আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে আলোচনায় উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী। তার এই দ্বিতীয় বিয়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বিয়ের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন মেহেদী।

উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মিনা (২২)। তিনি মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তাহমিনা আক্তার মিনা খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।

কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে।

তাহমিনা ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তাহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কোয়ার্টারের আশপাশে বসবাসরত লোকজন জানান, কয়েক মাস ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারের ভেতরে এক তরুণীকে দেখা যাচ্ছে।

বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ মেহেদী বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন তাহমিনা। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে লাবনী নামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবার বিয়ে করেছেন এমন খবর আমার জানা নেই।


আরও খবর



বিএনপি নির্বাচন বানচালে সফল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণকে নিয়ে তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিদেশি প্রভুদের তোষণ, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং নির্বাচন বানচালের সংবিধানবিরোধী অপরাজনীতি ছেড়ে শুদ্ধ রাজনীতি চর্চায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করুন।

এসময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দাম নির্ধারণ করলেও বাস্তবায়নের পূর্ণ ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে থাকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সে  ক্ষমতাবলে সম্প্রতি মাছ-মাংস, খেজুর, বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের এ সংস্থা। যদিও কেউ তা না মানলে কোনো ধরনের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, তদারকির মাধ্যমে তারা কেবল অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তখন দ্বারস্থ হতে হয় প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের। সংস্থাটি থেকে তাই বিভিন্ন সময় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হতে দেখা যায় না।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বাজার তদারকির ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান সমন্বয় নেই। যদিও মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করার কথা ছিল। কিন্তু তা আমরা দেখছি না। সমন্বয় না থাকলে কোনো কাজেই ফল আসে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এতে কাউকে জরিমানা করলে তার ফলোআপ কেউ করছে না। আইনের প্রয়োগও যথাযথ হচ্ছে না। কারণ আইনে বলা হয়েছে, একই ব্যক্তি একাধিকবার অপরাধ করলে তার শাস্তিও বেশি হবে। সমন্বয়হীনতা এখন বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত শুক্রবার ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ, উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা দাম কত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। যদিও নির্ধারিত এ দামে বাজারে পণ্য পাচ্ছেন না ক্রেতারা। অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই বড় ধরনের অসামঞ্জস্য। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১৪৬ টাকা। সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দাম বেঁধে দেয়া হয়। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা, ছাগল বা খাসি ১০০০-১১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১০ টাকা ধরা হলেও বিক্রেতারা রাখছেন সাড়ে ১১ টাকা করে।

পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা যে আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি বাজারে তার ব্যত্যয় ঘটলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। কেননা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর শাস্তি দিতে পারে না। আমরা শুধু অভিযোগ দিতে পারি। তার প্রমাণাদির ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট শাস্তি দেন। মোবাইল কোর্টে মামলা করার যে পদ্ধতি তার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে অভিযোগ দেয়া হয় এবং তারপর দুই পক্ষের কথা শুনে বিচার করা হয়।

কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪ (ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, সংস্থাটি কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ আইন বাস্তবায়নে বাধা দূর করতে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও আইন অনুযায়ী কাউকে শাস্তি দিতে হলে প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাই থাকুক, কোনো প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করতে পারবেন।

নিজেদের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা জনবল সংকট। সারা দেশে সব মিলিয়ে ৫০০-এর মতো জনবল রয়েছে। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারেন প্রতি জেলায় এমন আছেন কেবল দুই-তিনজন করে। আইনি সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। তাই আমাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা নেই। আমরা এর আগে এ বিষয়ে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু জনবল কাঠামো অনুসারে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন হাতে গোনা কয়েকজন।

দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মীরা নির্ধারিত ফর্মুলা অনুযায়ী এ তথ্য সংগ্রহ করেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি সংস্থারও সহায়তা নেয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আগে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে মোটিভেশনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সদ্যই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কারণ মাত্রই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়েও ওই দাম কার্যকর করতে পারেনি। রোজার আগে ভোজ্যতেল, চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজার, পরিশোধন কিংবা মোড়কজাতকারী মিলগুলোয় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকারসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি কিংবা মজুদ বেশি রাখায় জরিমানাও করা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এলে বাজারে এর প্রভাব কমে আসে। রোজা শুরুর পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার সঙ্গে জোগানের অসামঞ্জস্য, উৎসমুখ থেকে বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তাদের দাবি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিসহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। মোকাম থেকে বাড়তি মূল্যে কেনার কারণে চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পণ্যের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি, উৎপাদন খরচ কিংবা চাহিদা অনুপাতে জোগানের ওপর দাম নির্ভর করে। সবকিছু বাড়তি মূল্যের এ সময়ে সরকারিভাবে যে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে সেখানে অপ্রকাশিত খরচগুলো যুক্ত করা হয় না। ফলে বিভিন্ন সময়ে দাম নির্ধারণ সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। 

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলে। এটা ঠিক, কিছু কিছু ব্যবসায়ী খুচরা পর্যায়ে বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। কিন্তু একটা দেশে সার্বিকভাবে যদি পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে বুঝতে হবে উৎপাদন, আমদানি কিংবা সরবরাহ চ্যানেলে কোনো সংকট রয়েছে। প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও অনেকগুলো পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি, ডলার ও এলসি সংকটে আমদানি প্রক্রিয়ায় সংকটের কারণে বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতাকে নিম্নমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বাজারে নির্ধারিত দামে পণ্য পাওয়া যায় না বলে মনে করেন সাবেক খাদ্য সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করে দেয়া অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এসব বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। ফলে এসব উদ্যোগ ভালো হলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায় না। আগে তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে বড় বড় উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হবে না।

সরকারের ১১টি সংস্থা মূলত পণ্যের বাজার মনিটরিং করে। সেগুলো হলো ভোক্তা অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), সিটি করপোরেশন, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে কিংবা রোজার সময় সংস্থাগুলো যে যার মতো উদ্যোগ নেয়। তবে বিচ্ছিন্ন এ কাজে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, তার বাস্তবায়নও কিন্তু তাদের ওপরই বর্তায়। এখন এ মূল্য বাস্তবায়নে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা চাইছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

বাজার তদারকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুবই নগণ্য একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাজের অনেক ব্যাপকতা রয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচুর কার্যক্রম রয়েছে। এর বাইরে ভোক্তার বহু অভিযোগ থাকে, তার বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালনা করি। এছাড়া বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল পণ্য এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। সঙ্গে নিয়মিত বাজার তদারকিও চলছে।


আরও খবর



ঘটনাবহুল ম্যাচ: সংঘর্ষ, কনকাশন, বদলি, হাসপাতালে যারা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ঘটনাবহুল পরিস্থিতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চোট ও কনকাশনের ঘটনা ঘটেছে, দুই খেলোয়াড়ের সংঘর্ষে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে একজনকে, হাসপাতালে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে, সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে বদলে গেছে মাঠ আম্পায়ারও।

ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৭ বলে ৮ রানে এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন।

সৌম্যের কনকাশন বদলি তামিম

ম্যাচের ৪৯তম ওভারের শেষ বল। শরিফুল ইসলামের বলে জানিথ লিয়ানেগের শটে বল ডিপ মিডউইকেট দিয়ে যাচ্ছিল বাউন্ডারির দিকে। ফিল্ডিংয়ে সেই দিকে ছিলেন সৌম্য সরকার। অনেকটা দৌড়ে এসে চার ঠেকানোর চেষ্টায় বাউন্ডারির বাইরে বাজেভাবে পড়ে যান টাইগার ওপেনার।

প্রথমে বাঁ-হাঁটুতে ব্যথা পান এবং বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডে ধাক্কা লেগে আঘাত পান ঘাড়ে। তার পরিবর্তে কনকাশন সাব হিসেবে ওপেন করতে নামেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। নেমেই ফিফটি তুলে নেন তামিম। বদলি তামিমকে দেখে বিস্মিত হয় লঙ্কান দল।

বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম বলেছেন, সৌম্য একটি বাউন্ডারি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সেসময় বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আঘাত পান। মাথায় চোট পাওয়ার কারণে ব্যথা এবং ঘাড়ে অস্বস্তি অনুভব করছেন।

হঠাৎ মাঠ আম্পায়ার পরিবর্তন

আরেকটি ঘটনা বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে লঙ্কানদের মধ্যে। প্রথম ইনিংসে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবরো। কুশল মেন্ডিসদের ব্যাটিং শেষ হওয়ার পর হঠাৎ আম্পায়ার বদলে যায়। কেটেলবরোর পরিবর্তে মাঠে আসেন বাংলাদেশের তানভীর আহমেদ।

যখন এনামুল হক বিজয়ের সাথে তানজিদকে নামতে দেখে অবাক হন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা, ফিল্ড আম্পায়ারদের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে গিয়ে আরও অবাক হন। দেখেন কেটলবরোর পরিবর্তে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতের সঙ্গে মাঠে দায়িত্ব পালনের জন্য আসছেন তানভীর।

মাঠে তানভীরকে দেখে বিস্মিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে লঙ্কানদের। ম্যাচে তানভীর ছিলেন চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে। কিন্তু তীব্র গরম ও তাপে প্রথম ইনিংস শেষ করার পর মাঠ ছাড়ার ইচ্ছাপোষণ করেন কেটেলবরো এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠের দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

বিজয়-অনিক সংঘর্ষ

সৌম্য সরকারের চোটের কয়েক মিনিট পর আরেকটি ঘটনা ঘটে। এবার সংঘর্ষে জড়িয়ে যান এনামুল হক বিজয় ও মাত্র ওয়ানডেতে ডাক পাওয়া বদলি খেলোয়াড় জাকের আলী অনিক।

৪৯.৫তম ওভারে তাসকিন আহমেদের করা পঞ্চম বলে প্রমোদ মাদুশানের ক্যাচ নিতে যান অনিক ও বিজয়। কেউ কারও সংকেত পাত্তা না দেয়ায় বিজয়ের কাঁধের সাথে আঘাত লাগে অনিকের মাথায়। দীর্ঘসময় মাঠে শুয়ে থাকার পর স্ট্রেচারে বাইরে নিতে হয় তাকে। পরে তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়।

স্ট্রেচারে মোস্তাফিজও

স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার ঘটনা দেখতে হয় আরও একটি। ৪৭.১ ওভারে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ের সময় মাসল-ক্রাম্প হওয়ার কারণে নিজের শেষ ওভারে একটি ওয়াইড বল করে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে ওভারটি শেষ করেন সৌম্য সরকার।

আঙুলে চোট মুশফিকের

এসবেরও আগে আরেকটি চোটের ঘটনা দেখে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আঙুলে চোট পান উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এনামুল হক বিজয়ও তার আগে পায়ে আঘাত পান। যদিও দুজনে খেলা চালিয়ে গেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মস্কোয় হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে মেদভেদেভ এই হুঙ্কার দেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা শুধুমাত্র সন্ত্রাসের ভাষা বোঝে। যদি বলপ্রয়োগ করা না যায়, যদি সন্ত্রাসীদের হত্যা এবং তাদের পরিবার-স্বজনদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়— তাহলে কোনও তদন্ত বা বিচার কাজে আসবে না। আমাদের সামনে আর কোনও উপায় নেই।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলা চালায় বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪৭ জন। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

ওই ভবনটির অডিটোরিয়ামে পিকনিক নামের একটি রুশ ব্যান্ডের কনসার্ট ছিল। কনসার্ট হলটির ধারণক্ষমতা সাড়ে ৭ হাজার এবং সন্ত্রাসীরা যখন আক্রমণ শুরু করে তখন হলটি প্রায় পরিপূর্ণ ছিল। কনসার্ট শুরুর আগে দর্শনার্থীরা যখন আসন গ্রহণ করছেন, সে সময়ই ঘটে অতর্কিত বন্দুক হামলা। হামলার পর ভবনটিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

২০০৯ সালে চালু হওয়া একটি বিনোদন কেন্দ্রের একটা অংশ এই কনসার্ট হলটি। পুরো কমপ্লেক্সে একটি শপিং মল ও একটি হোটেলও রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পাঁচজন বন্দুকধারী হামলাতে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য সামরিক অস্ত্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

হামলাকারীরা ওই হলের নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা ভেতর থেকে হলটি বন্ধ করে রাখে।

কনসার্ট হলের একেবারে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা চেয়ারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ওই আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কোতে আইএস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছে এবং ঘটনাস্থলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়মিত এ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে।


আরও খবর



জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ব্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড রাজ্যের বাল্টিমোর শহরের ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সময় দিবাগত সোমবার (২৬ মার্চ) রাত দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে।

এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অন্তত সাত ব্যক্তি ও অনেকগুলো গাড়ি পাতাপস্কো নদীতে পড়ে গেছে। তাই বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাত দেড়টার দিকে জাহাজটি সেতুতে ধাক্কা খায়। এতে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে আগুন ধরে যায়। এর ফলে একাধিক গাড়ি নিচে পানিতে পড়ে যায়।

ম্যারিল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি সমাজমাধ্যম এক্সের একটি পোস্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আই-৬৯৫ কি ব্রিজের ঘটনার জন্য সব লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাল্টিমোরের মেয়র জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

বাল্টিমোর ফায়ার ডিপার্টমেন্টের যোগাযোগ পরিচালক কেভিন কার্টরাইট রাত ৩টার দিকে বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, জরুরি বিভাগের কর্মীরা পানিতে পড়ে যাওয়া অন্তত সাতজনকে খুঁজছেন। রাত দেড়টার দিকে ৯১১ নম্বরে কল আসে। তারা খবর পায় বাল্টিমোর থেকে বহির্গামী একটি জাহাজ ব্রিজের ওপর একটি কলামে ধাক্কা খেয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় ব্রিজের ওপর একাধিক যানবাহন ছিল।

কার্টরাইট আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভুক্তোভোগীদেরকে উদ্ধার করা। কতজন লোক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে এই ঘটনাকে তিনি ক্রমবর্ধমান গণ হতাহতের ঘটন বলে অভিহিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বাল্টিমোর ব্রিজ

আরও খবর