আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ছোট ভাই‌য়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাদকাসক্ত ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে নুর হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার থাইংখালীর বাদশার মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুর হোসেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী ঘোনারপাড়ার ফরিদুল আলমের ছেলে।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, মাদকাসক্ত ছৈয়দ হোছন (১৭) মোবাইল ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সবর্শেষ স্থানীয় এক যুবকের গলায় ছুরি ধরে মোবাইল ছিনতাই করে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে থাপ্পড় মারে তার বড় ভাই নুর হোসেন। ছিনতাই ও মাদক সেবন নিয়ে ভাইদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। মোবাইল ছিনতাই নিয়ে ছোট ভাইকে শাসন করলে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাইকে ছুরিকাঘাত করে ছোট ভাই। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যায় অভিযুক্ত ছোট ভাই  ছৈয়দ হোছনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



এক বছরে চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ। তবে দেশের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষকই এখন সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬.৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি। এরই মধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারেন না। এমনকি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে কৃষক নিজে যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে তিনি তা-ই বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩-এ বলা হয়েছে, পেশাগত জায়গায় শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারের মধ্যে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কৃষক পরিবার নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকটে রয়েছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্য পেশাগুলোর ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর চেয়ে অনেক কম। যারা শিল্প খাতে কাজ করেন তাদের খাবারের বিপদ সব পেশার মধ্যে সবচেয়ে কম।

শিল্পের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ১৬.৬৪ শতাংশ। সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে তা ২০.২৮ শতাংশ, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারের ২০.০৩ শতাংশ, অন্য পেশার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৯২ শতাংশ। আর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ০.৮৩ শতাংশ।

বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের ডিসেম্বরের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কৃষিকাজ ছেড়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন হতাশার কারণে তারা এ পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, আয়ের বৈষম্য, যান্ত্রিকীকরণের কারণে কাজের ক্ষেত্র কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে কৃষি পেশা ছাড়ছে মানুষ। অনেক কৃষকই এখন নিজের দেশে চাষ করার বদলে বিদেশে গিয়ে অন্যের জন্য ফসল ফলাচ্ছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই যাচ্ছেন কৃষিকাজে।

শ্রমশক্তি জরিপ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, কৃষি পেশায় যুক্ত কর্মী তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষেও সংখ্যাটি ছিল তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার।

কৃষকদের নিজের পেশা ছেড়ে দেওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে। বিবিএস এখন জিডিপির হিসাব প্রতি প্রান্তিকেই দিয়ে থাকে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের জিডিপি দাঁড়ায় ৬.০৭ শতাংশ। এ প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি এতটা কমেছে যে দেশের খাদ্য উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮৪ শতাংশ। অথচ এর আগের অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.০৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষির প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে। ফলে খাদ্যপণ্যের আমদানিনির্ভরতা আরো বাড়ছে।

কৃষকদের এত বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকরা বিশেষ করে এখন যে উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য এসেছে সেগুলো উৎপাদন করে বিক্রি করে ফেলেন। তারা নিজের খাবারের জন্য যা রাখেন সেগুলো খুবই সামান্য, অপুষ্টিকর। কাজেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তাদেরই বেশি হবে। যেমনতারা দুধ বিক্রি করে ফেলেন, নিজের জন্য রাখেন না। দুধ পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্য রাখেন না। তারা দুধ বিক্রি করে খাদ্য, কাপড়সহ অন্য কিছু কেনেন।

খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় কম। সে হিসাবে তারা মাছ-মাংস কিনে খেতে পারেন না। তারা যেসব শাক-সবজি খান সেগুলোও একেবারেই নিম্নমানের, সব বিক্রি করার পর যা থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পুষ্টি নিয়ে তাদের শিক্ষা বা সচেতনতা কম। সে জন্যও তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি।

দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে রয়েছে তা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ নিজে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নষ্ট হওয়া ও অপচয় কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।


আরও খবর



পাথরঘাটায় দুইটি হরিণের চামড়াসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় দুইটি হরিণের চামড়াসহ তিনজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। এঘটনায় চক্রের মূল হোতা আবু বকর পালাতক আছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণের চামড়াসহ দক্ষিন চরদুয়ানী এলাকার জাহাঙ্গীর আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (২৬), দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে মহিবুল্লাহ হাওলাদার (১৯), মঠেরখাল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার(২৬) কে আটক করা হয়।

জানা যায়, এএসআই ওয়াসিম এর নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণের চামড়াসহ চোরাকারবারি চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরদুয়ানি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে হরিণের চামড়া সহ তিনজনকে আটক করা হয়। চক্রের মূল হোতা আবু বকর পালাতক রয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের চামড়া পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার চলমান।


আরও খবর



ব্যাংকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার জন্য ব্যাংকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রুপালী ব্যাংক পল্লবী শাখায় হাইকোর্টের নির্দেশে এই অর্থ জমা দেয়া হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এর লিখিত রায় প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে আপিল বিভাগে না গিয়ে ব্যাংকে অর্থ জমা দিয়ে দিলেন তিনি।

গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। ওই আবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিজেক্ট করার পরে তারা আয় করের টাকা মওকুফ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে-ই প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকার মতো ছিল।

তিনি আরও বলেন, অ্যাকাউন্টে অর্থ রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই অর্থ চেয়ে নোটিশ করার পরে কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এনিয়ে রুলও জারি করেন আদালত। এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আসে। আজ সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এর পর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে।


আরও খবর



আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক ও কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন। রবিবার (০৩ মার্চ) তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেন। দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। আদালতের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আক্কাস আলী।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণের জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টায় শ্রম আপিল আদালতে হাজির হবেন। কারণ সেদিন তাদের এক মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করেছে। সেই মামলার চার্জশিট ইতোমধ্যে দাখিল করেছে তারা। একই দিনে সেই মামালার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেইদিন আদালতে হাজির হবেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


আরও খবর



রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার হবে প্রথম রমজান। আজ সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি জানান, আজ রাতে প্রথম তারাবির নামাজ এবং সেহরি হবে। আগামীকাল প্রথম রমজান।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভায় বসে চাঁদ দেখা কমিটি।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ইসলামির ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে সোমবার (১১ মার্চ) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ সোমবার দেশের কিছু কিছু এলাকায় রোজা পালন করছে মুসলিমরা।


আরও খবর