আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন,

আনন্দঘন পরিবেশে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পালিত হয়েছে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা শহরের পাঠানপাড়াস্থ শহীদ ক্যাডেট একাডেমি ও আলহাজ্ব কাইমুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল মিলনায়তনে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়।

আজকের দর্পণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন -এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু।

সহকারী অধ্যাপক মোঃ গোলাম ফারুক মিথুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, স্বাচিপ জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোঃ গোলাম রাব্বানী, বিএমএ জেলা শাখার  সভাপতি ডা. দুররুল হোদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের সহকারী সরকারি কৌশলী অ্যাড. আঞ্জুমান আরা, টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ রোকনউজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তোসিকুল আলম বাবুল, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসমিন সুলতানা রুমা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদার রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল আলম, পোস্ট মাস্টার (পিআরএল) লক্ষণ চন্দ্র দাস।

সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, আমিনুল হক আবির, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সেলিম রেজা, মোঃ সিহাব উদ্দিন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুরু থেকেই পাঠকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে আজকের দর্পণ পত্রিকা। শিক্ষা, কৃষি, ক্রীড়াসহ উন্নয়ন ও অনিয়ম দুর্নীতির নানা বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে দৈনিক এই পত্রিকা। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে দেশব্যাপী এই জনপ্রিয়তা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

বিগত দিনগুলোর মতো সামনের দিনগুলোতেও আজকের দর্পণ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের তথ্য বিনোদন ও শিক্ষামূলক তথ্য চাহিদা পূরণে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে বক্তারা মনে করেন।


আরও খবর



‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর



মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেতা ও বিজেপি সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীকে গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মিঠুন সম্পর্কে তিনি বলেন, ওকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। ও এত বড় গদ্দার আমি জানতাম না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ভারতে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে প্রথম দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। লোকসভা ভোটে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যে উত্তরে প্রচারও শুরু করেছেন।

সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেছেন, ফিল্মস্টার থেকে মিনিস্টার সবাইকে আনছে ভোট করাতে। এই মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। তখন জানতাম না ও বাংলার আরও একটা বড় গদ্দার।

মমতার দাবি, নিজের ছেলেকে বাঁচাতে আরএসএস দপ্তরে মাথা নিচু করেছিলেন মিঠুন। তিনি বলেন, মনে পড়ে, তার ছেলেকে ধরেছিল, বিয়ের পিঁড়িতে হানা দিয়েছিল। সেইসময় নিজের ছেলেকে বাঁচাতে মিঠুন চলে যায় আরএসএস অফিসে। ওখানে গিয়ে বলে, আমি বিজেপির সেবক আছি।


আরও খবর



জাবিতে ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, একই ব্যাচের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং এহসানুর রহমান রাফি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর ও ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক আলমগীর কবির

অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, এ ঘটনায় আল বেরুনী হল প্রাধ্যক্ষ শিকদার মোঃ জুলকারনাইনকে সভাপতি ও নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়াকে সদস্য সচিব করে করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন- প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম আক্কাস আলী।

এর আগে, গত ২০ মার্চ (বুধবার) জাবিতে ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারীর উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও আজ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আহত লিটন (১৯) আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম বলেন, দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে লিটন নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে বিএসএফ।

এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে।


আরও খবর



বরিশাল মেডিকেলের প্রিজন সেলে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার আসামি পিটিয়ে অপর এক আসামিকে হত্যা করেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ওই বৃদ্ধ আসামিকে পেটানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর একটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানিয়েছেন।

নিহত মো. মোতাহার (৬০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। পিটুনিতে আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি।

হামলাকারী তরিকুল ইসলামের (২৫) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। সে পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী তরিকুল অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে হাসপাতালের একজন জানিয়েছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে আকস্মিকভাবে ওই ব্যক্তি অপর দুই আসামিকে স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে মোতাহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পায়। অজিত আঘাত পেলেও গুরেুতর আহত হয়নি। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিল। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেনি। স্যালাইনের স্ট্যান্ড দিয়ে মানসিক রোগী দুইজনকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, কি ঘটনা ঘটেছে তদন্ত না করে বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।

দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার।


আরও খবর