একের পর এক স্লেজিং এবং মুখের সামনে এসে
উদযাপন করছিলেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। অথচ কিছুক্ষণ আগেও তাদের চেহারার দিকে তাকানোর মতো
পরিস্থিতি ছিল না। মাত্র ১২ ওভারেই যে ৭০ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন মনে হয়েছিল
সহজেই তারা ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখবে। কিন্তু সেই ধারণা বদলাতে খুব বেশি সময়
লাগেনি। একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শেষপর্যন্ত ভারতের
চেয়ে ৫১ রানের দূরত্বে থেমে যায় সাইফ হাসানের দল।
ভারতের দেওয়া ২১২ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট
করতে নেমে ১৬০ রান তুলেই থেমে যায় সৌম্য-জয়দের ইনিংসের চাকা। আর তাতেই ৫১ রানের জয়
পেয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ভারতের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের চাই ২১২ রান
ভারতের করা ২১১ রানের জবাবে ব্যাট করতে
নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে টিম টাইগার্স। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬০ রান তোলার পাশাপাশি
উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে তোলেন ৭০ রান।
ইনিংসের ১৩ তম ওভারে নাঈম ৩৮ রানে বিদায়
নিলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক ঠিকই তুলে নেন তানজিদ হাসান। ৫১ রানে তানজিদের বিদায়ের পর
অল্পতেই বিদায় নেন জাকির হাসানও। এরপর সাইফ হাসান ও জয় দুজনে মিলে শুরু করেন ইনিংস
মেরামতের কাজ। তাদের জুটিতে ভর করেই জইয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু
দুর্ভাগ্য যে পিছু নিয়েছে বাংলাদেশের সেটি কেই বা জানতো? ২২ রান করে সাইফের বিদায়ের
পর এক প্রকারে ধস নামে টাইগার শিবিরে।
উইকেটের একপ্রান্ত জয় আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে
গেলেও অপরপ্রান্ত থেকে মেলেনি সাপোর্ট। সৌম্য সরকার ও আকবর আলি এক অঙ্কের ঘরে আটকে
থেকে মাঠ ছাড়লেও মাহেদী হাসানের ১২ রান কাজে দেয়নি খুব একটা। শেষ পর্যন্ত জয়ও হাল ছাড়েন
২০ রান করে। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রান তুলে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে সৌম্য
এর আগে, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ চাপে থাকে ভারত। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত
বোলিংয়ে রান বের করতে হিমশিম খাচ্ছিলো ভারতের ব্যাটাররা। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয়
২৯ রানে ভারত শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর অভিষেক শর্মা ও নিকিন জোসের ৪৬ রানের
জুটি লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলো বাংলাদেশকে। কিন্তু দলীয় ৭৫ রানে নিকিন মাঠ ছাড়লে
শুরু হয় ভারত শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার সেরা তিনে লিটন
উইকেটের এইকপ্রান্ত ইয়াশ ধুল কামড়ে ধরে
রাখলেও অপর প্রান্ত থেকে তেমন একটা সাড়া মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত তাকেও ছাড়তে হয় হাল।
ধুলের ৬৬, অভিষেকের ৩৪, সাই সুদর্শনের
২১ ও মানাভ সুথারের ২১ রানে ভর করে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ২১১ রানের
পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান, তানজীম
হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান। একটি করে উইকেট যায় রিপন মন্ডল, সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের
ঝুলিতে।