চিত্রনায়িকা পরীমণিকে
চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরও পাঁচদিনের
রিমান্ড আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম
দেবব্রত বিশ্বাস পরীমণির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে পরী গ্রেপ্তার
হবেন এমন তথ্য চার মাস আগেই জানতে পেরেছিলেন নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। দেশের প্রথমসারির
একটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, পরীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে চার মাস আগেই অজ্ঞাত একটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে খুদে বার্তাসহ
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীরে ফোনে পাঠানো হয়। খুদে বার্তায়
বলা হয়, পরীমণির সামনে অনেক বড় বিপদ। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মিটিং হয়েছে। অচেনা নম্বর
থেকে এমন ম্যাসেজ পেয়ে বিচলিত চয়নিকা সেটি পরীর ফোনে ফরওয়ার্ড করেন।
চয়নিকার ম্যাসেজের
পর নড়েচড়ে বসেন তিনি। আগাম তথ্য জানতে পেরে গ্রেপ্তার এড়াতে দেন দরবার শুরু করেন নায়িকা।
পরিচিতজনদের সঙ্গেও যোগাযোগে লাগাম টানেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে নতুন নম্বর
চালু করেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না পরীর।
পরীমণিকে গ্রেপ্তারের
নেপথ্যে রয়েছে তার উশৃঙ্খল জীবন। সিনেমার শুটিংয়ের আড়ালে প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ
হতে বেশি পছন্দ করতেন পরীমণি। রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে প্রায় প্রতিদিনই গভীর
রাত পর্যন্ত পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন তিনি।
সূত্র মতে, পরীকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত টি অনেক আগের। নানা কারণে বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছিল। তবে বোট
ক্লাবের ঘটনা আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার ব্যবস্থা করে।