চা-কফি ছাড়া
কোনও আড্ডাই জমে না। রাজনৈতিক আড্ডা হোক বা পরনিন্দা পরচর্চা। শীতকাল আসলে মানুষ চায়ের
চেয়ে বেশি কফি খেয়ে থাকেন। কিন্তু গ্রীষ্মকালের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা থাকে। যদিও
বেশিরভাগ দেশের মানুষ গরমে চা এবং কফির বদলে মিল্কশেক ও ঠাণ্ডা পানীয় খান, কিন্তু বাঙালিরা
চিরাচরিত গরম চা ও কফির কাপে চুমুক দিতেই ভালোবাসেন। কিন্তু এই চা ও কফি খাওয়ার একাধিক
সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। গরমকালে চা ও কফির মধ্যে কোনটা খাওয়া উচিত জেনে নেওয়া যাক-
কফি
এক কাপ কফি
শুধুমাত্র আমাদের শরীরের তাপমাত্রার হেরফের ঘটায় না, ক্যাফিনের দৈনিক চাহিদাও পূরণ
করে। তাই ক্যাফেইন যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য অবশ্যই কফি সেরা পানীয়। কিন্তু ঠান্ডা
কফিতে ক্যাফেইন কম থাকায় তা অনেকের মন নাও ভরাতে পারে। কেন না, এক কাপ গরম কফি চাপ
কমাতে কাজ করে এবং মন ভালো করে দেয়। তবে এই গরমে ওজন কমাতে চাইলে দুধ ও ফ্লেভারড কফির
পরিবর্তে ব্ল্যাক কফিকেই বেছে নেওয়া ভালো হবে।
চা
চায়ের অনেক
উপকারিতা রয়েছে। গ্রীষ্মে গরম চা খেলে শরীরের স্বাভাবিক হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রা ঠান্ডা
হয়। এটি শুধু শরীরকে রিল্যাক্স করে না, হজমের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে পুষ্টি ও খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি তা শরীরকে হাইড্রেট
করার জন্যও উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে গরম চা যেমন ঠিকঠাক, তেমনই আবার ঠাণ্ডা চাও মন্দ নয়।
বিশেষত, আইসড গ্রিন টি-তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে না বলে এটি শরীরের মেটাবলিজম
বাড়াতে সাহায্য করে।
কোনটা খাওয়া সঠিক
বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই তীব্র গরমে কফির চেয়ে চা খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা
বাড়ায় এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের
থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। তাছাড়া এক কাপ চায়ের পুষ্টিগুণ এক কাপ কফির চেয়ে
অনেক বেশি। যেমন চায়ের মেটাবলিজম এবং হাইড্রেশনের গুণগুলো কফিতে নেই। পাশাপাশি বাজারচলতি
ফ্লেভারড কফিগুলো অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং ওজন কমাতে চাইলে একেবারেই উপযুক্ত নয়।
এক্ষেত্রে আইসড টিও কোল্ড কফির চেয়ে বেশি উপকারী।