আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চাঁদপুরের বাস দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলা যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দুর্ঘটনাকবলিত বাসের পেছনের অন্য আরেকটি বাস থেকে ধারণ করা হয়েছে। তবে কে তা ধারণ করেছেন তার পরিচয় ঘটনার একদিন পার হলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মৌতাবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুই নারী যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এদের একজন শাহরাস্তির নাওড়া গ্রামের বীভা রানী দাস এবং কুমিল্লার নিমসারের গীতা রানী দাস। এই দুজন পরস্পর আত্মীয়। এই দুর্ঘটনায় বাসের আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বোগদাদ পরিবহনের বাসটি শাহরাস্তির মৌতাবাড়ি এলাকায় পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।

শাহরাস্তি থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, খুব বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।

দেশের বিশিষ্ট দারুশিল্পী সমীরণ দত্ত জানান, এই দুর্ঘটনায় তার বড়বোন নিহত হন। এর আগে আরেক দুর্ঘটনায় কয়েক বছর আগে তার বোনের স্বামীও নিহত হন।

অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী বোগদাদ পরিবহনের বাসগুলো প্রায় এমন বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়।



নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি ও বন্দরের কাজ চলবে বলে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ফারুক হোসেন বলেন, জন্মাষ্টমী উপলেক্ষে সরকারি ছুটি থাকলেও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ভাবে চলছে।


আরও খবর



আনসারে ‘রেস্ট প্রথা’ বাতিল হচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমরা তিন উপদেষ্টা এবং অন্যান্য সহকর্মী সবার সাথে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এখন থেকে আনসারে কোনো রেস্ট প্রথা থাকবে না। রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একই সঙ্গে অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। এই কমিটি সবকিছু পর্যালোচনা করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব।

আনসারে রেস্ট প্রথা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি তিন বছর চাকরির পর আনসার সদস্যদের ছয় মাস রেস্টে থাকা লাগে। এই ছয় মাস পর তারা আবার জয়েন করেন। এই ছয় মাস তাদের খুব মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। নিয়োগ বিধিমালা থেকে এই প্রথা বাতিল করে কীভাবে তাদের চাকরিতে রেগুলার করা যায়, সে প্রক্রিয়ায় কাজ করা হচ্ছে। সাধারণ আনসারদের মধ্যে চারজন প্রতিনিধি নিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা একটি সুপারিশ দেবেন।

এ সময় তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু একটি কমিটি হয়েছে, সেহেতু বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের একটি জাতীয় সংকট চলছে। আমাদের অনেকদিকে কাজ করা লাগছে। এই দুর্যোগকালীন সময়েও এই সুপারিশ কমিটি সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। আনসার ভাইদের যে সমস্যা, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সমাধানে আমরা পৌঁছাব। তবে, প্রাথমিকভাবে তাদের রেস্ট প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসা আনসার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমরা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি খুব আন্তরিক ছিলেন। আমরা দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।


আরও খবর



শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সামনে এখন যেসব রাস্তা খোলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন তিন সপ্তাহের ওপর হয়ে গেলো। চরম গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভারত সরকার আপাতত তার (সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানার) থাকার ব্যবস্থা করেছে ঠিকই, কিন্তু শেখ হাসিনার বিষয়ে চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছুই জানানো হয়নি।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক বা অফিশিয়াল পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ভারতে এখন তার অবস্থানের বৈধ ভিত্তিটা কী, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

এই পটভূমিতে দিল্লিতে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি যেটা আভাস পেয়েছে, তা হলো- এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সামনে কার্যত তিনটি পথ খোলা রয়েছে।

প্রথমত, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা, যেখানে তিনি নিরাপদে ও সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার নিশ্চয়তা পাবেন।

দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় (পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম) দিয়ে ভারতেই রেখে দেওয়া।

তৃতীয় পথটা হয়তো এখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয় কিন্তু ভারতে কর্মকর্তা ও পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ বিশ্বাস করেন, কিছুদিন পরে উপযুক্ত পরিস্থিতি এলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের জন্যও ভারত চেষ্টা করতে পারে।

এর মধ্যে ভারতের কাছে উপায় হিসেবে প্রথমটাই যে সেরা’– তা নিয়েও অবশ্য কূটনৈতিক মহলে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, তিনি ভারতেই রয়ে গেলে সেটি আগামী দিনে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

এর পাশাপাশি, ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ঢাকার কাছ থেকে যদি অনুরোধ আসে সেটি কোনো না কোনো যুক্তিতে দিল্লি খারিজ করে দেবে, তা-ও একরকম নিশ্চিত।

তৃতীয় কোনো বন্ধু দেশে পাঠানো-

ভারতের সবশেষ সরকারি বক্তব্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার এবারের ভারতে আগমন ছিল সাময়িক

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত ৬ অগাস্ট দেশটির পার্লামেন্টে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে ফর দ্য মোমেন্ট (এখনকার মতো) কথাটা ব্যবহার করেছিলেন এবং তারপর থেকে ভারত সরকার আর এ বিষয়ে নতুন করে কোনো ভাষ্য দেয়নি।

তার কারণ হলো, শেখ হাসিনাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চেষ্টা এখনো পুরোদস্তুর অব্যাহত রয়েছে। তবে সেটি যদি চট করে সফল না-ও হয়, তাহলে দিল্লি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে যতদিন খুশি ভারতে রাখতে কোনো দ্বিধা করবে না।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার কথায়, উই আর হোপিং ফর দ্য বেস্ট, প্রিপেয়ারিং ফর দ্য ওর্স্ট!

অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ভারত এখনো আশা করছে, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালোটাই ঘটবে (তৃতীয় কোনো বন্ধু দেশে গিয়ে থাকতে পারবেন), কিন্তু সেটা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে সবচেয়ে খারাপটার জন্যও (শেখ হাসিনাকে লম্বা সময়ের জন্য ভারতেই রেখে দিতে হবে) দিল্লি প্রস্তুত থাকবে।

বিবিসি জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রস্তাব প্রথমেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং ইউরোপের দু-একটি দেশের সঙ্গে ভারত এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিল।

যদিও এসব আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর নেই। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি প্রভাবশালী দেশ কাতারের সঙ্গেও ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে শেখ হাসিনা নিজে এখনো কোনো দেশে আশ্রয়ের জন্য লিখিত আবেদন করেননি। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে তো নয়ই, উল্লেখিত দেশগুলোতেও না। তার হয়ে এবং তার মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে যাবতীয় কথাবার্তা ভারত সরকারই চালাচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হলো, যদি তৃতীয় কোনও দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে রাজিও হয় তাহলে কোন পাসপোর্টে তিনি দিল্লি থেকে সেখানে যাবেন?

ঢাকায় ভারতের সাবেক হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বিবিসিকে বলেন, এটি বড় কোনো সমস্যা নয়। বাংলাদেশ সরকার যদি তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েও থাকে, ভারত সরকারের ইস্যু করা ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট বা পারমিট দিয়েই তিনি অনায়াসেই তৃতীয় দেশে যেতে পারবেন।

রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান-

একান্ত প্রয়োজন হলে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে রেখে দিতে ভারত যে দ্বিধা করবে না, সেই ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে দিল্লিতে।

অতীতে তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামা, নেপালের রাজা ত্রিভুবন বীর বিক্রম শাহ বা সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর মতো বহু বিদেশি নেতাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেও ১৯৭৫ সালে সপরিবার ভারতের আতিথেয়তা পেয়েছিলেন।

তবে এই পদক্ষেপ যদি একান্তই নিতে হয়, তবে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী পড়বে, সেটিও দিল্লিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ১৯৫৯ সালে দালাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল আজ ৬৫ বছর পরেও কিন্তু তার রেশ রয়ে গেছে।

দালাই লামাকে ভারতে বা আন্তর্জাতিক বিশ্বে যতই শ্রদ্ধার চোখে দেখা হোক, দিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কে তিনি বরাবর অস্বস্তির কাঁটা হিসেবেই থেকে গেছেন।

ভারতেও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ভারত যদি আশ্রয় দিয়ে রেখে দেয় তাহলে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সেটা অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।

দিল্লিতে আইডিএসএর সিনিয়র ফেলো স্ম্রুতি পট্টনায়কের কথায়, যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, তাতে একটা স্পষ্ট ভারতবিরোধী চেহারা ছিল। সেটি যেমন হাসিনাবিরোধী আন্দোলন ছিল, তেমনি ছিল ভারতবিরোধীও!

এখন যদি সেই ভারতই তাকে আশ্রয় দেয়, তাহলে বাংলাদেশে তা একটা ভুল বার্তা দেবে এবং সে দেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্টকে অবশ্যই আরও উসকে দেবে।

এই সমস্যার কথা ভারত সরকারও খুব ভালোভাবেই জানে। তারপরও প্রথম অপশন যদি কাজ না করে, তাহলে এই দ্বিতীয় অপশনটার দিকে তাদের বাধ্য হয়েই ঝুঁকতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিনের বন্ধু শেখ হাসিনার বিপদে পাশে না দাঁড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়!

রাজনৈতিক কামব্যাকে সাহায্য করা-

ভারতে সরকারের শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের পর্যায়ে একটি প্রভাবশালী মহল এখনো বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে শেখ হাসিনা মোটেও চিরতরে ফুরিয়ে যাননি এবং উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ এলে ভারতের উচিত হবে তার রাজনৈতিক পুনর্বাসনে সাহায্য করা।

এই চিন্তাধারায় বিশ্বাস করেন, এমনই একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা অন্তত তিন-তিনবার কামব্যাক করেছেন ৮১তে, ৯৬তে আর ২০০৮-এ! এই তিনবারই অনেকে ভেবেছিলেন, তার পক্ষে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। কিন্তু প্রতিবারই তিনি তাদের ভুল প্রমাণ করেছেন!

তবে এটিও মনে রাখা দরকার, তখন কিন্তু তার বয়স অনেক কম ছিল। আর এখন তিনি ৭৬ পেরিয়ে সামনের মাসেই ৭৭ পূর্ণ করতে চলেছেন সেটা কি কোনও বাধা হবে না?

জবাবে ওই কর্মকর্তা বলছেন, বয়স হয়তো পুরোপুরি তার সঙ্গে নেই। কিন্তু ৮৪ বছর বয়সে মুহাম্মদ ইউনূস যদি জীবনে প্রথম সরকারের প্রধান হতে পারেন, তাহলে তার চেয়ে বয়সে ছোট শেখ হাসিনা কেন পারবেন না?

তবে ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত মনে করেন, আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভারত প্রচ্ছন্ন সমর্থন হয়তো দিতে পারে, কিন্তু শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করা খুবই কঠিন কাজ হবে।

তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আমি মনে করি না। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারবে নিশ্চয়, কারণ তাদের নিশ্চিহ্ন করা অত সহজ নয়। কিন্তু দলের নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই!

ফলে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন যখনই হোক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাতে লড়ছে- এটিকে কোনো বাস্তবসম্মত দৃশ্যপট বলে মনে করছেন না ভারতের এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।


আরও খবর



একযোগে ৮১ বিচারককে বদলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার প্রশাসনে জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ৮১ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) তাদের বদলি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ৪৪ জন, জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ২২ জন এবং ১৫ জন অতিরিক্ত ও যুগ্ম জেলা জজ রয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের এ কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও বিচার বিভাগ।

বদলি করা জেলা জজদের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা/জেলা ও দায়রা জজ/দপ্তর প্রধানের মনোনীত ব্যক্তির কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্বভার অর্পণ করে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন>>> চলমান বন্যায় দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪

বদলি হওয়া সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের জেলা ও দায়রা জজ/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা দপ্তর প্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এবং প্রশিক্ষণ/ছুটিতে থাকা বিচারকদের প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের তারিখে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

বদলি করা অতিরিক্ত জেলা জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ/মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধানের মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

নিউজ ট্যাগ: আদালত

আরও খবর
সাবেক এমপি জর্জ ৩ দিনের রিমান্ডে

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রামের নতুন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রামের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) সহকারী পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) সহকারী পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের তথ্য জানানো হয়।

একই আদেশে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. ইফতেখার আহম্মদকে বদলি করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেসের উপপরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাঁশখালীর সরল গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও কামরুন্নাহার দম্পতির সন্তান। তিনি ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।

এর আগে তিনি বাঁশখালী ও পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এবং কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার একমাত্র ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসী।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর