আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু, এক কোটির লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ সপ্তাহ, চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। এই সময়ে ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব সবাই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখা থেকে জানানো হয়েছে: আজ থেকে শুরু করে ১০ জুন দেশব্যাপী করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ সপ্তাহ পালন করা হবে। এই সাতদিনের যেকোন দিন নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। তবে, টিকাকেন্দ্রে আসার সময় সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব সকল নাগরিক করোনাভাইরাসের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজের চার মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।

অধিদপ্তর জানায়, দেশের সব টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে টিকাদান শুরু হবে। এক্ষেত্রে সঙ্গে টিকা কার্ড আনা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও বুস্টার ডোজের পাশাপাশি, করোনাভাইরাস টিকার স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলমান থাকবে।

এ ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা একটি কার্যকর সমাধান উল্লেখ করে অধিদপ্তর জানায়, টিকার সম্পূর্ণ সুফল পেতে অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে। এবারের বুস্টার ডোজ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদানের আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, দাড়িগোঁফ রাখতে পারবেন ব্রিটিশ সেনারাও

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ফলে ব্রিটিশ সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের এখন থেকে দাড়ি রাখতে আর বাধা নেই। তবে তাদের দাড়ি ও গোঁফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারিও করা হবে। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই অনুমতির পরও, কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করারও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে তাদের শেভ করার নির্দেশ দেয়া হবে। নীতিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রিটিশ সেনা নেতৃত্ব আশা করছে, এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। টানা কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে নীতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র।

এর আগে ডেনমার্ক, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মতো কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। নতুন নীতি ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী শিখ, মুসলিম এবং রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল। যদি তাদের কার্যকারিতা, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না- এমন শর্তে দাড়ি রাখার অনুমতি ছিল।


আরও খবর



কম দামেও তরমুজ কিনছেন না মানুষ, দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম ৮০ টাকায় নামে। কিন্তু বেশি দামের পাশাপাশি অপরিপক্ব হওয়ায় তরমুজে আগ্রহ কম ছিল সাধারণের। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। ফলে ফলটির বিকিকিনি কমে যায় আরও।

রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পর তরমুজ বিক্রি বলতে গেলে তলানিতে এসে ঠেকে। বিপাকে পড়েন বিক্রেতারা। সারা দিনে হাতেগোনা কয়েকটা বিক্রি হলেও বেশিরভাগই দোকানে অবিক্রীত থেকে যাচ্ছিল। এতে বাধ্য হয়ে ৪০ টাকায় নামিয়ে আনা হয় তরমুজের কেজি। শুধু তাই নয়, আকারভেদে এখন পিস ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ‌তারপরও ক্রেতাদের বড় অংশ এখনও তরমুজ বিমুখ। এতে তরমুজ ব্যবসায়ী এবং ফল দোকানিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আড়ৎ থেকে পিস হিসেবে দুই ক্যাটাগরির তরমুজ বিক্রির জন্য কিনে এনেছেন বিল্লাল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি গুলশানের গুদারাঘাটের পাশে বসিয়েছেন তার অস্থায়ী দোকান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তরমুজগুলো সেখানে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন, কিন্তু বিক্রি নেই সেভাবে।

তরমুজ বিক্রির এমন চিত্রের বিষয়ে বিল্লাল মিয়া বলেন, এবার প্রথম থেকেই তরমুজ বিক্রি খুব কম হচ্ছে। এটা হতে পারে দাম বেশির কারণে। তবে এখন দাম আগের চেয়ে কমেছে, তবুও এখনো খুব বেশি বিক্রি বাড়েনি। রমজানে তরমুজের খুব চাহিদা থাকার কথা, কিন্তু এবার সে অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা দেখা যায়নি।

তরমুজ বিক্রির সার্বিক বিষয়ে একই স্থানের আরেক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এত বছর ধরে ব্যবসা করছি তরমুজ নিয়ে কোনোবার এমন বিপাকে পড়িনি। আজ ১০ দিনের মতো হবে তরমুজ এনেছি, দোকানের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি। কিন্তু সেভাবে এবার বিক্রি নেই। প্রথমদিকে ১০০ টাকা কেজি ছিল, পরে ৮০ টাকা হলো, এরপর আবার ৬০ টাকা, সবশেষ এখন আজ প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কিন্তু আগে যখন তরমুজের ব্যবসা করেছি তখন দিনে ১০০ পিছ বিক্রি করেছি। আর এখন সারাদিনে ১৫/২০টা বিক্রি হয় না ঠিকমতো। রমজান মাস এলে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা, অন্যান্যবার বেড়ে গেছে, কিন্তু এবার চিত্র উল্টো। অর্ধেক রমজান চলে গেছে কিন্তু তরমুজ বিক্রি সেভাবে আর হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে গেলে তরমুজের চাহিদা কমে যাবে, তখন যে ব্যবসার কী হবে এটা ভাবলে আরো ভয় লাগে।

কারওয়ান বাজারে ফল ভাণ্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে পাইকারি তরমুজের ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সহযোগী হিসাবে কাজ করেন খোরশেদ আলম নামের একজন। তিনি বলেন, প্রথমদিকে তরমুজের দাম বেশি ছিল, ইদানীং প্রচুর সরবরাহ হচ্ছে, ফলে দাম কমে গেছে। আগে যে তরমুজ দেড়শ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেছি, সেটা এখন ৮০ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আড়তে পাইকারি কিনতে ক্রেতারা কম আসছে। এর কারণ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যারা দোকানের মাধ্যমে তরমুজ বিক্রি করে, তারা আগে যে মাল নিয়ে গেছে সেই মালই তাদের রয়ে গেছে, এখনো বিক্রি করতে পারেনি। আগের তরমুজ ফুরালে তারপরে তো তারা কিনতে আসবে।

মহাখালীর বাজারে তরমুজ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবীব বলেন, এ বছর রমজানে একদিন শুধু তরমুজ কিনেছিলাম টেস্ট করার জন্য। কিন্তু এত বেশি দাম, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করে, অপরিপক্ব তরমুজ তবুও বেশি দাম, এদিকে এদের সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক.... সব মিলিয়েই এবার আর তরমুজ কিনিনি। কিন্তু এখন ম্যাংগো পিপলের ক্ষমতা সম্পর্কে জেনেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। আজকে তরমুজ ৪০ টাকা কেজিতে এসেছে শুধু সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনেনি এ কারণেই। এখন ৪০ টাকা কেজি হওয়ার পর আজ একটি তরমুজ কিনতে এসেছি। তবুও দোকানে যদি পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি না করে তাহলে আবার কিনব না।


আরও খবর



ঈদ শেষে ১৭ এপ্রিল ফেরার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদে ঘরমুখো মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরতে ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৭ এপ্রিল যারা ঢাকা ফিরতে চান তাদের আজই টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের অনলাইনে এই টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে।

এবার টিকিট ক্রয় সহজলভ্য করার জন্য রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলত সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা হতে শুরু হয় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা হতে ইস্যু করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীসাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

যাত্রীরা ঈদ অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট কিনতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।

এছাড়া রেলে যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ করতে অগ্নিনিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ মার্চ ঈদযাত্রার প্রথম অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৩০ মার্চ পর্যন্ত এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলে। আর গত ৩ এপ্রিল শুরু হয় ঈদের ফেরত যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ১০ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হয়েছেন এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি।

রোববার (৭ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে এ তাণ্ডবলীলা ঘটে। ভোলার মনপুরা ও লালমোহন, পিরোজপুর, বাউফল, বাগেরহাট ও ঝালকাঠিতে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।

পিরোজপুর: পিরোজপুরে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড়ে গাছচাপায় এক নারী ও ঝড়ে উড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। জেলার ওপর দিয়ে ১৫ মিনিট ঝড়ো গতিতে বাতাস বয়ে যায়। এতে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শত শত গাছ উপরে পড়ে কয়েকশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পৌরসভার প্রায় সব সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

ভোলা: ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে দুপুরের দিকে আকস্মিক ঝড় শুরু হয়। এতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় নিজ ঘরে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতেও একজন মারা গেছেন। মনপুরার দুপুর ১২টা দিকে হওয় ঝড়ের তাণ্ডবে দাসের এলাকায় ছয় জেলেসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। যাত্রীদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ট্রলারটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

বাউফল: বাউফলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ৩৫ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে দুইজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে বাউফলে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতসহ ঝড় হয়েছে। এতে তেতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড়ে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির দুই উপজেলায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

নিউজ ট্যাগ: কালবৈশাখী ঝড়

আরও খবর



ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, দাম পড়বে ১২০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ঘরে বসেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরি করেছে। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।

সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করতে পারে।

গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি। এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান জানান, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন। মালা বলেন, 'জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যে কোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।


আরও খবর