আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমলো

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চিনির দামে লাগাম টানতে জনস্বার্থে চিনি আমদানিতে আরোপিত সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা টন প্রতি আগের হারে শুল্ক-কর দিয়ে অপরিশোধিত চিনি খালাস করতে পারবেন।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (কাস্টমস) থেকে প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সরকার কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর সেশন ১৯ এর উপ সেশন-১ এর ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শে জনস্বার্থে চিনির ওপর আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়ে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণমূলক শুল্ক আরোপিত আছে। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের অক্টোবরে এটি কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। ওই প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত জানুয়ারিতে চিনির সংরক্ষণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়াতে একাধিকবার এনবিআরে চিঠি দেয় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে রোজায় চাহিদা বৃদ্ধি ও বর্ধিত জাহাজ ভাড়ার বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে অপরিশোধিত চিনি আমদানির প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হবে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।

বর্তমানে টনপ্রতি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করতে ২২ হাজার ১৩৭ টাকা শুল্ক-কর দিতে হয়। এর মধ্যে শুল্ক ৩ হাজার টাকা, সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৯ হাজার ৩২৮ টাকা, ভ্যাট ৮ হাজার ৮৪৫ টাকা, অগ্রিম আয়কর ৯৩২ টাকা এবং অন্য কর ৩০ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: চিনি আমদানি

আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আগে মায়ের মুক্তি চেয়ে চেম্বার আদালতে ৪ বছরের নুরী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবরের হামলাকে কেন্দ্র করে বাবা হামিদ ভূঁইয়ার পরিবর্তে গ্রেপ্তার চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাফসা আক্তারকে জামিন দিলেও ১০ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেন।

সম্প্রতি মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে বেশ আলোচনায় আসে নুরী। গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ছোট্ট নুরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, এই মহিলা আসামি হিসেবে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, মাই লর্ড সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান এবং ফুটেজ উপস্থাপন করতে বলেন।

গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডিএমপি বলে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর পত্রিকাটিতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

২০২৪-২৬ মেয়াদের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটিতে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। অন্যটিতে সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মাহমুদ কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে থাকছেন সুজাতা আজিম, সাদিয়া মির্জা, নাদের চৌধুরী, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, পীরজাদা হারুন, পলি, মো.সাইফুল, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

অন্যদিকে, মিশা-ডিপজল প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন নানা শাহ, সুচরিতা, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

প্রসঙ্গত, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।


আরও খবর



ছাত্রলীগের বাইরে নিয়োগ বাতিল: চবি রেজিস্ট্রারকে নেতার হুমকি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়া অন্য সবার নিয়োগ বাতিল করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রার কক্ষে উচ্চ বাচ্য করে তাকে শাসিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এর আগে রেজিস্ট্রার কক্ষে চাকরিতে যোগদান করতে আসা ইয়াহিয়া টিপু নামে এক যুবককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ৫৫০ টাকা দৈনিক মজুরির শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বাইরে সব নিয়োগ ক্যান্সেল করতে রেজিস্ট্রারকে প্রথমে শাসাতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি রেজিস্ট্রারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকেন, এখনও পিছনে বসে আছে ও। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম।

এ বিষয়ে জানতে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এরপর শাসাতে থাকেন একই গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত। এসময় তিনি রেজিস্ট্রারকে বলতে থাকেন, ছাত্রলীগের বাইরের এগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগ কর্মী না। ছাত্রলীগের বাইরের নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলারে নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। ছাত্রলীগের বাইরে যেগুলা, ওইগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলাপাইনের চাকরি নেওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার! ছাত্রলীগের বাইরে সব ক্যান্সেল।

তার সঙ্গে এসময় উপস্থিত সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রেজিস্ট্রারকে শাসাতে থাকেন। আর ভিসিকে এসব নিয়োগের ব্যাপারে বলার জন্য তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রারকে বুঝাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুমন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী।

এসময় রেজিস্ট্রার অফিসে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর বড়ুয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এক নূর আহমদ বলেন, আমার অফিসে এসে তারা এরকম আচরণ করেছে। এটা আমার জন্য অপমানজনক! আমি তো তাদের নিয়োগ দিতে পারব না। নিয়োগ দেবেন ভিসি। তবুও তারা আমার এখানে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমি ভিসি মহোদয় ও প্রক্টর এই বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিব।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রেজিস্ট্রার মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। দেখি আমরা কী করতে পারি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।’


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে সুপার বোর্ড কারখানায় আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পারটেক্স বোর্ড তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট।

রবিবার (২৪ মার্চ) বেলা ১টা ১১মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটির মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গজারিয়ার জামালদি এলাকায় অবস্থিত কারখানাটি আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১টা ২২ মিনিটে। একে একে ১০ ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তালহা বিন জসিম আরও জানান, সুপার বোর্ড নামের কারখানাটি সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন। তবে কারখানাটিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত করতে পারননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে লিও ভারাদকার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ফাইন গেলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথাও জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানী ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের পরিবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয়ে দুটি গণভোটের আয়োজন করা হয়। উভয় ভোটেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় ভারাদকারের ক্ষমতাসীন জোট সরকার। ওই পরাজয়ের জন্য ভারাদকারকে দায়ী করেছিলেন সমালোচকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেকে আর সেরা উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন না তিনি।

সাংবাদিকদের লিও বলেন, আমি আজ থেকেই ফাইন গেইলের সভাপতি ও নেতা হিসেবে পদত্যাগ করছি। একইসাথে আমার উত্তরসূরি নির্ধারণ হওয়ার সাথে সাথে আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেও পদত্যাগ করব।

ভারাদকার আরও বলেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি অনেকের কাছে বিস্ময় ও কারো কারো জন্য হতাশার হবে। তবে সিদ্ধান্তটি দেশের সর্বোত্তম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে।

লিও ভারাদকারের পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেছেন, ভারাদকরের পদত্যাগের ঘোষণা নজিরবিহীন একটি পদক্ষেপ। আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি এটা মোটেও আশা করিনি।

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন লিও ভারাদকার। সেসময় তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আবারও এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ভারাদকার প্রথমবার নির্বাচিত হন, তখন তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। ভারাদকারের মা আইরিশ এবং বাবা হচ্ছেন ভারতীয়। তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রথম দ্বিজাতিক প্রধানমন্ত্রী।

আগামী মাসে সংসদের অবকাশ শেষে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। সে পর্যন্ত লিও ভারাদকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর