আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চাকরির আশায় ভারতে গিয়ে কিডনি খোয়ালেন ৩ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চাকরির আশায় ভারতে গিয়েছিলেন তিন বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু দেশটিতে পৌঁছানোর পর তারা তিনজনই পড়ে যান কিডনি পাচারকারী সিন্ডিকেটের খপ্পরে। ওই সিন্ডিকেট তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই কেড়ে নিয়েছে একটি করে কিডনি।

ভারতের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দাখিল করা সাম্প্রতিক অভিযোগপত্রে বাংলাদেশের ওই তিন নাগরিক তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ভারতে পরিচালিত কিডনি পাচার চক্রের কথা ফাঁস করেছেন। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ইকোনমিক টাইমস।

সংবাদমাধ্যমগুলো ভুক্তভোগী ওই তিন ব্যক্তিরই পরিচয়ই গোপন রেখেছে তাদের প্রতিবেদনে। তাদের মধ্যে একজনের কাপড়ের ব্যবসা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু দোকানে আগুন লেগে তার পুরো ব্যবসা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে এক এনজিও থেকে ৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আবারও ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, ৩ লাখ টাকার বেশি ঋণ শোধ করতে পারেননি। একপর্যায়ে আর্থিক চাপের মুখে এক বন্ধুর পরামর্শ নিতে যান তিনি। আর সেই বন্ধুই তাকে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরুর পরামর্শ দেন। সেই বন্ধুই তাকে পাসপোর্ট, মেডিকেল ভিসা এমনকি ভারতে চাকরিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

তবে, গত ১ জুন ভারতে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি জানতে পারেন, সেখানে তার জন্য চাকরি-বাকরি কিছুই নেই। এর বদলে তাকে কিডনি বিক্রি করতে হবে। প্রথমে তিনি রাজি হননি। কিন্তু তার পাসপোর্ট এবং ভিসা কেড়ে নিয়ে ওই চক্রের সদস্যরা হুমকি দিয়েছিল, কিডনি বিক্রি না করলে তিনি আর কোনোদিন ভারত থেকে দেশে ফিরতে পারবেন না। ফলে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন কিডনি বিক্রি করতে।

ভুক্তভোগী দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর। তাকেও ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তাসকিন নামে এক ব্যক্তি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। গত ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে পৌঁছানোর পর রাসেল ও রোকন নামে দুজন লোক তাকে যশোলার হোটেল রামপালে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে বলে, সেখানকার এক হাসপাতালে চাকরি পাবেন তিনি। আর সেটির জন্য তার বেশ কিছু মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার। রক্তপরীক্ষা ও ইসিজি-সহ প্রায় ১৫-২০টি পরীক্ষা করা হয় তার। তারপর এপ্রিলের ২ তারিখে তাকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে এবং এক নার্স তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুষ করতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এরপর ৩ এপ্রিল জ্ঞান ফিরলে তাকে আবারও ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং তিনি আবারও অজ্ঞান হয়ে যান। এর দুদিন পর এপ্রিলের ৫ তারিখ তার জ্ঞান ফেরে। কিন্তু তিনি দেখেন তার পেটে একটি সেলাইয়ের দাগ। পরে তাকে জানানো হয় তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর ৬ এপ্রিল রাসেল ও তার সহযোগী সুমন ভুক্তভোগীকে যশোলার ওই হোটেলে নিয়ে যান।

এরপর রাসেল তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য জেনে নেন এবং সেখানে ৪ লাখ টাকা জমা করা হয়। তবে তার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপরই তাকে জানানো হয়, তিনি চাকরি পাবেন না। আর তাই তাকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে বলা হয়।

ভুক্তভোগী তৃতীয় বাংলাদেশিও একই ফাঁদে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অরণ্য নামে এক ব্যক্তি ভারতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকি প্রশিক্ষণের সময় বৃত্তিও দেওয়া হবে বলেও তাকে প্রলোভন দেখিয়েছিল অরণ্য।

আর সেই প্রলোভনে পড়ে ভারতে পা দেন তিনি। পৌঁছানোর পর একইভাবে তারও বেশ কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। এরপর একইভাবে তার কিডনিও অস্ত্রোপচার করে বের করে নেওয়া হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, মাত্র ৬ দিনে তার শরীর থেকে ৪৯ টিউব রক্ত টানা হয়েছিল।

এদিকে ভুক্তভোগী এই তিন বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে সেদেশের পুলিশ। চার্জশিট দাখিল করে শুনানির প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগী এই তিন ব্যক্তি তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।

সম্প্রতি অঙ্গ পাচারের বেআইনি ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও। দেশটির ট্রান্সপ্লান্টেশন অব হিউম্যান অর্গান অ্যান্ড টিস্যুস অ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই ধরনের অপরাধে ২০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।


আরও খবর



২-৩ বছর অন্তর্বর্তী সরকারের 'মেয়াদ চান' সম্পাদকরা: প্রেস সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তত দুই থেকে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের ২০ জন সম্পাদক মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেস সচিব।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে তারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকে। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটা সময়- সে বিষয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের কাছে জানতে চান। এই সময়টাতে কী কী মৌলিক কাজ সরকারের করা উচিত- এ বিষয়েও পরামর্শ চান তিনি।

সম্পাদকদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন রকম কথা এসেছে যেমন- অন্তত ২ বছর মেয়াদ দেওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে তা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দেন।

শফিকুল আলম বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বেশির ভাগই বলেছেন- যেসব সংস্কার কাজ বা যে কর্মপরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, সেটিই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য মস্ত বড় সুযোগ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে নতুন শেখরে নেওয়ার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এর জন্য জাতীয় ঐক্যের খুব প্রয়োজন। 

বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শ তুলে ধরে প্রেস সচিব আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনঃলিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠনের কথা এসেছে। পুলিশকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।

এ ছাড়া সম্পাদকরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেন, আপনারা লেখেন। আমাদের দোষ-ত্রুটি হলে তা নিয়ে লেখেন। আমরা আপনাদের কথা শুনতে চাই। মতামত জানতে চাই।

প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস বার বার বলেছেন- তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্ত, প্রাণবন্ত ও গতিশীল গণমাধ্যম দেখতে চান।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার দেশে একটা গতিশীল গণমাধ্য দেখতে চায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকু করা হবে। একইঙ্গে তিনি সরকার দেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা সাংবাদিকদের জন্য যেসব কালাকানুন আছে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন করার প্রস্তাব করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়ার (গণমাধ্যম) ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, একটি প্রাণবন্ত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন আমাদের দেশে মিডিয়া কিভাবে চলবে তা ঠিক করবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ যেন বিপত্তির মুখে না পড়েন, বাধার সম্মুখীন না হন- তা নিশ্চিতে এই কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার এই কমিশন গঠনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, মোট ২২ জন সম্পাদককে মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ, কালের কণ্ঠের হাসান হাফিজ, আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুন, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।

এ ছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




‘মুজিব’ সিনেমার খরচের হিসাব চান বাঁধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দুর্নীতির নানা খবর সামনে আসছে। এবার দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও বেশ সরব ছিলেন তিনি।

বাঁধনের দাবি, দুর্নীতির করালগ্রাস থেকে রেহাই পায়নি মুজিব সিনেমাও। তাই তিনি এ সিনেমার খরচের হিসাব দেখতে চান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন বাঁধন। তিনি বলেন, মুজিব নামে যে সিনেমাটি বানানো হয়েছে, আমি সেটার হিসাব চাই। দেখতে চাই, এত বাজেটের একটি সিনেমা কিভাবে এত খারাপভাবে বানানো যায়!

বাঁধন আরও বলেন, কোটি কোটি টাকা বাজেট নিয়ে কী সিনেমাটা বানাল! সে টাকাগুলো কোথায় গেল, এই হিসাব আমি দেখতে চাই। আমার খুবই কষ্ট হয়েছে, দেশের টাকা দিয়ে বানানো, আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে বানানো সিনেমা, যা ইচ্ছা তাই একটা বানিয়ে দেওয়া হলো!

সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক ও বিএফডিসির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৭০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি টাকায় ৮৩ কোটি টাকা) সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আর সে চুক্তি অনুযায়ী, সিনেমাটির মোট বাজেটের ৬০ শতাংশ অর্থ দিয়েছে বাংলাদেশ। সে হিসাবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ ভারতের বিনিয়োগ করার কথা; বাংলাদেশি টাকায় যা ৩৩ কোটির বেশি।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আনসার বিশৃঙ্খলা নিয়ে সেনাবাহিনীর বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের বিশৃঙ্খলার ঘটনা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েনরত সেনাসদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং সচিবালয়ের সব গেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। এদিন বিভিন্ন সময়ে আনুমানিক ১০ হাজার আনসার সদস্য একত্র হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় ঘেরাও করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৭ জন উপদেষ্টাসহ সচিবালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখে। উত্তেজিত আনসার সদস্যদের শান্ত করার জন্য বিকেলে মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি সচিবালয়ে আগমন করেন এবং আনসার সদস্যদের সব দাবি মেনে নেন।

এরপরও উত্তেজিত আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা ত্যাগ না করে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কিছু আনসার সদস্য সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।

এ সময় উত্তেজিত আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দ্বারা আঘাত করে। এ সময় ৬ জন সেনাসদস্য আহত হয় এবং এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মোতায়েনরত সেনাসদস্যরা ধৈর্যসহকারে আনসার সদস্যদের সঙ্গে এনগেজমেন্ট করা সত্ত্বেও উত্তেজিত আনসাররা নিবৃত্ত না হলে আকাশের দিকে ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে আনসারদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এরপর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৭ উপদেষ্টা, ডিজি আনসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর সহায়তায় সচিবালয় এলাকা নিরাপদে ত্যাগ করেন।

মোতায়েনরত সেনাসদস্যরা সচিবালয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং পরবর্তীতে জীবন রক্ষায় নিরাপদ আশ্রয় প্রাথর্নাকারী কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং তাদেরকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ওসমানীতে পড়ে আছে ১০টি লাশ হয়নি ময়না তদন্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে কোটা সংস্কার আন্দোলনে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, এমন নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে সেটি ১০ জনের মতো হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সব'কটি লাশের ময়নাতদন্তও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি, সিলেটে অন্তত ১৩-১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ জনতাও রয়েছেন।

ওসমানী হাসপাতালের তথ্যমতে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে। এরমধ্যে ৯ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম আনাস (১৯)। সে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে।

অন্যদিকে, আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২২৬ জন। এখনো ভর্তি রয়েছেন ৪৭জন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৩জন। তাছাড়া গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ১জন।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, যাদেরকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে তারা গুলিবিদ্ধ কী না উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সনাক্ত করা যায়নি। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। এখনও যারা ভর্তি রয়েছেন তারা সবাই শটগানের গুলিবিদ্ধ। শুধু একজন আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। বাকিরা সবাই গুলিবিদ্ধ।

তিনি বলেন, শেষ মুহুর্তে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় কয়েকটি মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে দুইটি মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমাদের তথ্যমতে অন্তত ১৩-১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করছি। মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



থাইল্যান্ডে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, সবার নিহতের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৯ আরোহী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুর্ঘটনার পর সারা রাত অভিযান চালিয়েও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আরোহী সবাই নিহত হয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটির দুর্ঘটনাস্থল ম্যানগ্রোভ গাছের ঘন বনে আচ্ছাদিত। কাদা মাটি পেরিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।

চাচোয়েংসাও প্রাদেশিক কার্যালয় জানিয়েছে, ছোট বিমানটি দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে ব্যাংককের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। দেশের পূর্বে ট্রাট বিমানবন্দরের দিকে সেটি যাচ্ছিল। ১০ মিনিটের মতো উড়ার পর রাডারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। বিমানটিতে থাকা চারজন থাইল্যান্ডের এবং বাকিরা চীনের নাগরিক। উদ্ধারকর্মীরা কারও মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি।

চাচোয়েংসাও-এর ব্যাংপাকং জেলার বাসিন্দারা বিমানটিকে আকাশ থেকে পড়তে দেখেন। তারা ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। বিমান কিছু ধ্বংসাবশেষ ছুটে এসে আশেপাশের বাড়িগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এক বাসিন্দা বলেন, আমি আমার বাসার সামনে বসে ছিলাম। বিকট ইঞ্জিনের শব্দে বিমানটি আমার বাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে গেল। এর মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরে এটি এখানেই বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও এর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বিমান বিধ্বস্ত

আরও খবর