চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন-হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯
শিক্ষাবর্ষের মো. জাহিদ, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. মুজাহিদ, রাজনীতি
বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির আহমেদ ও আরবি বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের
সাহিল কবির।
জানা যায়, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল
হল ছাত্রলীগকর্মী বিজয় গ্রুপ সমর্থিতদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে মারামারি হয়। এরপর
শিক্ষার্থীকে মারধর, কর্মচারীকে হত্যার হুমকি ও শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সংস্কৃত
বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদকে বিজয় গ্রুপ থেকে পিটিয়ে বের
করে দেয় বিজয়ের কর্মীরা।
এ বিষয়ে বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী জামায়াতের নেতা জাকির হোসেনের ছেলে মুজাহিদ। অনেকদিন ধরে ছাত্রলীগে ঘাপটি মেরে শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছিল সে। গত কয়েকমাস তার অবৈধ কার্যকলাপ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গ্রুপে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত ছিল। সর্বশেষ সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ছাত্রলীগের ছেলেদের গতিরোধ করে। তাই আজকে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে প্রতিহত করে।’ অভিযোগের ব্যাপারে মুজাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি
রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘এটা একটা ন্যাক্কারজনক
ঘটনা। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা প্রশাসন দেখবে, ব্যক্তিগতভাবে তাকে শাস্তি দেওয়ার
বা এভাবে কোপানোর এখতিয়ার কারো নেই।’
শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে
চাইলে রুবেল বলেন, ‘সে যদি জামায়াত-শিবিরের কেউ হয়েই থাকে
তাহলে গত পাঁচবছর তাকে নিয়ে যারা রাজনীতি করেছে তারাও জামাত শিবিরের আওতায় চলে আসে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে চারজন আহত হয়েছেন। আমরা গিয়ে আহতের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। পরিস্থিতি শান্ত আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’