আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুর উপজেলার মেশিন মোড়ে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ট্রাক ও বাসের যাত্রীসহ নয়জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে রহনপুর ইউনিয়নের মেশিন মোড়ে ভোলাহাট থেকে ছেড়ে আসা সাথী এন্টারপ্রাইজ নামে ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে অরপদিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়।

এতে আহত হন  ট্রাক চালক মো. নুরনবী (২৬), বাস যাত্রী ভোলাহাট উপজেলার চকধরনপুর গ্রামের মো. মামুন-অর-রশিদ (২২), মো. মেহেদি হাসান (১৮), মো. তরিকুল ইসলাম (৪৫), মোসা. নাসিমা বেগম (৪০), মেহেদী হাসান (২৫), রফিকুল ইসলাম (৪০), মটরী বেগম (৩৮) ও মো. রাকিবুল ইসলাম (৩০)।

স্থানীয়রা জানান, রহনপুর টু আড্ডা আঞ্চলিক সড়কের মেশিন মোড়ে রাত ৯টার দিকে ভোলাহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসটির সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে যাওয়া ট্রাকটির সংঘর্ষ। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল আসে। সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা ট্রাক চালক নুরনবীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে জামায়াতের আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

তিনি বলেন, ডিসমিস ফর ডিফল্ট হিসেবে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত (রেস্টর) করতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ডিসমিস ফর ডিফল্ট বলে আপিল খারিজের  আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেটে কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি-৪৮ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৯০ টাকা। জব্দ করা মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় শাড়ি, চশমা, পোস্তদানা, চা পাতা, বডি লোশন, ক্রিমসহ বেশকিছু পণ্য। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দিবাগত (১০ সেপ্টেম্বর) রাত দুইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা লামাপুঞ্জি নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। এসময় আনুমানিক ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৯০ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় স্কিন সাইন ক্রীম-১৩,৯৯৭ পিস, ভারতীয় চশমা-১৭,৭৬৬ পিস, ভারতীয় মুভ স্প্রে-৬৪৮ পিস, ভারতীয় জনসন ক্রীম-১,০৩৭ পিস, ভারতীয় হোয়াইট টন ক্রীম-১,৭১০ পিস, ভারতীয় কাতান শাড়ী-৫০ পিস, ভারতীয় পোস্তদানা-১৭৮ কেজি এবং ভারতীয় চা পাতা-২৪০ কেজি।

এ সময় মালামাল রেখে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। জব্দ করা মালামাল কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য অস্তিত্ব হারাচ্ছে রাউজানের নামকরা প্রসিদ্ধ কালাচাঁন চৌধুরী হাট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাহাদার হোসেন সাজ্জাদ, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

Image

উত্তর চট্টগ্রামের নামকরা প্রসিদ্ধ কালাচাঁন চৌধুরী হাটের অস্তিত্ব হারাচ্ছে কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য। হাটের জায়গায় অবৈধ দখল নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীরা স্তূপ করে রাখেন কাঠ। ফলে কাঁচাবাজার বসার কোনো জায়গায় না সাপ্তাহিক বাজার বসে না।

তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন আমলে চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা গ্রামের জমিদার কালাচাঁন চৌধুরী সর্তা খালের পাশে বাজারটি  প্রতিষ্ঠা করেন।সপ্তাহে বুধ-রবিবার দুই দিন এই হাটে নানা ধরনের শাক সবজি পাওয়া যেতো। হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজানের মানুষের কাছে কাঁচা বাজারের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল কালাচাঁন চৌধুরী হাট।সপ্তাহিক এই হাটে দূর- দূরান্ত থেকে এলাকার কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। শাক সবজির পাশাপাশি এই হাটে মাছ, মাংসসহ অনন্য নিত্যপণ্য ইত্যাদি পাওয়া যেতো। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতা- বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকতো এই কালাচাঁন চৌধুরী হাট। অদূরে শুনা যেতো বাজারে আসা মানুষের শব্দ।কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই সেই প্রাণচাঞ্চল্য হাটটি। বাজারের জায়গা বেদখল হয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ীদের হাতে। কাঠ ব্যবসায়ীরা জলপথে ও গাড়ি যোগে প্রতিদিন বিপুল পরিমান কাঠ গহিরা কালাচাঁন চৌধুরী হাটে এনে বাজারের বিশাল জায়গা দখল নিয়ে স্তুূপ করে রাখেন কাঠের পাহাড়। ফলে কাঁচা বাজার বসার কোন জায়গায় থাকে না।

তবে ২০১৩ সালে রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী সরকারি অর্থায়নে কালাচাঁন চৌধুরী হাটে তিনটি বাজার শেঠ নির্মাণ করে দিলেও এক যুগধরে মিলে না কালাচাঁন চৌধুরী হাট। সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা দুইটি বাজার শেঠ দখল করে ফার্নিচারের দোকান ও কারখানা গড়ে তুলেছে কাঠ ব্যবসায়ীরা। আরেকটি বাজার শেঠে স্থানীয় দুই-তিন জন সবজি বিক্রেতা তাদের জমিনের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বুধবার বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করতে আসা বৃদ্ধ আনোয়ার পাশা বলেন, এক সময় কালাচাঁন চৌধুরী হাটে যে জৌলুস ছিল, এখন তা আগের মত নেই।অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে ক্রমেই অস্তিত্ব হারাচ্ছে দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কালাচাঁন চৌধুরী  হাট।

স্থানীয় লোকজন ও হাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালাচাঁন চৌধুরী হাট লাখ টাকার মূল্য ইজারা ডাক হতো।সরকার পেতো রাজস্ব আয়। এখন হাটের ইজারা ডাক হলেও কেউ দিতে চাই না ইজারা। ফলে রাজস্ব আয় পাচ্ছে না।

গহিরা কাঠ ব্যবসায়ী জাহেদ মেম্বার বলেন, গহিরা চৌমুহনীতে প্রতিদিন সকাল বিকাল কাঁচা বাজার বসে। যার কারণে এই হাটে ব্যবসায়ীরা আসে না। কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাই তিনি বলেন, কাঠ ব্যবসায়ীদের জায়গায় তাঁরা কাঠ স্তূপ করে রেখেছে। বাজারের জায়গা দখল করেনি। স্থানীয়রা কালাচাঁন চৌধুরী হাটের ঐতিহ্য ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এবিষয়ে রাউজান  উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, কালাচাঁন চৌধুরী হাটের জায়গা দখল করার কোনো সুযোগ নেই। যদি কালাচাঁন চৌধুরী হাটের জায়গায় গহিরা কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকলে খতিয়ান দেখে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম আটক

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইউজিসির নতুন চেয়ারম্যান ঢাবির সাবেক উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগে পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। আগামী চার বছরের জন্য তাকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার দাযিত্ব নেওয়ার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ১১ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

জানা যায়, এস এম ফায়েজ ২০০২ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম উপাচার্য পদে নিয়োগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার সময়কালীন ওয়ান ইলেভেন সরকার থাকায় ৬ বছর ঢাবির উপচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ড. ফায়েজ ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করে সকল সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অনুরোধের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায়, প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেরিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচার পত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বিভিন্ন সভা, সেমিনারে সররাহকৃত খাবারের প্যাকেট কাগজের বা পরিবেশ বান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্টু, কাটলারিসহ সকল পণ্য পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সকল ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার ও ফুলের তোড়ায় প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

ওই সকল বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সকল সিনিয়র সচিব, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্লাস্টিকদূষণে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ আগস্ট জারিকৃত এক পত্রের মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ২৮ আগস্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৭ ধরনের বস্তু, সামগ্রী ও পদার্থকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর গত  ২৯ আগস্ট জারিকৃত এক অফিস আদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহে ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক পর্যায়ে 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা' করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর