আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত দু'দিন ব্যাপী ৪৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বুধবার সকালে রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে শুভ উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, রেলওয়ে জেলারেল ম্যানেজার মো. নাজমুল ইসলামসহ সিনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে রেলের ক্রীড়াবিদরা এক সময় সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছিল। ক্রীড়াঙ্গণে রেলের হারানো ঐতিহ্য পুররুদ্ধারে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরপরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন নতুন রেলমন্ত্রী রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, পঙ্গু রেলওয়েকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো অবস্থানে এনেছেন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলওয়েকে উন্নতির শিখরে নিয়ে এসেছেন। নতুন ইঞ্জিন ক্রয়, বগি আনা, নতুন রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। নতুন ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকটে দূর হবে রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
ভবিষ্যতে কৃষকদের উৎপাদিত জিনিস সহজলভ্য পরিবহন, যেমন রাজশাহীতে আম পরিবহন করা হবে। তবে ট্রেনিং, ড্রাইভার দক্ষতা, টেকনিক্যাল লোকের অভাব, নিয়োগ বন্ধ ছিল অনেকবছর। এখন নতুনভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এসব সবকিছু এখন সচল করা প্রয়োজন। আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, সবকিছু বুঝতে একটু সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, পুরোনো কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝিতে এ সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে। নতুন কালুরঘাট সেতু ৪ থেকে ৫ বছরে হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছেন। কক্সবাজার রুটে কয়েকমাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। রেলে দক্ষ লোকে অভাব রয়েছে যা তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা শুরু করতে চাই। ড্রাইভার ও ইঞ্জিনের সংকটে জন্য এখন সবকিছু করা হচ্ছে না। আগে বসার জায়গা করলে শুয়ার জায়গা হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি, রেল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমগুলো চালিয়ে নিবো, তিনি চান রেলওয়ে আরো উন্নত হোক।