আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ব্যাংক খোলা, লেনদেন দেড়টা পর্যন্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ রবিবার (২৫ জুলাই) থেকে যথারীতি খোলা রয়েছে ব্যাংক। সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেনের পর আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত) বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, কঠোর লকডাউন চলাকালে প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান শাখা, সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এবং জেলা ও উপজেলা সদরে একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।



আরও খবর



বিচার প্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপে ১৭১ নাগরিকের উদ্বেগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে লেখা খোলা চিঠিকে বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেসার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন দেশের কয়েকজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যের লেখা খোলা চিঠি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত খোলা চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত চলমান মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

১৬০ জন বিদেশির খোলা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন সামনে চলে আসে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪) অনুযায়ী, বিচারকরা তাদের বিচারিক কাজ সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করে থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রপরিচালনায় যুক্ত কারোরই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার কোনও এখতিয়ার নেই। উল্লিখিত চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) স্বীকৃত শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এই চিঠিতে নিরপেক্ষ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকই আইনের দৃষ্টিতে সমান বলেও উল্লেখ করেন বিবৃতিদাতারা। তারা বলেন, সংবিধানে সবারই আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারকার্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ও স্বাধীনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে বিচারিক হেনস্তার অভিযোগ অমূলক ও অনভিপ্রেত। পাশাপাশি ড. ইউনূস বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সবসময়ই দেশে ও বিদেশে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন। প্রেরিত খোলা চিঠিতে বিদেশি স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিদের নিজ নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমরা প্রত্যাশা করি, তারা তাদের নিজ নিজ দেশের মতো বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকেও নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলার সুযোগ দেবেন এবং সম্মান করবেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, ড. সনৎ কুমার সাহা, ড. আতিউর রহমান, শিল্পী হাশেম খান, অধ্যাপক বুলবন ওসমান, শিল্পী রফিকুন নবী, অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ড. আবুল বারকাত, ড. বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, মমতাজউদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, অধ্যাপক ড. এ. কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, মানবাধিকার কর্মী অ্যারমা দত্ত, রোকেয়া কবীর, সাংবাদিক আবেদ খান, শ্যামল দত্ত, অজয় দাশগুপ্ত, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, হারুন হাবীব, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, সুভাষ সিংহ রায়, নূহ-উল আলম লেনিন, প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীম বসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, মফিদুল হক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দীন ফকির, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন. শাহরিয়ার কবির ও অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন।

এ তালিকায় আরও রয়েছেন, লুৎফর রহমান রিটন, সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ, মেজবাহ কামাল, ড. মো. মাহবুবার রহমান, ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, ড. শরিফ এনামুল কবীর, ড. আবদুল খালেক, ড. মো. হারুন অর রশীদ, ড. মো. আফজাল হোসেন, ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, ড. ইফতেখার উদ্দিন,  ড. হারুন-উর-রশীদ আশকারী, ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, মুনাজ আহমেদ নূর, ড. মো. আলী আকবর, ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. আলাউদ্দিন, ড. আবদুস সাত্তার, ড. মো. আলাউদ্দিন, ড. তোফায়েল আহমেদ, এম এ মতিন, ড. শহীদুল্লাহ্, মো. নুরুল্লা, ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ড. নাসরীন আহমাদ, মো. সেকান্দর আলী, ড. সহিদ আকতার হুসাইন, আনন্দ কুমার সাহা, আমির হোসেন, ড. মো. সেকান্দর আলী, ড. আবুল কাশেম, ড. বিধান চন্দ্র দাশ, ড. এ এ মামুন, ড. অজিত কুমার মজুমদার, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর খান, নূরুল হুদা, মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর, ড. এম. কামীম জেড বসুনিয়া, মো. নুরুল হুদা, মো. আবদুস সবুর, মুনাজ আহমেদ নূর, এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, ড. আব্দুল বাছির, ড. মো. আব্দুস ছামাদ, ড. সীমা জামান, ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, ড. জিয়া রহমান, ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ড. মো. জিল্লুর রহমান, ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ড. সাদেকা হালিম, ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ডা. শাহরিয়ার নবী, ড. রাশেদ তালুকদার, ড. আক্তারুল ইসলাম, ড. মোশতাক আহমেদ, ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, ড. আব্দুল গনি, রঞ্জন কর্মকার, জামাল উদ্দিন আহমেদ, লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, ফরিদ আহমদ, শামীম কায়সার, আহমেদ রেজা, ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী, ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, আবদুল হক, ড. আহমদ সালাউদ্দিন, ড. মো. মাহবুবুর রহমান, মো. জসীম উদ্দিন, মনজুর আলম, এ বি এম আবু নোমান, স্বরোচিষ সরকার, ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, নিসার হোসেন ও মিজানুর রহমান।

এছাড়াও বিবৃতি দিয়েছেন চিকিৎসক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, ডা. বরেন চক্রবর্তী, নুজহাত চৌধুরী, মামুন আল মাহতাব, ডা. কাজী শহীদুল আলম, ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, ড. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. কামরুল হাসান খান। ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, অভিনয় শিল্পী লাকী এনাম, চঞ্চল চৌধুরী, তারানা হালিম, ড. ইসরাফিল শাহিন, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন, ফরিদা জামান, সংস্কৃতিকর্মী সঙ্গীতা ইমাম, নাট্য নিদর্শক অসীম দাশ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের, নৃত্যশিল্পী শিমুল ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, ফাল্গুনী হামিদ, আফসানা মিমি, আবৃত্তিকার আহকাম উল্ল্যাহ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, রুবী রহমান, তারিক সুজাত, পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, হারিছুল হক, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, নাট্যজন ম. হামিদ, শিল্পী আবুল বারক আলভী, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার ও সুবর্ণা মুস্তাফা।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা ডি ককের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আসন্ন বিশ্বকাপের দল ঘোষণার শেষ দিন ৫ সেপ্টেম্বর। শেষ দিনে এসে স্কোয়াড দিয়েছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। প্রত্যাশিতভাবেই ১৫ সদস্যের এই দলে আছেন কুইন্টন ডি কক। তবে অপ্রত্যাশিত খবর হল, ভারত বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

এর আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন ডি কক। এবার ওয়ানডে ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে এখানেই শেষ হচ্ছে না তার ক্যারিয়ার। টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন সাবকে এই অধিনায়ক। সিএসএ আশাবাদী, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আরও বেশ কিছু দিন তার সার্ভিস পাবে প্রোটিয়ারা।

ডি ককের অবসর প্রসঙ্গে সিএসএর পরিচালক এনোখ এনকুয়ে বলেন, 'ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে তার সরে আসার সিদ্ধান্তটি আমরা বুঝতে পেরেছি এবং বছরের পর বছর তার অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমরা। ভবিষ্যতের জন্য তাকে শুভকামনা জানাই, তবে এখনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাকে প্রোটিয়াদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখতে মুখিয়ে আছি আমরা।'

'কুইন্টন ডি কক সত্যিই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের একজন ভালো ক্রিকেটার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শৈলী দিয়ে সে নিজের মানদণ্ড স্থাপন করেছে এবং বছরের পর বছর দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। সে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডও পরেছে এবং এটা এমন এক সম্মান যা খুব কম লোকই পায়।'-আরও যোগ করেন তিনি।

২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ডি ককের। এখনো পর্যন্ত ১৪০ ওয়ানডে খেলে ৪৪.৮৫ গড়ে ৫ হাজার ৯৬৬ রান করেছেন তিনি। এছাড়া গ্লাভস হাতে ডিসমিসাল করেছেন ১৯৭টি।


আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সুন্দরগঞ্জে ১৬০ লিটার চোলাই মদসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ১৬০ লিটার চোলাই মদসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধায় উপজেলা শান্তিরাম ইউনিয়নের খামার ধুবনী(মজুমদার হাট) নামক গ্রামে হিরালাল রবিদাসের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোলাই মদসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খামার ধুবনী(মজুমদার হাট) নামক গ্রামের মৃত সুমারু রবিদাসেরর পুত্র হিরালাল রবিদাস (৫২) ও পূর্ব বেলকা নামক গ্রামের মৃত আব্দুল জোব্বারে পুত্র ফজলুল হক(৪৫)।

থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এস আই আরিফুল ইসলাম এসআই সাইদুর রহমান এসআই ইমরান হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিরালাল রবিদাস এর বসতবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ঘরের ভিতরে থাকা ০১টি চোলাই মদের ড্রামে এবং খাটের নিচে থাকা ০৩টি প্লাস্টিকের জারিকেন ও বিভিন্ন সাইজের ৩০টি প্লাস্টিকের বোতলে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ১৬০ লিটার দেশীয় চোলাই মদসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেন।

এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১৬০ লিটার চোলাই মদসহ ২জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ রুজু করে কারাগারে প্রেরণ করি।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে খুনের অর্ডার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রীতিমত ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে মানুষ খুনের অর্ডার নিচ্ছিলেন সুপারি কিলার! আজব মনে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে কলকাতার কাছেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং এলাকায়। নিজেকে 'সুপারি কিলার' বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লা সম্প্রতি মানুষ খুনের অর্ডার নেওয়ার জন্য ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে বিলি করেন, যাতে স্পষ্ট হরফে লেখা, মানুষ হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করা হয়। যোগাযোগের জন্য কার্ডে রয়েছে মোবাইল নম্বর। সঙ্গে লাল কালিতে বড় করে লেখা বুলেট

কার্ডের একপাশে রয়েছে, নিজেকে সুপারি কিলার বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লার ছবি, আরেক পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বুলেটের অ্যাকশন ছবি। কার্ডের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ক্যানিং থানা পুলিশ।

ক্যানিং থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সোমবার ক্যানিং এলাকার ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় বুলেটকে। তার বাড়ি থেকে একটি বন্দুক, দু রাউন্ড কার্তুজ ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। বুধবার তাকে ক্যানিং মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ৭ জুলাই ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিনে-দুপুরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতাকে। সেই খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বুলেটকে। কিন্তু সে সময় নাবালক থাকায় জামিনে মুক্তি পায় সে। সে বছরই, বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ফের পাকড়াও করা হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বুলেট।

স্থানীয়দের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত বুলেট। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য 'সুপারি' নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে। হাফ মার্ডার করলে পঞ্চাশ হাজার ও ফুল মার্ডার করলে এক লাখ রুপি নেওয়া হয় বলেও জানা যায়।

ক্যানিং সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার দিবাকর দাস জানান, গ্রেপ্তার বুলেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হচ্ছে এই ভিজিটিং কার্ড সে কোথা থেকে করল এবং কোথায় কোথায় এই কার্ড বিলি করেছে। আর এই কার্ডের মাধ্যমে কাজের অর্ডার মিলেছে কি না সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 


আরও খবর



কোটি টাকার লিফটে প্রতিনিয়তই আটকে পড়ার আতঙ্ক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফট ক্রয় এবং মেইনটেনেন্স-এ কোটি টাকা খরচ হলেও শিক্ষার্থীদের লিফট ভোগান্তি যেনো কমছেই না। লিফটে আটকে পড়ার আতঙ্ক দিন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবীর টুটুল হলের লিফটে আটকা পড়ার পর ফেসবুক লাইভে এসে লিফটের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'লিফটে আমরা ৫ জন ২৫ মিনিট যাবত আটকে ছিলাম। ইমার্জেন্সি বাটনে ক্লিক করছি কোন কাজ হচ্ছে না। লিফটে নেটওয়ার্ক পাওয়া না যাওয়ায় কল দিতে পারছিলাম না। একটা লিফটে আটকা পরার পর কেনো ২৫ মিনিট লাগবে উদ্ধার করতে।'

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন ও দুটি আবাসিক হলের জন্য ২০২১ সালে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ টি লিফট ক্রয় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুরু থেকেই অনুষদ ভবন দুটির চারটি লিফট অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। এর মধ্যে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অচল বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হলের একাধিক লিফট। আর বাকি যেগুলো সচল সেগুলোও প্রায়ই চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে পড়ছে। লিফটের ভেতর আটকা পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের লিফটে ৩৪ মিনিট ধরে আটকা ছিলেন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রানা। রানা বলেন, 'সকালে ডিপার্টমেন্টে যাওয়ার জন্য লিফটে উঠি। কিন্তু ৮ তলায় যাবার পর হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়। তখন ইমার্জেন্সি বাটনে বারবার ক্লিক করেও কোনো কাজ হচ্ছিলো না। লিফটে এতো পরিমাণে গরম, শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিলো। পরে সহপাঠী ও বিভাগীয় প্রধানের সহযোগিতায় লিফট থেকে বের হয়েছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (ইন্সট্রুমেন্ট) মিজানুর রহমান বলেন, 'মাঝে মাঝে লিফট আটকানোর ঘটনা ঘটতে পারে, অনেকদিন পর পর এটা সব জায়গাতেই ঘটে। আগেতো আরও বেশি ঘটতো। আগে সপ্তাহে এক দুটো ঘটনা ঘটতো। তারপর আমরা লিফট প্রোভাইডারদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে এটা ধীরে ধীরে কমবে। তখন থেকে ঘটনাগুলো কম ঘটছে। সম্প্রতি দুই তিনটা ঘটনা ঘটেছে। এটা মাঝে মাঝে ঘটতে পারে।'

এ ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বড় বিল্ডিং হলেও লিফট অপারেটর থাকে একজন। তার কাছে খবর যদি দ্রুত পৌছাতো তাহলে দ্রুত উদ্ধার করা যেতো। এক্ষেত্রে আমরা লিফটে ইন্টারকম ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছি। বাজেট স্বল্পতার জন্য এটা করতে দেরি হচ্ছে। এটা হয়ে গেলে কেউ আটকা পড়লে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।'


আরও খবর