আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

'ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা-সন্ত্রাস বের হয়' বলেই ভাইরাল চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ছাত্রলীগত্তুন জেন্ গুন্ডা অক্কল বেরয়, সন্ত্রাস-অক্কল বেরয়, গত্তে গত্তে গত্তে গত্তে ছাত্রলীগ ক্যান গরি গরন্ পরিবো ইয়ান আঁরা জানি (ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা বের হয়, সন্ত্রাস বের হয়, করতে করতে করতে করতে ছাত্রলীগ কিভাবে করতে হয় সেটা আমরা জানি) এসব মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ।

তিনি বলেন, হাজার হাজার সংগঠক আমি তৈরি করছি এখান থেকে। আমাকে শিখাতে হবেনা কিভাবে কি করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন সবুজ। ওই সংঘর্ষের সময় সুভাষ মল্লিক সবুজের সমর্থকরা কলেজের সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কয়েকজন ছাত্রীও গণমাধ্যমের কাছে তাদের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছেন।

কাউন্সিলর টিনুর ইন্ধনেই 'নরকপুরী' চট্টগ্রাম কলেজ পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাম্মৎ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাঙচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

কিছুদিন পরপরই পত্রিকার পাতায় চট্টগ্রাম কলেজকে ছাত্রলীগ দ্বন্দের বিষয়টা শিরোনাম হয়। তবে সেটি কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের কর্মকান্ডই দায়ী।

গত এক বছরেই কয়েকদফা সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম কলেজে বিবাদমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের গ্রুপটি হলো শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে চট্টগ্রাম কলেজে এসব সংঘর্ষের পিছনে যতনা ছাত্রলীগের কর্মীরা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী স্থানীয় কাউন্সিলর টিনুর প্রভাব বিস্তার করা। এমনটাই জানান কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা।

সাধারন শিক্ষার্থীরা জানায়, চট্টগ্রাম কলেজ ও চকবাজার কেন্দ্রীক সব ধরনের মারামারিতে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন থাকে বির্তকিত টিনুর। মারামারির সময় নিজের অনুসারীদের বহিরাগত ছেলে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়েও সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে টিনু গ্রুপের বিরুদ্ধে। এমনকি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে থানাতেও প্রভাব বিস্তার করেন টিনু। টিনুর প্ররোচনায় মারামারির পরবর্তী ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কেউ মামলা করতে গেলেও নেওয়া হয়না মামলা।

এমনকি টিনুকেও স্বশরীরে  চট্টগ্রাম কলেজে গিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের ইটপাটকেল ছোঁড়ার ছবিও দেখা যায় ইন্টারনেটে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কলেজে তুচ্ছ ঘচনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা।

এসময় সাধারন সম্পাদক সবুজ মুঠোফোনে টিনুকে ফোন করে ছেলে পাঠানোর অনুরোধ করেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন- ' যখন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লাগে, তখন আমরা কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি,তখন সবুজ দা আমার পাশে দাড়িয়ে কাকে যেন ফোন করে বলছেন ' বদ্দা ঝামেলা অইয়ে, তাড়াতাড়ি পোয়া পাঠন, জিনিস পাঠন' ( বড়ভাই, ঝামেলা হয়েছে,তাড়াতাড়ি ছেলে পাঠান, জিনিস পাঠান) উল্লেখ্য যে, টিনুকে সবাই বদ্দা বলেই সম্ভোধন করেন।

আর সবুজের ফোনের পরবর্তী সময়ে কলেজের হোষ্টেল গেইটের পশ্চিম গেইটে একটি কারে করে এসে সবুজের হাতে একটি সাদা ব্যাগ ও দিতে দেখা যায় বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

টিনুর সাথে দেখা করার পর মাহমুদের সমর্থকদের উপর চড়াও হতে দেখা যায় সবুজের অনুসারীদের। এসময় মাহমুদের ৬ কর্মীকেও বেধরক মারধরের অভিযোগ রয়েছে সবুজের বিরুদ্ধে। এমনকি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রীকেও মেরে আহত করার ঘটনা ঘটায় সবুজের অনুসারীরা।

কলেজ শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ২২ তারিখ থেকে আমাদের প্যাট্রিক্যাল পরীক্ষা, প্যাট্রিক্যাল ক্লাসের বিষয়ে কথা বলতেছি,তখন ওনা হাতে রড-টড নিয়ে এসে আমার ফ্রেন্ডকে মারা শুরু করে দিয়েছে। আমি ওদের পায়ে পড়ে বলতেছি মারিয়েন না মারিয়েন না, আমার ফ্রেন্ডকে মারিয়েন না। আমাদের কয়েকদিন পর পরীক্ষা,আমাদের মারিয়েন না, আমরা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবুও ওকে মারছে,সবুজের ছেলেরা।

তবে ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা বের হয়,সন্ত্রাসী বের হয় বলে মন্তব্য করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ।

এসময় তিনি কিভাবে ছাত্রলীগ করতে হয় সেটাও তার জানা আছে বলে মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন সবুজ।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমকে উদ্দেশ্যে করে সবুজ বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হেডাম থাকলে সামনা সামনি দাড়াতে বলবেন।

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি মাহমুদুল করিম যদি সামনা সামনি দাড়িয়ে ফাইট করতে পারে তবে আমি রাজনীতিতে জুতার মালা পড়ে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যাব। জুতার মালা পড়েই যাবো।

সবুজের এমন আক্রমান্তক কথাবার্তায় যে ফের কলেজটিতে সংঘর্ষ হতে চলেছে তার  আভাস অনেকটাই বুঝা যাচ্ছে দুই গ্রুপের কর্মীদের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসেও।

কলেজটির ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে  স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। এতে সরাসরি লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়।

নিজেদের গ্রুপে কর্মী সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষ থেকে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাঃ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাংচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

তবে এই ঘটনায় এখনো থানায় কোন পক্ষই মামলা করেনি বলে জানা যায়।


আরও খবর



বাজার অস্থিতিশীল করতেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। দেশে যাতে জনগণের ভোগান্তি হয় এবং পণ্যের মূল্য বাড়ে এটাই চায় তারা।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের নেত্রী যেগুলো মাঠে গলা ফাটায়, তারাও আবার ভারতীয় শাড়ি পড়বেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন-এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনোকিছু নয়।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরণের ভূমিকা রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি ছিনতাই হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না; যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতোমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।


আরও খবর



চবির ভিসি পদে যোগদান করলেন অধ্যাপক আবু তাহের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবু তাহের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ভিসি দপ্তরে যোগদান করেন তিনি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, চবির সদ্য বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও দুই প্রো-ভিসি উপস্থিত ছিলেন।

যোগদান শেষে চবি নবনিযুক্ত ভিসি, প্রো-ভিসিদ্বয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে চবি ভিসি দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা সভা।

সংবর্ধনা সভা শেষে চবি নবনিযুক্ত ভিসি সকলকে সাথে নিয়ে চবি স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যূরাল, শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ ও চবি স্মরণ চত্বরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

মতবিনিময় সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন চবির নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, দুই প্রো-ভিসি, চবি সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, চবি সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।

এসময় ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান সৃজন ও জ্ঞান বিতরণের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে সকলকে সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ৪৬ বছর আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ছাত্র হিসেবে এসেছি; আজ ভিসির দ্বায়িত্ব নিয়েছি। রাষ্ট্র আমাকে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যালামনাই হিসেবে আমি তা যথাযথভাবে পালন করে যাব।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ৯৫ রানে থামিয়ে বিশাল জয় অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়ার নারীরা। সেখান থেকে আনাবেল সাদারল্যান্ড ও অ্যালান কিংয়ের সৌজন্যে ২১৩ রান তোলে অজিরা। জবাব দিতে নেমে টাইগ্রেসরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে তো পারেইনি, একশ রানেও পৌঁছাতে পারেনি। ৯৫ রানে অলআউট হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে ১১৮ রানে।

২১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারালেও মন্দ করেননি টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা। ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর সোবহানা মোস্তারি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ৭০ রান পর্যন্ত। সেখান থেকেই শুরু হয় মড়ক।

৭০ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফেরেন মোস্তারি। বাকি ২৫ রান তুলতেই আউট হন শেষের ৭ ব্যাটার। অর্থাৎ ২৮ রানের মধ্যেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন অধিনায়ক জ্যোতি। তবে দৃষ্টিকটূভাবে রানআউট হয়ে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। জ্যোতি ছাড়া দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল মোস্তারি ও মুর্শিদা খাতুন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন অ্যাশলে গার্ডনার। ১ উইকেট পাওয়া মেগান স্কুট ৬ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। এছাড়া ১০ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন ব্যাটে ঝড় তোলা আলানা কিং।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে চেপেই ধরেছিল বাংলাদেশ। ৭৮ রানের মধ্যেই তুলে নিয়েছিল ৫ উইকেট। তবে এরপরই খেই হারায়। পাঁচে নামা গার্ডনার করেন ৩২ রান। তবে আসল কাজটি করেন ছয়ে নামা সাদারল্যান্ড ও নয়ে নামা আলানা কিং। ৭৬ বলে অপরাজিত ৫৮ রান করে অজিদের শক্ত ভিত্তি দেন সাদারল্যান্ড। আর কিং খেলেছেন ৩১ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ২টি চারের সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৫টি। অস্ট্রেলিয়ার নারী কোনো ক্রিকেটারের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মার এটি।

১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে এদিন ২ উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। ওয়ানডেতে বর্তমানে তার উইকেট সংখ্যা ৫৩। বাংলাদেশের মধ্যে এই সংস্করণে সালমা খাতুনকে (৫২) ছাড়িয়ে এখন তিনিই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। নাহিদার গৌরবময় দিনে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন ফাহিমা খাতুন। ওয়ানডেতে এক ইনিংসে বাংলাদেশিদের হয়ে সর্বোচ্চ রান (৬৭) দিলেন তিনি। ছাড়িয়ে গেছেন রুমানা আহমেদকে (৬২)।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সাতশত শিক্ষার্থীর মাঝে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেক বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা পরিষদের আয়োজনে প্রায় ৭ শত শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সিএন্ডবি মনিবাজার চত্বরের শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়।

রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। রাজশাহী বেতারের উপস্থাপক আব্দুর রোকন মাসুমের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা ও সাজেদা বেগম, সদস্য আব্দুর রশিদ, মাইনুল ইসলাম, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর প্রাং, আসাদুজ্জামান মাসুদ, জনাব আলী ও মহিদুল ইসলাম।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকগণ, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা  উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কৃতি শিক্ষার্থীদের এসএসসি পর্যায়ে ৪ হাজার ও এইচএসসি পর্যায়ে ৫ হাজার টাকার চেক হাতে তুলে দেয়া হয়।


আরও খবর



৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহবান জানান।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না, এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে 'সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না'-এই ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন। এ কথাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা দেখেছি বাঙালিকে বারবার দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু বাঙালি সব ষড়যন্ত্র থেকে ঠিকই বেরিয়ে আসে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনা শুধুমাত্র অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এই পাঁচ মৌলিক চাহিদা পূরণ নয়, স্বাধীনতার চেতনা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এবং কেউ দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে মাথা নত না করা। সেটি হলো স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এবং সেই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করছেন তাই নয়, তার কারণে আজকের বাস্তবতায় বাংলাদেশে আমরা অনেক কিছু দেখছি। আজ থেকে বিশ বছর আগে বাংলাদেশ এরকম ছিল না। এখন তোমারদের বড় স্বপ্ন দেখার সাহস বেড়ে গেছে। তোমরা এখন অনেক বড় বড় চিন্তা করো এবং সামনের দিনে তোমরা আরও এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।

এ সময় তিনি আরো যোগ করেন, এ দেশে আজ থেকে বিশ বছর আগে মেট্রোরেল ছিল না, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট ছিল না। এ দেশে আজ থেকে দশ বছর আগেও পুরো বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত ছিল না, আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগেও এ দেশে নদীর তলদেশে টানেল ছিল না। আজ বাংলাদেশ স্যাটেলাইট নিয়ে আন্তরীক্ষে পৌঁছে গেছে, সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে গেছে সাবমেরিন নিয়ে, নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিশাল একটি সেতু আমরা বানিয়েছি। পৃথিবীর খুব কম দেশেই একইসাথে এসব কিছু আছে। এটা থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে কত অল্পসংখ্যক দেশের মর্যাদায় নিয়ে গেছে। পৃথিবীর বুকে আমাদের মর্যাদা বদলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম প্রমুখ।


আরও খবর