আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং ও বসুন্ধরা রেডিমিক্স (কংক্রিট) যুক্ত হলো এসএপি-তে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং লিমিটেড (বিএমটিএল)-এ সাফল্যের সাথে চালু হলো এসএপি (SAP) ব্যবস্থা। রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২-তে সোমবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান কেক কেটে এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন (Go Live) উদযাপন করেন। একই সাথে বসুন্ধরা রেডিমিক্স এন্ড কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (বিআরএমসিআইএল)-তেও এসএপি (SAP) বাস্তবায়নের প্রকল্প উদ্বোধন (Kick-off) করা হয়। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মীর্জা মুজাহিদুল ইসলাম (সিওও), মুহাম্মাদ কামরুল হাসান (সিএফও), দেলোয়ার হোসেন (সিএইচআরও), সিফাত জাহান নূর (সিআইও, বিজিআইটি), তৌফিক হাসান (এইচওডি, মার্কেটিং)  রাশিদুল হক (SAP প্রজেক্ট ম্যানেজার), বিজিআইটি-র নিজস্ব SAP কন্সালট্যান্ট  এবং প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে উন্নত মানের পাথর এবং কয়লা আমদানি করে দেশব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোক্তার কাছে বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিং আজ এক বিশাল আস্থা ও নির্ভরতার নাম। ক্ষুদ্র হতে বৃহৎ, ব্যক্তিগত হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রায় সব মেগা প্রকল্পেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই পাথর ও কয়লা। আবার, এই বছর ২০২২-এর জানুয়ারীতে বসুন্ধরা রেডিমিক্স পথচলা শুরু করে এরই মধ্যে উন্নত ও সঠিক মানের রেডিমিক্স কংক্রিট নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা ও মান নিশ্চিত করে নিজস্ব পরিবহণ সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন বৃহৎ স্থাপনার নির্মাণে সরবরাহ করে আসছে, যা ভোক্তা মনে খুবই ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। SAP ব্যবস্থা চালুর মধ্যে দিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠান তার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছতা ও নিপুণতার সাথে করতে সক্ষম হবে, বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউজ ট্যাগ: বসুন্ধরা গ্রুপ

আরও খবর



২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর



অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থীর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে কুমিল্লা পুলিশের চাওয়া অনুযায়ী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খন্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কতো দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন: ঢাকা মহানগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নজরদারিতে ছিল। কুমিল্লা জেলা পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। গত তিন দিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তারা এ সময়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল।

গতকাল শনিবার রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থীর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করার বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন অবন্তিকা। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টের পর কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অবন্তিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।


আরও খবর



বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, ৭০ টাকাতেই মিলবে টিসিবির চিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণার একদিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সকালে এক অডিও বার্তায় টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, টিসিবির চিনির মূল্য ১০০ টাকা নয়, আগের মূল্য ৭০ টাকাই থাকবে।

এর আগে গতকাল বুধবার (০৬ মার্চ) ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার টিসিবির ঢাকা আঞ্চিলক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির (ভোজ্য তেল-ডাল-চাল-চিনি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করে। রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে চলবে।

এদিন সকালে তিব্বত মোড়ের ২০০ গজ পূর্বে কলোনি বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

এই বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ এবং সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।

ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া যাবে- ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, দেড়শ টাকায় এক কেজি খেজুর ও ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল। এর মধ্যে চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানো হলেও একদিতন পরই আগের ৭০ টাকা দরে ফিরে আসে টিসিবি।

এদিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি মিলের লাল চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২২ ফেব্রুয়ারি রাতেই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তারা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




নবাবগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মো. মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল (৪৬) ও মো. আইয়ুব (৩৮) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ((৭ মার্চ)) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর-রশিদ। এ ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল হোসেন আপেল গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ওসি মামুন অর-রশিদ জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা বাজারে দিয়া জুয়েলার্সের মালিক কৃষ্ণ সাহা গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে টিকরপুরের বাড়ি থেকে অটোরিক্সায় দোকানে যাচ্ছিলেন। আগলা পোস্ট অফিসের সামনে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতরা তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের সাওরাইল গ্রামের নির্জন খাদের কাছে কৃষ্ণ সাহাকে মারধর করে ২৫০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০০ ভরি রুপা ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা। সেখানেই তাঁকে ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযানে নামে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা সাত দিন ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লক্ষীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি রুপা, একটি মাইক্রোবাস, দুটি অটোরিক্সাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে গ্রেপ্তারকৃত ১৩ জনের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মোজাম্মেল হোসেন আপেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় ভরি রুপা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগি আইয়ুবকে।

ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে।



নিউজ ট্যাগ: নবাবগঞ্জ

আরও খবর



অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে ইফতারে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রমজান চলছে। এসময় অনেকেই ইফতারে একসঙ্গে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলেন। এসময় বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে।

ইফতার করার সময় কোন ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হবে না তা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ইতি খন্দকার।

তিনি জানান, রোজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে লেবু, চিনিযুক্ত শরবত কিংবা ট্যাং জাতীয় শরবত পান করা যাবে না। রোজা ভাঙতে হবে খেজুর বা এ জাতীয় খাবার দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে নরমাল পানি পান করতে হবে।

তিনি বলেন, চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী।

অ্যাসিডিটি কমাতে ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না :  

ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল ও মোমো খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারের মেন্যুতে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবারও। 

ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না।

যাদের টক জাতীয় খাবারে অ্যাসিডিটি হয়, তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।

অ্যাসিডিটি কমাতে যা করা যেতে পারে :

ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যেতে পারে। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করাও যেতে পারে।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন।

এ ছাড়া অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

নিউজ ট্যাগ: ইফতার

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪