আজঃ বুধবার ০৫ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ছাত্রছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর: বীর বাহাদুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের এই ছাত্রছাত্রীরা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় সোনার ছেলে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁও বিএফডিসি ৮ নম্বর ফ্লোরে পার্বত্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংএমপি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিসহ কোন দিকেই এখন আর পার্বত্য অঞ্চল পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা বিকাশে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চল দেশের জন্য এক বিশাল সম্পদে পরিণত হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এর সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় এ সময় প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের  পরিচালক সাফি রহমান খান ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন বক্তব্য রাখেন । এ সময় বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন ৭১ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয়, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও সিটি এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের, ডিবিসি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাত জাহান উর্মী, লেখক, বিতর্ক সংগঠক ও নাট্যকার অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক নীল মাহবুব।

এসময় মন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস বহার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যিনি, তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে  বলেন, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর সুদীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী। আগামী দিনে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে তাদের গড়ে তোলার জন্য শুধু সরকার নয় সমাজের সকলের ইচ্ছা, আগ্রহ ও সহযোগিতা কামনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসং এমপি। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় এ সরকার আগামি ২৩শে জুনের মধ্যে ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুত বিতরণ কাজ সম্পন্ন করবে। এ সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করবে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত ফেলে রাখা হবে না। উৎপাদনের দিক দিযে কৃষিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন এনে দিবে বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তনের এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষেরা। কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সেচনালা, পাওয়ার পাম্প, পাওয়ার টিলার, ধান মারাই মেশিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রমাণ করে দেব পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য একটা সম্পদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকায় বিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় অংশ নেয়। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় বিজয়ী দলের দলনেতা সুজাতা চাকমা। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।


আরও খবর



বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মোংলা থানার ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক মুসলিম নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরন্ময় সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ (এসপি) মো. আবুল হাসনত খাঁন।

এরআগে ভুক্তভোগী ওই নারী মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগে যশোর জেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, পাঁচ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) চাকরিরত ছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সাথে ঘনিষ্ট হন হিরন্ময় সরকার। গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই নারী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের এমন সম্পর্কের কিছুদিন পর তিনি গর্ভধারণ করেন। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় সরকার ভ্রূণ নষ্ট করেন। এরপর ওসি হিরন্ময় ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

গেল বৃহস্পতিবার (৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন ওই নারী। পরে মোংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোংলা সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারকে অবহিত করেন।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী রোববার (১২ মে) মোংলা থেকে নিজ জেলা যশোর ফিরে যান।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, হিরন্ময় সরকারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ওই নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার বলেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী শুধু বন্ধু ছিল। তার সাথে শারীরিক বা প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।


আরও খবর



দোহারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় পানিতে ডুবে জান্নাত নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ইউসুসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত জান্নাত ইউসুসপুর এলাকার মো.শরিফ ও ফাতেমা দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

শিশুটির পরিবার জানান, দুপুরে বাড়ির আঙ্গিনার পুকুর পাড়ে শিশুটি খেলা করতে থাকে। খেলা করার এক পর্যায়ে শিশুটির খেলনা পুকুর পাড়ে পড়ে যায়। পরে পুকুর পাড়ে খেলনা আনতে গিয়ে শিশু জান্নাত পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। কোথাও না পেয়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে পানির মধ্যে উপুড় হয়ে থাকা অর্ধেক ডুবন্ত অবস্থায় শিশু জান্নাতকে দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রতিবেশি মো. মানিক হোসেন বলেন, শিশুটি বাড়ির আঙ্গিনায় পুকুরপাড়ে বসে খেলতে গিয়ে পড়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি বাচ্চাটা মারা গেছে। পরিবারের ব্যস্ততার কারণে নজর না রাখায় শিশুটির এমন মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্ষাকাল আসছে, তাই যেসব পরিবারের ছোট ও সাঁতার না জানা শিশু আছে সেসব পরিবারের লোকজনকে আরো বেশি সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের উত্তাপে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই; বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অস্থির এ বাজার পরিস্থিতি চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই!

শুক্রবার (১০ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার এবং কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগরসহ বেশ কটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমের কারণ ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে পণ্যের। আর ক্রেতারা বলেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। রোজায় সেটি আর চড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরও সেই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসারে।

সাব্বির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, এ বছর রোজায় কারণ ছাড়াই পণ্যের দাম বেড়েছিল। এখন গরমের অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগে গেছে। অসহায় ক্রেতাদের এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ব্যবসায়ীরাও বুঝে গেছে, দাম বাড়ালেও পণ্য কিনবে সাধারণ মানুষ। তাই খেয়াল-খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে পণ্যের।’

বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম চড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। মূলত তীব্র গরমে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে।’

স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। গরমের উত্তাপ ছড়িয়েছে এখানেও। বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দামই চড়া। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মাছ বিক্রেতা আসলাম জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। আর গরমের কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে। এতে কমছে না মাছের দাম।’

বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে ইলিশের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০০ টাকা।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৮০-২০০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাংসও। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

আর প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর
বাজেট অধিবেশন বসছে বুধবার

মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন: বিএনপির ২১৭ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের ভোটে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ২১৭ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মোট চার ধাপের ভোটে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জন, তৃতীয় ধাপে ৫৫ জন ও চতুর্থ বা শেষ ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় ১৩ জনকে বহিষ্কার করে দলটি। রবিবার (২৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেবে না বিএনপি।

এদিকে মোট চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী গত ৮ মে ও ২১ মে প্রথম-দ্বিতীয় ধাপের উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই দুই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ১৩ জন চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ১৩৯ উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হয়।


আরও খবর