চীন ভ্রমণ নিয়ে
যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের সতর্ক করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত শুক্রবার জানিয়েছে,
চীনে ‘অন্যায়ভাবে’ আটক হওয়ার ঝুঁকি থাকায় মার্কিন নাগরিকদের দেশটিতে ভ্রমণের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা
করা উচিত। খবর সিএনএনের।
যদিও আগে থেকেই চীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা রয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডকে লেভেল ৩: ভ্রমণ পুনর্বিবেচনা গন্তব্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। দেশটিতে স্থানীয় আইনের নির্বিচার প্রয়োগের ঝুঁকির কারণেই গত মার্চে এমন সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: দেশের ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরের এক মুখপাত্র ব্যাখ্যা করেছেন যে, চীন সরকার অন্যায়ভাবে আটকের ‘এই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে’। এ কারণে মার্কিন নাগরিকরা অন্যায়ভাবে
আটকের ঝুঁকিতে আছেন। তাই মার্কিন নাগরিকদের চীনের মূল ভূখণ্ডে ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা
করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, জুনের শেষের দিকে এবং মার্চে দেওয়া ভ্রমণ পরামর্শে উল্লেখ করা হয়, পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সরকারের হাতে মার্কিন নাগরিকদের অন্যায়ভাবে আটক হওয়ার ঝুঁকি বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ হালনাগাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানের শীষ মানুষের পেটের বিষ হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের
এমন এক সময়
যুক্তরাষ্ট্র এ সতর্কতা জারি করলো যখন মাত্র কয়েকদিন আগেই বেইজিংয়ে সফর করেছেন মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের
শীর্ষ কোনও কূটনীতিক চীনে সফর গেছেন।
সম্প্রতি উত্তেজনা কমাতে সম্পর্ক উন্নয়নে বেইজিং সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। কিন্তু তিনি সফর শেষ করে ফেরার পরদিনই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির যে সম্ভাবনা ছিল তা কার্যত ভেস্তে যায়।