আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ছাত্রলীগ কমিটিতে স্থান না পেয়ে টাকা ফেরত চাইছেন পদবঞ্চিতরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

মাদকাসক্ত, নারী কেলেঙ্কারী, একাধিক মামলার আসামী, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কি নেই পদ প্রাপ্তদের মাঝে। ছাত্রত্ব নেই, বিবাহিত সহ বিএনপি রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এমন পরিবারের সন্তানদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, মাত্র কিছুদিন আগে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছে এমন ব্যক্তিকেও দেয়া হয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের গুরু দায়িত্ব। এছাড়া লোকমুখে বখাটে নামে পরিচিতি রয়েছে তিনিও পেয়েছেন ছাত্রলীগের ভাই হিসেবে তকমা।

১০ জুলাই রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ ঘোষিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন সব ব্যক্তিদের ছাত্রলীগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর এতে কিছু সময়ের মধ্যেই নিন্দার ঝড় ওঠে স্যোসাল মিডিয়ায়।

ঐতিহ্যবাহী সংগঠনকে নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে বলে ফেসবুকে পোষ্ট দেন একাধিক ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তবে কিছু সময় পরেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি স্থগিত আদেশ দেয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, একই রাতে কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক আশিক তালুকদার তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে টাকার বান্ডিলের ছবি পোষ্ট করে লিখেছেন, জেলা ছাত্রলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি টাকাগুলো যে নিছেন, দয়া করে ফেরত দেন, নাইলে গণভবনে যাবো, বাকি ডকুমেন্টস নিয়া। আর এই লেখা ও ছবি নিয়ে ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের কাছে টাকা ফেরত চাওয়ার একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে শোনা যায়, সাবেক ছাত্রলীগ সম্পাদক আশিক বলেন, টাকা তো অনেকের কাছ থেকে নিয়েছেন, দয়া করে ভাই আমার টাকাটা এখন ফেরত দেন। টাকা ফেরত চাইলে জেলা সভাপতি ধমক দিয়ে ফোন রেখে দিতে বলেন।

আশিক তালুকদার জানান, আমার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিকাশ মাধ্যম আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন কমিটির কথা বলে। এমনকি একাধিক পদপ্রত্যাশির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বাণিজ্য করছেন তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত কমিটি দিয়ে দল থেকে ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি গঠনেও চলছে লেনদেনের খেলা আর টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে বিএনপির কর্মীদের দেয়া হচ্ছে পদ-পদবী। সাংগঠনিক কোন দক্ষতা নেই এমন অনেক ব্যক্তিকে দলের দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত করে ভাই লীগে পরিণত করে শেষ করে দেয়া হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, ভাই টাকা নিয়ে কমিটমেন্ট করলে তাকে বঞ্চিত করবো কেন। এই কথা এখন পদ বঞ্চিতরা বলছে। মাদকাসক্ত এবং অছাত্রদের পদ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে জানান, জেলা থেকে তো সবাইকে চিনি না। তবে অনেকই তো সুপারিশ করেছে। এছাড়া তিনি বলেন সাংগঠনিক ভাবে কমিটি দেয়া হয়েছিল। আবার সাংগঠনিক ভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সেই কমিটি স্থগিত করেছে।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।

বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন দেশটির প্রতি।

এর আগে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ফুল মিয়া এবং সাঘাটা উপজেলায় মুক্তিনগর ইউনিয়নের শিপন নামের দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলার পৃথক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ফুলমিয়া অন্যদের সঙ্গে গড়দীঘি গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যায়। দুপুরে হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হয় ফুল মিয়া। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ফুল মিয়া গড়দীঘি গ্রামের জোবায়ের আলীর ছেলে।

অপরদিকে সাঘাটা উপজেলায় শিপন মিয়া বুধবার দুপুরের দিকে মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে হালিম মেম্বারের জমিতে শ্রমিক হিসেবে ধান কাটছিলেন। এরই মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে শিপন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শেফালী বেগম বলেন, বেলতৈল এলাকায় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।

সাঘাটা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি শ্রমিক শিপন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের জেরে দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ১১ বিজিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

বর্তমানে সেখানে মিয়ানমারের মোট ২৭৪ জন আশ্রয় রয়েছে। তিনি আরও জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। তার আগের দিন সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ সদস্য। তারও আগে ওখানে মিয়ানমারের ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেয় আরও ১৭৭ বিজিপি ও সেনা সদস্য। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর