আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বুধবার থেকে সব হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা মিলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক সূচিতে চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এ তথ্য জানান হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক আব্দুল আহাদ।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি অনুযায়ী হাসপাতাল প্রশাসন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাই চিকিৎসকদের কর্মসূচি স্থাগিত করা হয়েছে। কাল থেকে হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাবেন রোগীরা। 

আরও পড়ুন>>> বিএসএফের গুলিতে কিশোরীর মৃত্যু, মরদেহ সীমান্তের ওপারে

এর আগে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে দেশের সব হাসপাতালের বহির্বিভাগে (আউটডোর) চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। হাসপাতালের অন্যান্য সেবাও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এ ছাড়া রোগীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন (রেসিডেন্ট) আবদুল আহাদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।


আরও খবর
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে ডেঙ্গু

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি : বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‌অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হয়, এ কারণে এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন, আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।

রিটে আইন মন্ত্রণালায়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি এফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রিট মামলাটি দায়ের করেন। রিটে  ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়। আবেদনে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের নির্দেশনা এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের ২০১২ সালের আদেশ প্রতিপালনে অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ১১৬ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যন্ত রয়েছে। একই অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি উক্ত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। মূলত রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এবং সুপ্রিমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করলে পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান একই বিধানটি প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এই বিধানটিই বিদ্যমান রয়েছে।

রিট আবেদনে যেসব যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে

১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই মৌলিক কাঠামো বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের পরিপন্থি।

৩. পৃথক সচিবালয় না থাকায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের কারণে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারছেন না।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে। বুধবার রাতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে এই কমিটির প্রধান করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে তিনি কমিটির অপরাপর সদস্যদের মনোনীত করবেন।


আরও খবর



এবার বিএসএমএমইউ ভিসির পদত্যাগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার পদত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন তিনি।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন দীন মো. নূরুল হক।

তিনি বলেন, আমি নিজেই পদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দিয়ে এসেছি। এখানে জোর করে থাকতে চাই না, সেটি করাও আমার জন্য উচিত হবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি সম্মান নিয়ে এসেছিলাম, এখনও সম্মান নিয়েই আমি চলে যাচ্ছি। তবে সবসময়ই চাইব আমার শুরু করা কাজগুলো যেন সফলভাবে সমাপ্ত হয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও অনেকদূর এগিয়ে যায়।

চলতি বছরের ১১ মার্চ অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলিম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এই চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়। তিনি পাকুন্দিয়া এলাকার মানুষের কাছে ননী ডাক্তার নামে পরিচিত। অত্র অঞ্চলের সবাই তাকে ননী ডাক্তার হিসেবেই চেনে।


আরও খবর



থানায় মারধর-টাকা দাবি, ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মারধর ও চাঁদা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীর সুধারাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিসহ সাত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী।

বুধবার (১৪ আগস্ট) অ্যাডভোকেট মিনারুল ইসলাম মিনার (৩৫) বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করে।

মামলার আসামিরা হলেন- সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, মো. কামাল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তালেব, কনস্টেবল মো. রাসেল ও থানার মুন্সি রুবেল বড়ুয়া।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিনের মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তানজিনা আক্তার তানিয়া নামে ৭ বছরের এক শিশুকে মামলার এফআইআরয়ে অন্তর্ভুক্ত করায় মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে আদালত শোকজ করেন। সেই বিরোধের জেরে ওসি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে আমার মামা আবদুল করিম মুক্তকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশ। খবর পেয়ে তাকে থানায় দেখতে গেলে ওসির নেতৃত্বে আসামিরা থানার একটি কক্ষে আটক করে মারধর করে।

পরে খবর পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন আমাকে থানা থেকে ছাড়াতে গেলে এসআইদের মাধ্যমে দুইলাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও পরিদর্শক মিজানুর রহমান পাঠান। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে পরদিন ২০ জুলাই আমাকে কোটাসংস্কার আন্দোলনে ছাত্র বিক্ষোভ দমাতে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতাসহ বিস্ফোরক আইনের মামলায় আমাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়। এসময় আমার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করার ভয় দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল হোসেন ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা তার কোনো অধস্তন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা অনুসন্ধান করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মামলায় উল্লেখিত ঘটনা সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, বিভিন্ন সময় আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনারের অন্যায় তদবির না রাখায় তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। পুলিশ যথাযথ নিয়মে আসামি গ্রেপ্তার ও আদালতে প্রেরণ করে। এখানেও তার কোনো ব্যতয় ঘটেনি।

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী

আরও খবর
বগুড়ায় ভোজ্যতেলের কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৪

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশুলিয়ায় আজও বন্ধ ২১৯ কারখানা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ফের হামলা, আহত ২০ সাংবাদিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

ফের দুর্বৃত্তদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব। এতে অন্তত ২০জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অতর্কিতভাবে প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্লাবে প্রবেশ করে কিছু দুর্বৃত্ত। পরে তারা চতুর্থ তলায় ক্লাবের মূল অফিসে উঠে সেখানেও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বেশকিছু কক্ষে ভাঙচুর চালায়। পরে ক্লাবে উপস্থিত থাকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সাধারণ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় সিনিয়র সাংবাদিক নির্মল চন্দ্র দাশ, গোলাম মর্তুজা আলী, হেলাল সিকদারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান, অবরুদ্ধ হওয়ার প্রায় তিনঘণ্টা পর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে থাকা ৪০ জন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। হামলাকারীরা বুধবার সন্ধ্যায় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ, মিডিয়া রুম, মিটিং রুম, হিসাব বিভাগ, রিসিভশন ভাংচুর করে। তারা সিসিটিভি ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্কসহ ক্লাবের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় একদল দুর্বৃত্ত হাতুরি ও শাবল দিয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের মারধরও করে তারা।

দুর্বৃত্তরা এর আগেও কয়েকদফায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলা চালায় জানিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একইসাথে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফফতারের দাবি জানান। দুর্বৃত্তদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে ক্লাবের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

হামলার এসব ঘটনা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অবহিত করেছে। জেলা প্রশাসনের পর গতকাল বুধবার সিএমপি কমিশনারকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১০ তলা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, হজ কাফেলা, আর্কিটেকচারাল অফিস, মোবাইল কমিউনিকেশন অফিস, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বাতিঘর নামে একটি বই বিপণি কেন্দ্র রয়েছে।


আরও খবর
বগুড়ায় ভোজ্যতেলের কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৪

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশুলিয়ায় আজও বন্ধ ২১৯ কারখানা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪