আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

চিচেন ইতজা: হারিয়ে যাওয়া মায়ান শহর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেক্সিকোর ইয়ুকাতান পেনিনসুলাতে অবস্থিত মায়ান শহর চিচেন ইতজা। মেক্সিকোর গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন হলেও সক্রিয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবেও এর গুরুত্ব কম নয়। চিচেন ইতজা থেকে এখনও মায়ান সংস্কৃতি এবং সভ্যতা সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্যের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। মায়া সভ্যতা নিয়ে আগের লেখায় চিচেন ইতজার উল্লেখ থাকলেও এবার বিস্তারিত ভাবে জানবো চিচেন ইতজা সম্পর্কে।

কোথায় অবস্থিত চিচেন ইতজা?                                      

মেক্সিকোর ইউকাতান পেনিনসুলার রিসোর্ট শহর ক্যানকুন  থেকে ১২০ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল চিচেন ইতজা। চিচেন ইতজা নামটির উৎপত্তি ঘটেছে মায়ান ভাষার পরিভাষা থেকে যার অর্থ ইতজাদের কুয়া মুখে। ইতজারা ছিল মায়ানদের এক আদিবাসী গোষ্ঠী যারা ছিল ইউকাতান পেনিনসুলার উত্তর অংশে, যেখানে শহরটি অবস্থিত ছিল, সেখানের শক্তিশালী এক জনগোষ্ঠী। শহরটির নামের মধ্যে যে কুয়ার কথা উল্লেখ আছে তা নির্দেশ করে ভূগর্ভস্থ কিছু নদীকে যেগুলো পুরো এলাকা জুড়ে প্রবাহিত হত এবং এই নদীগুলোই ছিল শহরের মূল পানির উৎস। এই পানির উৎসই চিচেন ইতজা শহরের অবস্থানকে যথাযথ করে তুলেছিল। চিচেন ইতজার প্রাচীন ইতিহাস এখনও স্পষ্ট না, তবে, এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, ক্লাসিক পিরিয়ডের সময় ( ২৫০ খ্রিস্টাব্দ- ৯০০ খ্রিস্টাব্দ) এই শহর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিওতিহুয়াকানের পতনের পর সেখানকার জনগণ মেসোআমেরিকাতে এসে বসতি স্থাপন করে বলে ধারণা করা হয়, এবং তখনই তারা মায়ান গোষ্ঠী ইতজাদের সংস্পর্শে আসে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই শহর গঠিত হয় যখন টোলটেক সভ্যতা দ্বারা ইতজা গোষ্ঠী প্রভাবিত হয়।

চিচেন ইতজা ইসলা ক্যারিটোস বন্দর যুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল এবং এর প্রমাণ মেলে মধ্য আমেরিকায় অন্যান্য এলাকার পণ্যের সন্ধান পাওয়ার মাধ্যমে- উত্তরের টারকুইস, দক্ষিণ থেকে সোনার ডিস্ক এবং তেহুয়ান্তেপেক এর ইস্থমাস থেকে কাঁচের গোলক সদৃশ আগ্নেয়শিলা। চিচেন ইতজাতে কোকো চাষ হত এবং সম্ভবত উত্তর দিকের উপকূলবর্তী এলাকার লবণ তৈরির কেন্দ্রগুলোও এখান থেকে পরিচালিত হত।

কখন গড়ে উঠেছিল চিচেন ইতজা?

চিচেন ইতজার ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করছে, তাদের মধ্যে চিচেন ইতজা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং কিভাবে ধাপে ধাপে এই শহরের উন্নয়ন ঘটেছিল তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারো মতে, চিচেন ইতজা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। কিছু গবেষণা বলে, চিচেন ইতজার প্রতিষ্ঠাকাল ৪০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে আর কিছু গবেষণা বলে এই শহরের সূচনা ঘটেছিল ৫ম শতাব্দীর মাঝখানে। আর যে বিষয়টি নিয়ে গবেষকদের মধ্যে খুব কম বিতর্ক হয় সেটা হল মায়ান সভ্যতার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য চিচেন ইতজার গুরুত্ব। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে চিচেন ইতজা উন্নীত হয় ৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এবং সেই সময়ের মধ্যেই চিচেন ইতজা হয়ে ওঠে মায়ান বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর শহর। এই শহরের বিস্তার ছিল প্রায় দুই বর্গমাইল পর্যন্ত। শহরটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাড়িঘরে পরিপূর্ণ ছিল এবং পাথরের তৈরি বিভিন্ন স্থাপনা ছিল। চিচেন ইতজা শহর থেকে কিছু দূরে এই শহরের নিজস্ব গ্রাম ছিল যেখানে অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট বসতির অস্তিত্ব ছিল। চিচেন ইতজা শহরকে দুই অংশে ভাগ করা যায় এবং এই দুই অংশের উন্নয়ন ঘটে দুই সময়কালে। প্রথমাংশের অস্তিত্ব মেলে দক্ষিণ দিকে, যেখানে নেটিভ মায়াদের বসতি ছিল। এই বসতি স্থাপিত হয়েছিল এপিক্লাসিক সময়কালে (৮০০-১০০০ খ্রিস্টাব্দ)। মায়াদের এই বসতিতে যে সকল বাড়িঘর ছিল সেখানে পাক স্থাপত্যশৈলী এবং মায়ান হায়ারোগ্লিফ এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শহরটির নকশা অন্য অংশগুলোর থেকে উত্তর-দক্ষিণ অক্ষে বেশি বিস্তৃত ছিল যা সম্ভবত পানির উৎস জোটোলক সিনোটকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল।      

শহরের দ্বিতীয় অংশের স্থাপনাকাল ধরা হয়েছে এপিক্লাসিক সময়ের পরে অর্থাৎ ১০০০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ। শহরের এই অংশকে ঘিরে মেসো-আমেরিকান প্রত্নতত্ত্বে রহস্য এবং বিতর্কের অন্ত নেই। ফ্লোরেসেন্ট স্টাইলে নির্মিত এই শহর টলটেক সভ্যতার চিহ্ন বহন করে। গবেষকদের মতে, হয় টলটেক গোষ্ঠী চিচেন ইতজা দখল করেছিল, নয়তো ইতজারা তাদের সাম্রাজ্য রাজধানী টুলা থেকে আরও ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল, অথবা দুই জাতির মধ্যে কোন ধরণের সমঝোতা হয়েছিল। শহরের দুই অংশের মধ্যে স্থাপত্যশৈলী এবং ভাস্কর্য শিল্পে মিল পাওয়া যায় যার মধ্যে রয়েছে ওয়ারিয়র স্তম্ভ, কুয়েতজাল সদৃশ পাখা যুক্ত র‍্যাটেল স্নেক, ভাস্কর্যের পোশাক, চাক্মুল (হেলান দেয়া ব্যক্তির আকারের বলির কাষ্ঠ), আটলান্টাইডস (দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষের আকৃতির স্তম্ভ), নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রাণীর আদলে নির্মিত স্তম্ভ, একটি যোম্পান্তিল (বলি দেয়া মানুষের খুলি রাখার তাক), ট্লালক (বৃষ্টি দেবতা) এর পূজা দেয়ার ধূপদানি, এবং গ্লিফে উল্লিখিত কিছু ব্যক্তিগত নাম যেগুলো দুই শহরেই খুঁজে পাওয়া গেছে কিন্তু যার কোনটিই মায়া সভ্যতার অংশ নয়।

চিচেন ইতজার পবিত্র কুয়া

চিচেন ইতজা শহরের উত্তর প্রান্তে বড় সিনোট (পবিত্র কুয়া) অবস্থিত আছে যা মায়ানদের আনুষ্ঠানিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রে অপরিমেয় তাৎপর্য বহন করে। বহুল প্রচলিত আছে যে, সিনোটে নরবলি দেয়া হত। ১৯০০ সালের প্রথম দিকে সিনোটে ড্রেজিং করা হয় এবং ড্রেজিং করার পর সিনোট থেকে অসংখ্য মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া যায় যেগুলো ছিল সোনা, টারকুইস এবং মূল্যবান পাথরের তৈরি। সেই কুয়াতে একই সাথে মানুষের দেহাবশেষও পাওয়া যায় যা সেই সময় নরবলি প্রথার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। গবেষকেরা প্রাপ্ত দেহাবশেষে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে যা নির্দেশ করে যে, বলির শিকার মানুষগুলোকে কুপে ফেলে দেয়ার পূর্বে মেরে ফেলা হয়েছিল।

রাজধানী রূপে চিচেন ইতজা     

৯ম শতকের মধ্যে চিচেন ইতজা হয়ে ওঠে দে ফ্যাক্টো আঞ্চলিক রাজধানী এবং এর শাসক উত্তর এবং মধ্য ইউকাতান পেনিনসুলার বেশিরভাগ অংশ পরিচালনা করতো। উত্তর উপকূলের ইসলা ক্যারিটোস বন্দরের কারণে পুরো আমেরিকায় সোনা, মূল্যবান দ্রব্যাদিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য চিচেন ইতজা হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ধারণা করা হয়, ৫০,০০০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করতো এই শহরে। তবে শহরের জনসংখ্যায় পার্থক্য হতে পারে কারণ ইউকাতান এর বাইরে থেকেও মানুষ চিচেন ইতজাতে আসতো বাস করার উদ্দেশ্যে।  

চিচেন ইতজার পতন

১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলোম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের ঘটনার মধ্য দিয়ে মায়া সভ্যতার পতন হলেও গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে চিচেন ইতজা তার জৌলুস হারায় তারও অনেক আগে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, চিচেন ইতজার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ  মায়াপান শহরে স্থানান্তরিত হয়। মায়াপান ছিল একটি নতুন শহর যা ১২০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে চিচেন ইতজার দক্ষিণ এবং পশ্চিমে নির্মাণ করা হয়। কিছু প্রমাণ নির্দেশ করে যে, সম্ভবত সেই সময় চিচেন ইতজা লুঠতরাজের স্বীকার হয়েছিল যার ফলে চিচেন ইতজার পরিবর্তে মায়াপানকে রাজধানী করা হয়। তবে, যখন স্প্যানীয়রা ১৫২৬ সালে আমেরিকায় জাহাজ ভিড়ায়, তখনো শহরে এবং শহরের আশে পাশে বেশ কিছু বাড়ি ইতজা বাস করতো। আর এর ফলে স্প্যানীয়রা কিছুসময় চিচেন ইতজাকে রাজধানী হিসেবে ব্যবহারও করেছিল।

বর্তমানে চিচেন ইতজা   

১৮০০ শতকের মাঝামাঝিতে চিচেন ইতজা একটি অর্থপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পরিণত হয় এবং আজ পর্যন্ত তেমনি রয়েছে। চিচেন ইতজা শহরের প্রথম দিককার বেশ কিছু নিদর্শন এখনও সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। সেগুলো হল- এল ক্যাস্টিলো, দ্য গ্রেট বল কোর্ট, দ্য নর্থ টেম্পল, দ্য স্টিম বাথ, সেকবে নং-১, টেম্পল অব দ্য ওয়ারিওরস, গ্রুপ অব এ থাউজেন্ড কলামস, এল মারকেডো এবং এল ওসারিও। প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষাধিক দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয় চিচেন ইতজা। মায়ান ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য চিচেন ইতজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। গবেষকেরা এখনও চিচেন ইতজায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মায়ান সভ্যতা সম্পর্কে নতুন কোন তথ্য আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে।

নিউজ ট্যাগ: চিচেন ইতজা

আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




বান্দরবানের বাকলাইতে দুই ‘কেএনএফ’ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কেএনএফ সদস্যের।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রেমাক্রী ইউনিয়নের বাকলাই এলাকায় মৃতদেহ দুটি পাওয়া যায়। তাদের পরনে কেএনএফের পোশাক থাকায় ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যের। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে রুমা ও থানচির বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা কে বা কারা সে বিষয়ে জানা না গেলেও কেএনএফের পোশাক পরিহিত বলে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছি। আমরা মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। জায়গাটি দুর্গম হওয়ায় পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে পারব।’

প্রসঙ্গত, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা ও থানচিতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ধরতে পরিচালিত হচ্ছে যৌথ অভিযান। এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মাউশি অধিদপ্তরের একজন পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরর পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। আমরা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। সেটা অনলাইন হতে পারে বা মর্নিং শিফটে হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পরিস্থিতি ওপর।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

এসএসসি পরীক্ষায় এ বছর জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এই কলেজ থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এবার জয়পুরহাট রামদেও সরকারি বাজলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ২৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮২ জন। এছাড়া জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৯ জন। আর পাসের হার শতভাগ বলে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্তৃপক্ষ।

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি কয়েক বছর ধরে অর্জিত ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. মিজানুর রহমানের সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ এ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা তাদের এ সাফল্যের পেছনে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং বিশেষভাবে তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মো. মিজানুর রহমান আশা করেন জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও অক্ষুন্ন থাকবে।


আরও খবর



ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর পরিদর্শন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর দফতর পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে পৌঁছালে অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রতিমন্ত্রীকে একদল চৌকস অগ্নিসেনা সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস-এর পরিচালকগণ, উপপরিচালকগণসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অভিবাদন গ্রহণ শেষে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জাম ও গাড়ি-পাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় আগ্রহ সহকারে বিভিন্ন সরঞ্জামের কার্যপরিধি ও সুবিধাসমূহের বর্ণনা শোনেন। এরপর তিনি অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর ঢাকা বিভাগ আয়োজিত মহড়া প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

মহড়া শেষে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, পিএসসি।

এরপর অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রতিমন্ত্রীকে অধিদফতরের সাম্প্রতিক সময়ে পেশাগত বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর হাতে স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কাল প্রতিমন্ত্রী অধিদফতরের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপিত বিষয়ে অধিদফতরের প্রত্যাশা পূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী সদর দফতর পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অণুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হয়েছেন বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক, উপপরিচালকসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সুন্দরবনে যাতে আর আগুন না লাগে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শয়েরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


আরও খবর