সেন্ট লুসিয়া
টেস্টেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ইনিংস হারের শঙ্কা হাজির। এবারও
ক্রিজে আছেন নুরুল হাসান, তবে সঙ্গী হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ দিনের
সকালে বাংলাদেশকে ‘অন্তত’ ইনিংস হারের
লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারবে কি এই জুটি, উত্তরটা আপাতত সময়ের হাতে তোলা থাক।
সেন্ট লুসিয়া
টেস্টে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪২ রান, হাতে রয়েছে চার উইকেট। উইন্ডিজকে
৪০৮ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে নেমে কূল-কিনারা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয়
সেশনেই মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত
শেষ সেশনে আরও তিন উইকেট খুইয়ে সাকুল্যে ১৩২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের
নেওয়া ১৮৪ রানের লিড টপকে ইনিংস হার এড়াতে তাই চতুর্থ দিনের সকালে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যানকে
দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আত্মবিশ্বাসী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে
তারা হালে পানি পান কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তৃতীয় দিন দ্বিতীয়
সেশনে উইন্ডিজের প্রথম ইনিংস গুঁটিয়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে
টাইগাররা। দলীয় এবং ব্যক্তিগত মাত্র ৪ রানেই কেমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে
ফিরে যান তামিম ইকবাল। বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি অপর ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়
(১৩) এবং চারে নামা এনামুল হক বিজয়ও (৪)। এই দুজনকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন এই ইনিংস
দিয়ে টেস্টে ২৫০ উইকেটের মালিক বনে যাওয়া রোচ।
এক প্রান্ত আগলে
প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সঙ্গীর অভাবে তিনিও শেষ
পর্যন্ত ভেঙে পড়েন। ৯১ বল থেকে ৮ চারে ৪২ রান করে আলজারি জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে
তালুবন্দি হয়ে ফেরেন শান্ত। শান্ত ফেরার আগেই অবশ্য সাঙ্গ হয়েছিল এই টেস্টে লিটন দাসের
যাত্রাও। ৩২ বলে ১৯ রান করে তিনি আউট হয়েছেন জেডেন সিলসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।
অ্যান্টিগা টেস্টের
দুই ইনিংসে অর্ধশত রানের দেখা পেলেও এই টেস্টে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ অধিনায়ক
সাকিব। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রানে ফিরেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে সেই রানসংখ্যা দ্বিগুণ
করতে পারলেও তা দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না মোটেও।
১৪ বলে ১৬ রান
নিয়ে সোহান এবং ১৩ বল খেলে এখনো রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় থাকা মিরাজ শুরু করবেন চতুর্থ
দিনের খেলা।