয়ের নামে মামলা হয় না কোনো। আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শাহজাহান বলেন, পরে আইনজীবীর সহায়তায় গতকাল রবিবার আদালতে আমার স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখানে যাদের আমি আসামি করেছি তারা এই কাবিনের স্বাক্ষী, তারা এই যৌতুকের টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, তারা এই ১০ লাখ টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, ওদের (স্ত্রীর) আত্মীয়রাই এখানে (আসামির তালিকায়)।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে বাইরে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছি। কারাগারে থাকতেই ভালো ছিলাম। কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে, জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। আমি কারাগার থেকে বের হলে আমার ভাগ্নে নজরুল অটোরিকশা কিনে দেবে বলে টাকা মেরে দেয়।

প্রতারণার শিকার হওয়ার আরেক উদাহরণ দিয়ে দেশের আলোচিত এ জল্লাদ বলেন, এরপর অনেক কষ্ট করে একটা চায়ের দোকান দেই, আমার সঙ্গে যে ছেলেটি ছিল দোকানে আমার সঙ্গে সময় দিত। সে চার মাস থাকার পরে দোকানে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।

শাহজাহান বলেন, আমি এখন উভয়সংকটে জীবনযাপন করছি। একে তো আমার অচল অর্থনৈতিক অবস্থা, অন্যদিকে একজন নারী আমার জীবনের শেষ জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অথচ আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে, যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যান শাহজাহান। ২০০১ সালের আগে ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী জল্লাদ হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন তার বয়স ৩০ এর কিছু বেশি।

৪৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান ভূঁইয়া। বর্তমানে তার হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে।


আরও খবর



বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, খালি চোখে দেখা যাবে যে তিন দেশ থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। এদিন সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। আর এ দৃশ্য খালি চোখে যাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের লাখ লাখ মানুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখতে অনেক পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে ভিড় করেছেন। যেসব স্থান থেকে সরাসরি গ্রহণ দেখা যাবে, সেসব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তাই যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

এদিকে বিরল এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সাধারণ কোনো সানগ্লাস চোখের জন্য নিরাপদ হবে না। এতে চোখ স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ দেখতে হবে।

নাসার তথ্যানুযায়ী বিশ্ববাসী এ বছর আরও একটি সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে। দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং উত্তর আমেরিকা থেকে এর দেখা মিলবে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস (বিএসসিপিএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই কেব্‌লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকেরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।


আরও খবর



বুয়েট ইস্যুতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে দেশব্যাপী মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। রবিবার (৩১ মার্চ) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এছাড়া ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করবে দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদরাসায় মানববন্ধন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বুয়েটকে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া মুক্ত করে ছাত্র রাজনীতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে।


আরও খবর



‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নির্বাচনে আমি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য আজাদকে এমন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। ভিডিওটি গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি যেভাবেই হোক তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব। আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিয়েছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেবো, অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেবো।’

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি তো তা বলিনি। আমি বলেছি, মানুষের তো নির্বাচনে খরচ হয়। সেই খরচের কথা এমনিতে যুক্তি হিসেবে বলেছি। আমি মানুষের উন্নয়নে ও কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি।’


আরও খবর