অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, এটি বিজ্ঞানসম্মত লকডাউন না। এটির কোনও প্রয়োজন ছিল না। দুই সপ্তাহের যে লকডাউন দেয়া হয়েছে তার তেমন কোনও সফলতা আসবে না
দেশব্যাপী লকডাউন কোনোভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে সংক্রমণ কমলেও জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি স্থবির হয়ে পরে। তাই বর্তমান বাস্তবতায় আর লকডাউন না দিয়ে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেশী সংক্রমিত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন চাইলে বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে।
মার্চের মাঝামাঝি দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ২৯টি জেলা শহরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংক্রমণ রোধে লকডাউন দেয়া হয় সারাদেশে। এতে কাজ না হওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করে সরকার।
এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ কিছু কমলেও সারাদেশের জীবনযাত্রা থমকে যায়। স্থবির হয়ে পরে অর্থনীতি। নিম্নয়ের মানুষ পেটের তাগিদে পথে নামে। শুধু অর্থনৈতিক কারণে নয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোন ভিত্তিক লকডাউনে আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণে রাখা যায় সংক্রমণের হারও দ্রুত কমে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, এটি বিজ্ঞানসম্মত লকডাউন না। এটির কোনও প্রয়োজন ছিল না। দুই সপ্তাহের যে লকডাউন দেয়া হয়েছে তার তেমন কোনও সফলতা আসবে না। কিছুটা সফলতা আসবে কারণ কিছুটা তো নিয়ন্ত্রণ আসছে। বর্তমান বাস্তবতায় গণ-টিকাদান তরান্বিত করে হার্ড ইউনিটি তৈরি করতে হবে।
একই সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, জনসমাবেশে একেবারেই অংশগ্রহণ করা যাবে না। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে না বের হওয়া। জীবন জীবীকার জন্য বিধি নিষেধ শিথিল করার পরও কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নয়তো আবারও লকডাউনের ঝুঁকিতে পরবে দেশ। করোনা প্রতিরোধে লকডাউন এর চেয়ে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
লকডাউন বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত না হলেও স্থানীয় প্রশাসন চাইলে বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারবে।