আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ফের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

একের পর এক স্লেজিং এবং মুখের সামনে এসে উদযাপন করছিলেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। অথচ কিছুক্ষণ আগেও তাদের চেহারার দিকে তাকানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। মাত্র ১২ ওভারেই যে ৭০ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন মনে হয়েছিল সহজেই তারা ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখবে। কিন্তু সেই ধারণা বদলাতে খুব বেশি সময় লাগেনি। একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শেষপর্যন্ত ভারতের চেয়ে ৫১ রানের দূরত্বে থেমে যায় সাইফ হাসানের দল।

ভারতের দেওয়া ২১২ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ রান তুলেই থেমে যায় সৌম্য-জয়দের ইনিংসের চাকা। আর তাতেই ৫১ রানের জয় পেয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ভারতের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

আরও পড়ুন: ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের চাই ২১২ রান

ভারতের করা ২১১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে টিম টাইগার্স। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬০ রান তোলার পাশাপাশি উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে তোলেন ৭০ রান।

ইনিংসের ১৩ তম ওভারে নাঈম ৩৮ রানে বিদায় নিলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক ঠিকই তুলে নেন তানজিদ হাসান। ৫১ রানে তানজিদের বিদায়ের পর অল্পতেই বিদায় নেন জাকির হাসানও। এরপর সাইফ হাসান ও জয় দুজনে মিলে শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ। তাদের জুটিতে ভর করেই জইয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে পিছু নিয়েছে বাংলাদেশের সেটি কেই বা জানতো? ২২ রান করে সাইফের বিদায়ের পর এক প্রকারে ধস নামে টাইগার শিবিরে।

উইকেটের একপ্রান্ত জয় আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে গেলেও অপরপ্রান্ত থেকে মেলেনি সাপোর্ট। সৌম্য সরকার ও আকবর আলি এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকে মাঠ ছাড়লেও মাহেদী হাসানের ১২ রান কাজে দেয়নি খুব একটা। শেষ পর্যন্ত জয়ও হাল ছাড়েন ২০ রান করে। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রান তুলে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা।

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে সৌম্য

এর আগে, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ চাপে থাকে ভারত। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান বের করতে হিমশিম খাচ্ছিলো ভারতের ব্যাটাররা। ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয় ২৯ রানে ভারত শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব।

এরপর অভিষেক শর্মা ও নিকিন জোসের ৪৬ রানের জুটি লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলো বাংলাদেশকে। কিন্তু দলীয় ৭৫ রানে নিকিন মাঠ ছাড়লে শুরু হয় ভারত শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল।

আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার সেরা তিনে লিটন

উইকেটের এইকপ্রান্ত ইয়াশ ধুল কামড়ে ধরে রাখলেও অপর প্রান্ত থেকে তেমন একটা সাড়া মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত তাকেও ছাড়তে হয় হাল।

ধুলের ৬৬, অভিষেকের ৩৪, সাই সুদর্শনের ২১ ও মানাভ সুথারের ২১ রানে ভর করে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ২১১ রানের পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান, তানজীম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান। একটি করে উইকেট যায় রিপন মন্ডল, সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের ঝুলিতে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ-ভারত

আরও খবর



ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

এ ঘটনার পর ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠান দুইটিতে তাদের মশলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে এ দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রফতানি করা হয়।

এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা ও এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলা, মোট এই চারটি প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘ সময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর



মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে আরও ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

১. রংপুর বিভাগে ১১ জন

২. রাজশাহী বিভাগে ৫ জন

৩. বরিশাল বিভাগে ৩ জন

৪. ঢাকা বিভাগে ৬ জন

৫. ফরিদপুর বিভাগে ২ জন

৬. ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন

৭. সিলেট বিভাগে ১৫ জন

৮. চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন

৯. কুমিল্লা বিভাগে ২ জন

১০. খুলনা বিভাগে ৬ জন


আরও খবর