আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

চাঁদপুরের ৫০ গ্রামে রোজা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) থেকে পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজ এবং মঙ্গলবার ভোরে সেহেরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষ পবিত্র রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী এসব গ্রামের মানুষ। এই মতের অনুসারী মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রা.) এর ছেলে পীরজাদা ও মতলব নোওহাটা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি গণমাধ্যমকে জানান, 'আরবি-রীতি অনুযায়ী হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা ৩০ শাবান শেষ হওয়ার পর পবিত্র রোজা পালন করবেন। এটাই নিয়ম।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে এই দরবার শরীফের প্রথম পীর মাওলানা ইসহাক (রা.) এই দেশে চন্দ্রমাস হিসেব করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন এবং সেই হিসেবে দুটি ঈদ উদযাপন শুরু করেন। এরপর তার অনুসারীরা এই ধারাবাহিকতা মেনে চলেছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর এবং শাহরাস্তি উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করেন।

প্রায় এক শতাব্দী ধরে ওই সব গ্রামে মুসলমানরা সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে আগাম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছেন। ওই সব মুসল্লিরা ইসলামের চার মাজহাবের মধ্যে হানাফি মাজহাবের অনুসারী।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




তারাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই-বোন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

জেলার তারাকান্দা উপজেলা সদরে আজ বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে সহোদর ভাই-বোন নিহত হয়েছেন।

আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা দক্ষিণ বাজারের জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার চর শিমুলচরা গ্রামের মোকাদ্দেস রহমান তোরাব ও মনিরা বেগমের ছেলে আনাছ আহনাফ (৩) এবং বোন মাশুরা নোকাদ্দেছ তানাছ (১৬)।

জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী ভাই সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে রবিবার ভোরে ঢাকা যাচ্ছিল বোন মনিরা বেগম, মনিরার স্বামী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব, তাদের সন্তান তানাজ, আনাছসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পথিমধ্যে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ফিলিং স্টেশনের সামনে মিথুন সুপার নামে একটি বাসের সাথে সংর্ঘষ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ ৩ জন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,

মাইক্রোবাসে করে পরিবারটি শেরপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তারাকান্দা দক্ষিণ বাজারে দুর্ঘটনায় পড়ে। সেখানে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায়। আহত বাবা ও মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর



পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। এদিন মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: লাইলাতুল কদর

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর



ঈদে ৬ দিন ছুটি পেলেন গণমাধ্যমকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেয়েছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা।

কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ফের সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পেয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

তবে এবার ঈদের ছুটি ৬ দিন একটি অনন্য রেকর্ড। কারণ স্বাধীনতার পর আর কখনো সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



লালমনিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কা, অর্ধশত যাত্রী আহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্ল্যাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে আগের ইঞ্জিন নিয়ে লোকোশেডে চলে যান চালক।

পরে লোকোশেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগিতেই ছিটকে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আহতদের মধ্যে দুজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আহতদের ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম বলেন, লোকোশেড থেকে ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দিতে জোরে ধাক্কা লাগায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০-৫০ জন যাত্রী সামান্য আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় লোকো বিভাগের চালক গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রেন নিয়ে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে লোকো বিভাগ।

এ ব্যাপারে জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আব্দুস সালামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও খবর