আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চা বাগানের ম্যানেজারের যোগসূত্রে গাছ কেটে বন উজার!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই উপজেলার সাতগাঁও ইউপি সাতগাও চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শত শত গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব গাছ কেটে ফেলা হলেও বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেনা। আর বাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাছ কাটার অনুমতি না নিলেও গাছগুলো স মিলে চিরাই করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

গতকদিনের অনুসন্ধানে জানা যায় দীর্ঘ দিন থেকে গাছ কেটে অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

উপজেলার সাতগাঁও চা বাগানে  সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চা বাগানের বিভিন্ন সেড ট্রি কেটে ম্যানেজার বাংলোর আশেপাশে স্তুপাকার করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অর্জুন,আদুরী, বেনজিয়াম, শীল কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির ও ঔষধি গাছ রয়েছে। ছোট বড় সব বয়সের গাছ রয়েছে।

বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইফতেখার আলম জানান, শ্রমিক কলোনির ঘর নির্মাণ ও রিপিয়ারিং কাজের জন্য এসব গাছ কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় ঝড়ে এসব গাছ পড়ে গিয়েছিল। মৃত গাছে উলু পোকা আক্রমন করে থাকে। চা গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে-এমন আশংকা থেকে এসব গাছ কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটতে বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি স্বীকার করে ইফতেখার আলম বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি না থাকলেও স মিলে গাছ চিরাই করার জন্য অনুমতি চেয়ে বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, বাগানের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের কবলে প্রায় ৭০টি গাছ পড়ে যায়। এগুলোই কাটা হয়েছে ও সংবাদকর্মী পরিচয়ের পর ওনার অফিসে চা দাওয়াত দিয়ে চা পানের পাশাপাশি চায়ের টেবিলে কথা বলবেন বলে রেখে দেন।

বন বিভাগের এসিএফ আবু বক্কর বলেন, সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃক গাছ কাটার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন, চা বাগানের গাছ কাটতে বন বিভাগ ছাড়াও চা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত কমিটি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা চুরি, তিন কর্মকর্তা আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে ওই তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে তাদের আটক করে আজ সকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর দুপুরের দিকে আদালত এই নির্দেশ দেন। এছাড়াও বিষয়টি দুদক দেখবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

অভিযুক্তরা হলেন জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান (৩৪)।

জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ ও জিডির সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক তামাই শাখা পরিদর্শনে গিয়ে হিসাবে গরমিল ও সন্দেহ পরিলক্ষিত হলে গত রবিবার তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সমস্ত কিছু অডিট শেষে ক্যাশ ভোল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হিসেবে গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এবং পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তাই জিডির কপি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, আমরা জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জিডির প্রেক্ষিতে জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে আটক করি। ঘটনাটি অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত হওয়ায় এটা দুদক দেখবেন। এরপরও তারা যেহেতু অপরাধ করেছেন তাই তাদেরকে সকালে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দুদক দেখবে কিন্তু ধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় থানা পুলিশ তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত তাদেরকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. খায়রুল হক বলেন, তাদের জিডির কপিটি হাতে এসেছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতির জন্য কমিশনে আবেদন পাঠানো হবে। অনুমতি আসার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, জনতা ব্যাংক ঢাকা অফিসের নির্দেশনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ২, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলা জেলার লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায়  আজ সকালে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক বাড়ি-ঘর, গাছপালা, বিদ্যুৎ লাইন, মাঠের ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ আকস্মিক ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় ঘর চাপা পড়ে হারিস (৬৮) ও বজ্রপাতে বাচ্চু (৪০) নিহত হন।

নিহত দুজনের পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার করে  মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজকের ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বদরপুর ইউনিয়নে হারিস ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন। তার বাড়ি ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে। তিনি ভিক্ষা করতেন। এছাড়া  চরভুতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে বাচ্চু নামে একজন নিহত হয়েছেন।

তিনি জানান, লালমোহন উপজেলায় বেশ কিছু বাড়িঘর আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় নিহত দুজনের পরিবারকে জনপ্রতি ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রচুর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তজুমদ্দিন, মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি জানান,  ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে লালমোহন উপজেলায় ৮ মেট্রিক টন চাল, মনপুরায় ৫ মেট্রিক টন চাল ও তজুমদ্দিনে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।


আরও খবর



৭১-এ ফখরুল কোথায় যুদ্ধ করেছেন জানতে চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৭১ সালে কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালে আপনি কোথায় ছিলেন? কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন? জানতে চাই। ২৫ মার্চ নিয়ে গণহত্যার একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তাদের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। এরা দালাল। তাদের জন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোটেনি।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা আমরা পাইনি। কথা দিয়ে তাদের নাগরিক ফেরত নেয়নি। পাকিস্তানের হয়ে যারা দালালি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, দেশের শত্রু।

বিএনপি ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে উল্লেখ কের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই। বিএনপির প্রভুরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষ নিয়েছে।

এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রান্নাঘরে গিয়ে খুঁজতে হবে কী কী ভারতীয় পণ্য রয়েছে। সবার ঘরেই ভারতীয় পণ্য মিলবে।

কাদের আরও বলেন, রাজনীতি করার জন্য রিজভী একটা শাল পুড়িয়েছে। আরও কয়টা শাল বাসায় আছে, জানতে হবে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। রিজভীর মতো ফখরুলও মাথা গরম করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।

বিএনপির আন্দোলন ভুয়া দাবি করে কাদের বলেন, তাদের সমাবেশও ভুয়া। ফিলিস্তিনের গণহত্যার কথা তারা বলে না।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নিয়ন্ত্রণে এসেছে গুলশানের ভবনে লাগা আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশানের-১ নম্বরে ভবনে আগুন লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।

তিনি বলেন, এডব্লিউআর ১৮তলা ভবনের ৯তলায় এসির আউটডোরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আমাদের ৪টি ইউনিট গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৩টি ইউনিট।

রোজিনা আক্তার বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আগুনের হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি। এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগে।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে করুন এই ৫ কাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রমজান সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এটি এমন একটি সময় যখন মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন, দিনের আলোতে খাবার ও পানীয় পান করেন না। এই সময়ে শরীর সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে নিরাপদে রোজা রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু কাজ। রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে এই ৫ কাজ করুন-

পুষ্টিকর খাবার খান : রমজানের সময় প্রতিটি ক্যালোরি গণনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা আইটেম এবং মিষ্টির মতো ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল, শাক-সবজি এবং দানা শস্যের মতো পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে। সেহরি এবং ইফতারের সময় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন : রোজা রাখলেও রমজানে ব্যায়াম করা যায়। ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে, চাপ কমাতে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি এড়াতে নন-ফাস্টিং ঘণ্টাগুলোতে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড এবং জ্বালানি থাকলে সন্ধ্যার প্রথম দিকে বা ইফতারের পরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। রমজানে হাঁটা বা হালকা যোগব্যায়ামের মতো কম প্রভাবশালী ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন।

হাইড্রেটেড থাকুন : রোজার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হাইড্রেটেড থাকা। রমজান মাসে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। রোজা রাখার আগে কমপক্ষে ৪-৫ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ইফতারের পরে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করুন। কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিঙ্কের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং আপনাকে আরও বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করাতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম : রমজান মাসে শরীরকে রিচার্জ এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন এবং ঘুমের চক্র বজায় রাখতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অন্যান্য উদ্দীপক এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার ঘুম নষ্ট করতে পারে এবং পরের দিন আপনি ক্লান্ত ও অলস বোধ করতে পারেন।

নিজের যত্ন নিন : রমজান মাসটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হতে পারে, তাই এসময় নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রাম নেওয়া কিংবা নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ করতে পারলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। ধর্মীয় প্রার্থনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই সময়ে নিজের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন এবং নিজেকে খুব বেশি চাপ দেবেন না।


আরও খবর